আয়ত নাম্বার | বায়ান ফাউন্ডেশন | মুজিবুর রহমান | তাইসীরুল কুরআন | আরবি |
---|---|---|---|---|
1 | কসম সারিবদ্ধ ফেরেশতাদের, | শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান। | শপথ তাদের যারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো, | وَ الصّٰٓفّٰتِ صَفًّاۙ﴿١ ﴾ |
2 | অতঃপর (মেঘমালা) সুচারুরূপে পরিচালনাকারীদের, | এবং যারা কঠোর পরিচালক। | অতঃপর যারা ধমক দিয়ে তিরস্কার করে তাদের শপথ, | فَالزّٰجِرٰتِ زَجْرًاۙ﴿٢ ﴾ |
3 | আর উপদেশ গ্রন্থ (আসমানী কিতাব) তিলাওয়াতকারীদের; | এবং যারা জিকর আবৃত্তিতে মশগুল। | আর যারা (আল্লাহর) যিকর আবৃত্তিতে লিপ্ত, | فَالتّٰلِیٰتِ ذِكْرًاۙ﴿٣ ﴾ |
4 | নিশ্চয় তোমাদের ইলাহ এক; | নিশ্চয়ই তোমাদের মা‘বূদ এক। | তোমাদের প্রকৃত ইলাহ অবশ্য একজন। | اِنَّ اِلٰهَكُمْ لَوَاحِدٌؕ﴿٤ ﴾ |
5 | তিনি আসমানসমূহ, যমীন ও এ দু’য়ের মধ্যে যা আছে তার রব এবং রব উদয়স্থলসমূহের। | যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এতদুভয়ের অন্তবর্তী সব কিছুর রাব্ব, এবং রাব্ব সকল উদয়স্থলের। | যিনি আসমান, যমীন আর এ দু’য়ের মাঝে যা আছে এবং সকল উদয় স্থলের মালিক। | رَبُّ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ وَ مَا بَیْنَهُمَا وَ رَبُّ الْمَشَارِقِؕ﴿٥ ﴾ |
6 | নিশ্চয় আমি কাছের আসমানকে তারকারাজির সৌন্দর্যে সুশোভিত করেছি। | আমি নিকটবর্তী আকাশকে নক্ষত্ররাজির সুষমা দ্বারা সুশোভিত করেছি। | আমি নিকটবর্তী আসমানকে তারকারাজির সৌন্দর্য দ্বারা সুশোভিত করেছি, | اِنَّا زَیَّنَّا السَّمَآءَ الدُّنْیَا بِزِیْنَةِ ِ۟الْكَوَاكِبِۙ﴿٦ ﴾ |
7 | আর প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়তান থেকে হিফাযত করেছি। | এবং রক্ষা করেছি প্রত্যেক বিদ্রোহী শাইতান হতে। | আর (এটা করেছি) প্রত্যেক বিদ্রোহী শয়ত্বান থেকে সুরক্ষার ব্যবস্থা হিসেবে। | وَ حِفْظًا مِّنْ كُلِّ شَیْطٰنٍ مَّارِدٍۚ﴿٧ ﴾ |
8 | তারা ঊর্ধ্বজগতের কিছু শুনতে পারে না, কারণ প্রত্যেক দিক থেকে তাদের দিকে নিক্ষেপ করা হয় (উল্কাপিন্ড)। | ফলে তারা উর্ধ্ব জগতের কিছু শ্রবণ করতে পারেনা এবং তাদের প্রতি উল্কা নিক্ষিপ্ত হয় সকল দিক হতে – | যার ফলে তারা উচ্চতর জগতের কিছু শুনতে পারে না, চতুর্দিক থেকে তাদের প্রতি নিক্ষেপ করা হয় (উল্কাপিন্ড) | لَا یَسَّمَّعُوْنَ اِلَی الْمَلَاِ الْاَعْلٰی وَ یُقْذَفُوْنَ مِنْ كُلِّ جَانِبٍۗۖ﴿٨ ﴾ |
9 | তাড়ানোর জন্য, আর তাদের জন্য আছে অব্যাহত আযাব। | বিতাড়নের জন্য এবং তাদের জন্য রয়েছে অবিরাম শাস্তি। | (তাদেরকে) তাড়ানোর জন্য। তাদের জন্য আছে বিরামহীন শাস্তি। | دُحُوْرًا وَّ لَهُمْ عَذَابٌ وَّاصِبٌۙ﴿٩ ﴾ |
10 | তবে কেউ সন্তর্পণে কিছু শুনে নিলে তাকে পিছু তাড়া করে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড। | তবে কেহ হঠাৎ কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পশ্চাদ্ধাবন করে। | তবে কেউ ছোঁ মেরে কিছু শুনে ফেললে জ্বলন্ত উল্কাপিন্ড তার পিছু নেয়। | اِلَّا مَنْ خَطِفَ الْخَطْفَةَ فَاَتْبَعَهٗ شِهَابٌ ثَاقِبٌ﴿١٠ ﴾ |
11 | অতঃপর তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, ‘সৃষ্টি হিসেবে তারা বেশি শক্তিশালী, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি তা’? নিশ্চয় আমি তাদেরকে সৃষ্টি করেছি আঠালো মাটি থেকে। | তাদেরকে জিজ্ঞেস করঃ তাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর নাকি আমি অন্য যা কিছু সৃষ্টি করেছি তা সৃষ্টি কঠিনতর? তাদেরকে আমি সৃষ্টি করেছি আঠাল মাটি হতে। | তাদেরকে জিজ্ঞেস কর- সৃষ্টির ক্ষেত্রে কি তারাই বেশি প্রবল, না আমি অন্য যা কিছু সৃষ্টি করেছি তা (বেশি প্রবল)? আমি তো তাদেরকে সৃষ্টি করেছি (অতি নগণ্য) মাটি থেকে। | فَاسْتَفْتِهِمْ اَهُمْ اَشَدُّ خَلْقًا اَمْ مَّنْ خَلَقْنَا ؕ اِنَّا خَلَقْنٰهُمْ مِّنْ طِیْنٍ لَّازِبٍ﴿١١ ﴾ |
12 | বরং তুমি বিস্মিত হচ্ছ আর ওরা বিদ্রূপ করছে। | তুমিতো বিস্ময় বোধ করছ, আর তারা করছে বিদ্রুপ। | (আল্লাহর শক্তি-ক্ষমতা-মহিমা দেখে) তুমি কর বিস্ময়বোধ, আর তারা করে বিদ্রূপ। | بَلْ عَجِبْتَ وَ یَسْخَرُوْنَ۪﴿١٢ ﴾ |
13 | আর যখন তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হয় তখন তারা স্মরণ করে না। | এবং যখন তাদেরকে উপদেশ দেয়া হয় তখন তারা তা গ্রহণ করেনা। | তাদেরকে উপদেশ দেয়া হলে তারা উপদেশ নেয় না। | وَ اِذَا ذُكِّرُوْا لَا یَذْكُرُوْنَ۪﴿١٣ ﴾ |
14 | আর যখন তারা কোন নিদর্শন দেখে তখন বিদ্রূপ করে। | তারা কোন নিদর্শন দেখলে উপহাস করে। | তারা আল্লাহর কোন নিদর্শন দেখলে ঠাট্টা করে। | وَ اِذَا رَاَوْا اٰیَةً یَّسْتَسْخِرُوْنَ۪﴿١٤ ﴾ |
15 | আর বলে, ‘এতো স্পষ্ট যাদু ছাড়া আর কিছুই নয়’! | এবং বলেঃ এটাতো এক সুস্পষ্ট যাদু ব্যতীত আর কিছুই নয়। | আর তারা বলে- ‘এটা স্পষ্ট যাদু ছাড়া আর কিছুই না।’ | وَ قَالُوْۤا اِنْ هٰذَاۤ اِلَّا سِحْرٌ مُّبِیْنٌۚۖ﴿١٥ ﴾ |
16 | ‘আমরা যখন মারা যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমরা পুনরুত্থিত হব’? | আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও অস্থিতে পরিণত হব তখন কি আমাদেরকে পুনরুত্থিত করা হবে? | আমরা যখন মরব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব, তখনো কি আমাদেরকে আবার জীবিত করে উঠানো হবে? | ءَاِذَا مِتْنَا وَ كُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَاِنَّا لَمَبْعُوْثُوْنَۙ﴿١٦ ﴾ |
17 | ‘আর আমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষগণও’? | এবং আমাদের পূর্ব-পুরুষদেরকেও? | এবং আমাদের পূর্বপুরুষদেরকেও (উঠানো হবে)?’ | اَوَ اٰبَآؤُنَا الْاَوَّلُوْنَؕ﴿١٧ ﴾ |
18 | বল, ‘হ্যাঁ, আর তোমরা অপমানিত-লাঞ্ছিত হবে।’ | বলঃ হ্যাঁ এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত। | তাদেরকে বল, ‘হাঁ, এবং তোমরা হবে লাঞ্ছিত।’ | قُلْ نَعَمْ وَ اَنْتُمْ دَاخِرُوْنَۚ﴿١٨ ﴾ |
19 | তা হবে কেবল এক আওয়াজ আর তৎক্ষণাৎ তারা দেখতে পাবে। | ওটা একটি মাত্র প্রচন্ড শব্দ। আর তখনই তারা প্রত্যক্ষ করবে। | ওটা (হবে) মাত্র একটা প্রচন্ড শব্দ, আর তখনই তারা স্বচক্ষে (সব কিছু) দেখতে পাবে। | فَاِنَّمَا هِیَ زَجْرَةٌ وَّاحِدَةٌ فَاِذَا هُمْ یَنْظُرُوْنَ﴿١٩ ﴾ |
20 | আর তারা বলবে, ‘হায় আমাদের ধ্বংস, এ তো প্রতিদান দিবস’! | এবং তারা বলবেঃ হায়! দুর্ভোগ আমাদের! এটাইতো কর্মফল দিন। | তারা আরো বলবে- ‘‘হায় আমাদের দুর্ভাগ্য! এটাই তো কর্মফলের দিন।’ | وَ قَالُوْا یٰوَیْلَنَا هٰذَا یَوْمُ الدِّیْنِ﴿٢٠ ﴾ |
21 | এটি ফয়সালা করার দিন যা তোমরা অস্বীকার করতে। | এটাই ফাইসালার দিন যা তোমরা অস্বীকার করতে। | এটাই ফয়সালার দিন যাকে তোমরা মিথ্যে বলে অস্বীকার করতে। | هٰذَا یَوْمُ الْفَصْلِ الَّذِیْ كُنْتُمْ بِهٖ تُكَذِّبُوْنَ﴿٢١ ﴾ |
22 | (ফেরেশতাদেরকে বলা হবে) ‘একত্র কর যালিম ও তাদের সঙ্গী-সাথীদেরকে এবং যাদের ইবাদাত তারা করত তাদেরকে। | (মালাইকাকে বলা হবে) একত্রিত কর যালিম ও তাদের সহচরদেরকে এবং তাদেরকে যাদের ইবাদাত করত, | (হুকুম দেয়া হবে) ‘একত্র কর যালিমদেরকে আর তাদের সঙ্গীদেরকে এবং তাদেরকেও, যাদের তারা ‘ইবাদাত করত | اُحْشُرُوا الَّذِیْنَ ظَلَمُوْا وَ اَزْوَاجَهُمْ وَ مَا كَانُوْا یَعْبُدُوْنَۙ﴿٢٢ ﴾ |
23 | ‘আল্লাহকে বাদ দিয়ে, আর তাদেরকে আগুনের পথে নিয়ে যাও’। | আল্লাহর পরিবর্তে এবং তাদেরকে ধাবিত কর জাহান্নামের পথে। | আল্লাহর (‘ইবাদাতের) পরিবর্তে, আর তাদেরকে জাহান্নামের পথ দেখাও। | مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ فَاهْدُوْهُمْ اِلٰی صِرَاطِ الْجَحِیْمِ﴿٢٣ ﴾ |
24 | ‘আর তাদেরকে থামাও, অবশ্যই তারা জিজ্ঞাসিত হবে’। | অতঃপর তাদেরকে থামাও, কারণ তাদেরকে প্রশ্ন করা হবে; | অতঃপর ওদেরকে থামাও ওদেরকে তো প্রশ্ন করা হবে- | وَ قِفُوْهُمْ اِنَّهُمْ مَّسْـُٔوْلُوْنَۙ﴿٢٤ ﴾ |
25 | ‘তোমাদের কী হল, তোমরা একে অপরকে সাহায্য করছ না?’ | তোমাদের কি হল যে, তোমরা একে অপরকে সাহায্য করছনা? | ‘তোমাদের হয়েছে কী, তোমরা পরস্পরকে সাহায্য করছ না কেন?’ | مَا لَكُمْ لَا تَنَاصَرُوْنَ﴿٢٥ ﴾ |
26 | বরং তারা হবে আজ আত্মসমর্পণকারী। | বস্তুতঃ সেদিন তারা আত্মসমর্পন করবে। | বরং আজ তারা (বিচারের সামনে) আত্মসমপর্ণ করবে। | بَلْ هُمُ الْیَوْمَ مُسْتَسْلِمُوْنَ﴿٢٦ ﴾ |
27 | আর তারা একে অপরের মুখোমুখি হয়ে জিজ্ঞাসা করবে, | এবং তারা একে অপরের সামনাসামনি হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। | তারা একে অপরের দিকে মুখ করে পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করবে। | وَ اَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلٰی بَعْضٍ یَّتَسَآءَلُوْنَ﴿٢٧ ﴾ |
28 | তারা বলবে, ‘তোমরাই তো আমাদের কাছে আসতে ধর্মীয় দিক থেকে’।* | তারা বলবেঃ তোমরাতো তোমাদের শক্তি নিয়ে আমাদের নিকট আসতে। | তারা (তাদের ক্ষমতাশালীদেরকে) বলবে, ‘‘তোমরা তো তোমাদের ক্ষমতা নিয়ে আমাদের কাছে আসতে।’ | قَالُوْۤا اِنَّكُمْ كُنْتُمْ تَاْتُوْنَنَا عَنِ الْیَمِیْنِ﴿٢٨ ﴾ |
29 | জবাবে তারা (নেতৃস্থানীয় কাফিররা) বলবে, ‘বরং তোমরা তো মুমিন ছিলে না’। | তারা বলবেঃ তোমরা তো বিশ্বাসীই ছিলে না। | তারা (অর্থাৎ ক্ষমতার অধিকারীরা) উত্তর দিবে- ‘‘তোমরা তো (বিচার দিবসের প্রতি) বিশ্বাসীই ছিলে না। | قَالُوْا بَلْ لَّمْ تَكُوْنُوْا مُؤْمِنِیْنَۚ﴿٢٩ ﴾ |
30 | আর তোমাদের উপর আমাদের কোন কর্তৃত্ব ছিল না, বরং তোমরা ছিলে সীমালঙ্ঘনকারী কওম’। | এবং তোমাদের উপর আমাদের কোন কর্তৃত্ব ছিলনা; বস্তুতঃ তোমরাই ছিলে সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়। | আর তোমাদের উপর আমাদের কোন কর্তৃত্বও ছিল না, বরং তোমরা ছিলে সীমালঙ্ঘনকারী জাতি। | وَ مَا كَانَ لَنَا عَلَیْكُمْ مِّنْ سُلْطٰنٍ ۚ بَلْ كُنْتُمْ قَوْمًا طٰغِیْنَ﴿٣٠ ﴾ |
31 | ‘তাই আমাদের বিরুদ্ধে আমাদের রবের বাণী সত্য হয়েছে; নিশ্চয় আমরা আস্বাদন করব (আযাব)’। | আমাদের বিরুদ্ধে আমাদের রবের কথা সত্য হয়েছে; আমাদেরকে অবশ্যই শাস্তি আস্বাদন করতে হবে। | আমাদের বিপক্ষে আমাদের পালনকর্তার উক্তিই সত্য হয়েছে, আমাদেরকে অবশ্যই শাস্তির স্বাদ নিতে হবে। | فَحَقَّ عَلَیْنَا قَوْلُ رَبِّنَاۤ ۖۗ اِنَّا لَذَآىِٕقُوْنَ﴿٣١ ﴾ |
32 | ‘আর আমরা তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করেছি, কারণ আমরা নিজেরাই ছিলাম বিভ্রান্ত’। | আমরা তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করেছিলাম, কারণ আমরা নিজেরাও ছিলাম বিভ্রান্ত। | আসলে আমরাই তোমাদেরকে গোমরাহ করেছিলাম, কারণ আমরা নিজেরাও গোমরাহ ছিলাম।’ | فَاَغْوَیْنٰكُمْ اِنَّا كُنَّا غٰوِیْنَ﴿٣٢ ﴾ |
33 | নিশ্চয় তারা সেদিন আযাবে অংশীদার হবে। | তারা সবাই সেদিন শাস্তিতে শরীক হবে। | সেদিন (দুর্বল আর সবল) সবাই ‘আযাবে শরীক হবে। | فَاِنَّهُمْ یَوْمَىِٕذٍ فِی الْعَذَابِ مُشْتَرِكُوْنَ﴿٣٣ ﴾ |
34 | অপরাধীদের সাথে আমি এমন আচরণই করে থাকি। | অপরাধীদের প্রতি আমি এরূপই করে থাকি। | অপরাধীদের প্রতি আমি এ রকমই (আচরণ) করে থাকি। | اِنَّا كَذٰلِكَ نَفْعَلُ بِالْمُجْرِمِیْنَ﴿٣٤ ﴾ |
35 | তাদেরকে যখন বলা হত, ‘আল্লাহ ছাড়া কোন (সত্য) ইলাহ নেই’, তখন নিশ্চয় তারা অহঙ্কার করত। | যখন তাদেরকে বলা হত যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মা‘বূদ নেই তখন তারা অহংকার করত। | তাদেরকে যখন ‘আল্লাহ ছাড়া সত্যিকারের কোন ইলাহ নেই’ বলা হত, তখন তারা অহংকার করত। | اِنَّهُمْ كَانُوْۤا اِذَا قِیْلَ لَهُمْ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ ۙ یَسْتَكْبِرُوْنَۙ﴿٣٥ ﴾ |
36 | আর বলত, ‘আমরা কি এক পাগল কবির জন্য আমাদের উপাস্যদের ছেড়ে দেব?’ | এবং বলতঃ আমরা কি এক পাগল কবির কথায় আমাদের মা‘বূদদেরকে বর্জন করব? | আর তারা বলত, ‘‘আমরা কি এক পাগলা কবির কথা মেনে আমাদের ইলাহগুলোকে ত্যাগ করব? | وَ یَقُوْلُوْنَ اَىِٕنَّا لَتَارِكُوْۤا اٰلِهَتِنَا لِشَاعِرٍ مَّجْنُوْنٍؕ﴿٣٦ ﴾ |
37 | বরং সে সত্য নিয়ে এসেছিল এবং সে রাসূলদেরকে সত্য বলে ঘোষণা দিয়েছিল। | বরং সেতো সত্য নিয়ে এসেছে এবং সে সমস্ত রাসূলকে সত্য বলে স্বীকার করেছে। | বরং সে [অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সা.)] সত্য নিয়ে এসেছে এবং (পূর্বে আগমনকারী) রসূলদেরকে সত্যায়িত করেছে। | بَلْ جَآءَ بِالْحَقِّ وَ صَدَّقَ الْمُرْسَلِیْنَ﴿٣٧ ﴾ |
38 | অবশ্যই তোমরা যন্ত্রণাদায়ক আযাব আস্বাদন করবে। | তোমরা অবশ্যই মর্মন্তদ শাস্তির স্বাদ গ্রহণ করবে। | (এখন তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা অবশ্যই মর্মান্তিক শাস্তির স্বাদ ভোগ করবে, | اِنَّكُمْ لَذَآىِٕقُوا الْعَذَابِ الْاَلِیْمِۚ﴿٣٨ ﴾ |
39 | আর তোমরা যে আমল করতে শুধু তারই প্রতিদান তোমাদেরকে দেয়া হবে। | এবং তোমরা যা করতে তারই প্রতিফল পাবে। | তোমাদেরকে কেবল তারই প্রতিফল দেয়া হবে যা তোমরা করতে।’ | وَ مَا تُجْزَوْنَ اِلَّا مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَۙ﴿٣٩ ﴾ |
40 | অবশ্য আল্লাহর মনোনীত বান্দারা ছাড়া; | তবে তারা নয়, যারা আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা। | কিন্তু আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দারা নয় (তারা এ সব ‘আযাব থেকে রক্ষা পাবে)। | اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِیْنَ﴿٤٠ ﴾ |
41 | তাদের জন্য থাকবে নির্ধারিত রিয্ক, | তাদের জন্য রয়েছে নির্ধারিত রিয্ক – | তাদের জন্য আছে নির্ধারিত রিযক- | اُولٰٓىِٕكَ لَهُمْ رِزْقٌ مَّعْلُوْمٌۙ﴿٤١ ﴾ |
42 | ফলমূল; আর তারা হবে সম্মানিত, | ফল-মূল এবং তারা হবে সম্মানিত। | ফলমূল; আর তারা হবে সম্মানিত। | فَوَاكِهُ ۚ وَ هُمْ مُّكْرَمُوْنَۙ﴿٤٢ ﴾ |
43 | নি‘আমত-ভরা জান্নাতে, | সুখ কাননে। | (তারা থাকবে) নি‘য়ামাতের ভরা জান্নাতে | فِیْ جَنّٰتِ النَّعِیْمِۙ﴿٤٣ ﴾ |
44 | মুখোমুখি পালঙ্কে। | তারা মুখোমুখি আসনে আসীন হবে। | উচ্চাসনে মুখোমুখী হয়ে | عَلٰی سُرُرٍ مُّتَقٰبِلِیْنَ﴿٤٤ ﴾ |
45 | তাদের চারপাশে ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে বিশুদ্ধ সুরাপাত্র, | তাদেরকে ঘুরে ঘুরে পরিবেশন করা হবে বিশুদ্ধ সূরাপূর্ণ পাত্র – | তাদের কাছে চক্রাকারে পরিবেশন করা হবে স্বচ্ছ প্রবাহিত ঝর্ণার সুরাপূর্ণ পাত্র। | یُطَافُ عَلَیْهِمْ بِكَاْسٍ مِّنْ مَّعِیْنٍۭۙ﴿٤٥ ﴾ |
46 | সাদা, পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। | শুভ্র উজ্জ্বল, যা হবে পানকারীদের জন্য সুস্বাদু। | নির্মল পানীয়, পানকারীদের জন্য সুপেয়, সুস্বাদু। | بَیْضَآءَ لَذَّةٍ لِّلشّٰرِبِیْنَۚۖ﴿٤٦ ﴾ |
47 | তাতে থাকবে না ক্ষতিকর কিছু* এবং তারা এগুলো দ্বারা মাতালও হবে না। | তাতে ক্ষতিকর কিছুই থাকবেনা এবং তারা তাতে মাতালও হবেনা। | নেই তাতে দেহের জন্য ক্ষতিকর কোন কিছু, আর তারা তাতে মাতালও হবে না। | لَا فِیْهَا غَوْلٌ وَّ لَا هُمْ عَنْهَا یُنْزَفُوْنَ﴿٤٧ ﴾ |
48 | তাদের কাছে থাকবে আনতনয়না, ডাগরচোখা। | আর তাদের সঙ্গে থাকবে আনত নয়না আয়তলোচনা হুরবৃন্দ। | তাদের কাছে থাকবে সংযত নয়না, সতী সাধ্বী, ডাগর ডাগর সুন্দর চক্ষু বিশিষ্টা সুন্দরীরা (হুরগণ)। | وَ عِنْدَهُمْ قٰصِرٰتُ الطَّرْفِ عِیْنٌۙ﴿٤٨ ﴾ |
49 | তারা যেন আচ্ছাদিত ডিম। | তারা যেন সুরক্ষিত ডিম্ব। | তারা যেন সযত্নে ঢেকে রাখা ডিম। | كَاَنَّهُنَّ بَیْضٌ مَّكْنُوْنٌ﴿٤٩ ﴾ |
50 | অতঃপর তারা মুখোমুখি হয়ে পরস্পরকে জিজ্ঞাসা করবে। | তারা একে অপরের সাথে পরস্পর জিজ্ঞাসাবাদ করবে। | অতঃপর তারা পরস্পরের মুখোমুখী হয়ে একে ‘অপরের খবর জিজ্ঞেস করবে। | فَاَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلٰی بَعْضٍ یَّتَسَآءَلُوْنَ﴿٥٠ ﴾ |
51 | তাদের একজন বলবে, (‘পৃথিবীতে) আমার এক সঙ্গী ছিল’, | তাদের কেহ বলবেঃ আমার ছিল এক সঙ্গী। | তাদের একজন বলবে- ‘‘(দুনিয়ায়) আমার ছিল একজন সাথী। | قَالَ قَآىِٕلٌ مِّنْهُمْ اِنِّیْ كَانَ لِیْ قَرِیْنٌۙ﴿٥١ ﴾ |
52 | সে বলত, ‘তুমি কি সে লোকদের অন্তর্ভুক্ত যারা বিশ্বাস করে’। | সে বলতঃ তুমি কি বিশ্বাস কর যে – | সে বলত- ‘‘তুমি কি বিশ্বাস কর যে, | یَّقُوْلُ اَىِٕنَّكَ لَمِنَ الْمُصَدِّقِیْنَ﴿٥٢ ﴾ |
53 | ‘আমরা যখন মরে যাব এবং মাটি ও হাড়ে পরিণত হব তখনও কি আমাদেরকে প্রতিফল দেয়া হবে’? | আমরা যখন মরে যাব এবং আমরা মৃত্তিকা ও অস্থিতে পরিণত হব তখনও আমাদেরকে প্রতিফল দেয়া হবে? | আমরা যখন মরে যাব আর মাটি ও হাড্ডিতে পরিণত হব তখনো সত্যিই কি আমাদেরকে পুরস্কার ও শাস্তি দেয়া হবে? | ءَاِذَا مِتْنَا وَ كُنَّا تُرَابًا وَّ عِظَامًا ءَاِنَّا لَمَدِیْنُوْنَ﴿٥٣ ﴾ |
54 | আল্লাহ বলবেন, ‘তোমরা কি উঁকি দিয়ে দেখবে?’ | (আল্লাহ) বলবেনঃ তোমরা কি তাকে দেখতে চাও? | আল্লাহ বলবেন- ‘ তোমরা কি তাকে উঁকি দিয়ে দেখতে চাও?’ | قَالَ هَلْ اَنْتُمْ مُّطَّلِعُوْنَ﴿٥٤ ﴾ |
55 | অতঃপর সে উঁকি দিয়ে দেখবে এবং তাকে (পৃথিবীর সঙ্গীকে) দেখবে জাহান্নামের মধ্যস্থলে। | অতঃপর সে ঝুকে দেখবে এবং তাকে দেখতে পাবে জাহান্নামের মধ্যস্থলে। | তারপর সে উঁকি দিয়ে দেখবে এবং তাকে জাহান্নামের মাঝখানে দেখতে পাবে। | فَاطَّلَعَ فَرَاٰهُ فِیْ سَوَآءِ الْجَحِیْمِ﴿٥٥ ﴾ |
56 | সে বলবে, ‘আল্লাহর কসম! তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিলে’। | সে বলবেঃ আল্লাহর শপথ! তুমিতো আমাকে প্রায় ধ্বংসই করেছিলে। | সে বলবে, ‘আল্লাহর কসম! তুমি তো আমাকে প্রায় ধ্বংসই করে দিয়েছিলে, | قَالَ تَاللّٰهِ اِنْ كِدْتَّ لَتُرْدِیْنِۙ﴿٥٦ ﴾ |
57 | ‘আমার রবের অনুগ্রহ না থাকলে আমিও তো (জাহান্নামে) হাযিরকৃতদের একজন হতাম’। | আমার রবের অনুগ্রহ না থাকলে আমিও আটক ব্যক্তিদের মধ্যে শামিল হতাম। | আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ না হলে আমিও তো (জাহান্নামের ভিতর) হাজির করা লোকেদের মধ্যে শামিল থাকতাম। | وَ لَوْ لَا نِعْمَةُ رَبِّیْ لَكُنْتُ مِنَ الْمُحْضَرِیْنَ﴿٥٧ ﴾ |
58 | (জান্নাতবাসী ব্যক্তি বলবে) ‘তাহলে আমরা কি আর মরব না’? | আমাদের আর মৃত্যু হবেনা – | এখন আমাদের আর মৃত্যু হবে না | اَفَمَا نَحْنُ بِمَیِّتِیْنَۙ﴿٥٨ ﴾ |
59 | ‘আমাদের প্রথম মৃত্যু ছাড়া, আর আমরা কি আযাবপ্রাপ্ত হব না’? | প্রথম মৃত্যু ছাড়া এবং আমাদেরকে শাস্তিও দেয়া হবেনা! | আমাদের প্রথম মৃত্যুর পর, আর আমাদেরকে শাস্তিও দেয়া হবে না। | اِلَّا مَوْتَتَنَا الْاُوْلٰی وَ مَا نَحْنُ بِمُعَذَّبِیْنَ﴿٥٩ ﴾ |
60 | ‘নিশ্চয় এটি মহাসাফল্য!’ | এটাতো মহা সাফল্য। | এটাই তো মহাসাফল্য। | اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُ﴿٦٠ ﴾ |
61 | এরূপ সাফল্যের জন্যই ‘আমলকারীদের আমল করা উচিত। | এরূপ সাফল্যের জন্য সাধকদের উচিৎ সাধনা করা। | এ রকম সাফল্যের জন্যই ‘আমলকারীদের ‘আমল করা উচিত। | لِمِثْلِ هٰذَا فَلْیَعْمَلِ الْعٰمِلُوْنَ﴿٦١ ﴾ |
62 | আপ্যায়নের জন্য এগুলো উত্তম না যাক্কূম* বৃক্ষ? | আপ্যায়নের জন্য কি এটাই শ্রেষ্ঠ, না কি যাক্কুম বৃক্ষ? | আপ্যায়ন হিসেবে এটা উত্তম, না, (জাহান্নামের) জাক্কুম গাছ? | اَذٰلِكَ خَیْرٌ نُّزُلًا اَمْ شَجَرَةُ الزَّقُّوْمِ﴿٦٢ ﴾ |
63 | নিশ্চয় আমি তাকে যালিমদের জন্য করে দিয়েছি পরীক্ষা। | যালিমদের জন্য আমি ওটা সৃষ্টি করেছি পরীক্ষা স্বরূপ। | এ গাছটাকে আমি যালিমদের পরীক্ষা করার জন্য (একটা উপকরণ) বানিয়েছি (কেননা, যালিমরা বলে যে, জাহান্নামের ভিতর আবার গাছ হয় কী করে?) | اِنَّا جَعَلْنٰهَا فِتْنَةً لِّلظّٰلِمِیْنَ﴿٦٣ ﴾ |
64 | নিশ্চয় এ গাছটি জাহান্নামের তলদেশ থেকে বের হয়। | এই বৃক্ষ উদ্গত হয় জাহান্নামের তলদেশ হতে। | এটা এমন একটা গাছ যা জাহান্নামের তলদেশ থেকে বের হয়। | اِنَّهَا شَجَرَةٌ تَخْرُجُ فِیْۤ اَصْلِ الْجَحِیْمِۙ﴿٦٤ ﴾ |
65 | এর ফল যেন শয়তানের মাথা; | ওটার মোচা যেন শাইতানের মাথা। | এর চূড়াগুলো যেন শয়ত্বানের মাথা (অর্থাৎ দেখতে খুবই খারাপ।) | طَلْعُهَا كَاَنَّهٗ رُءُوْسُ الشَّیٰطِیْنِ﴿٦٥ ﴾ |
66 | নিশ্চয় তারা তা থেকে খাবে এবং তা দিয়ে পেট ভর্তি করবে। | ওটা হতে তারা আহার করবে এবং উদর পূর্ণ করবে ওটা দ্বারা। | জাহান্নামের অধিবাসীরা তাত্থেকে খাবে আর তা দিয়ে পেট পূর্ণ করবে। | فَاِنَّهُمْ لَاٰكِلُوْنَ مِنْهَا فَمَالِـُٔوْنَ مِنْهَا الْبُطُوْنَؕ﴿٦٦ ﴾ |
67 | তদুপরি তাদের জন্য থাকবে ফুটন্ত পানির মিশ্রণ। | তদুপরি তাদের জন্য থাকবে ফুটন্ত পানির মিশ্রণ। | এর উপর তাদেরকে দেয়া হবে ফুটন্ত পানির (পূঁজ সম্বলিত) মিশ্রণ। | ثُمَّ اِنَّ لَهُمْ عَلَیْهَا لَشَوْبًا مِّنْ حَمِیْمٍۚ﴿٦٧ ﴾ |
68 | তারপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জাহান্নামের আগুনে। | আর তাদের গন্তব্য হবে অবশ্যই প্রজ্জ্বলিত আগুনের দিকে। | অতঃপর তাদের প্রত্যাবর্তন হবে জ্বলন্ত আগুনের দিকে। | ثُمَّ اِنَّ مَرْجِعَهُمْ لَاۡاِلَی الْجَحِیْمِ﴿٦٨ ﴾ |
69 | নিশ্চয় এরা নিজদের পিতৃপুরুষদেরকে পথভ্রষ্ট পেয়েছিল; | তারা তাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছিল বিপথগামী। | তারা তাদের পিতৃপুরুষদেরকে বিপথগামী পেয়েছিল। | اِنَّهُمْ اَلْفَوْا اٰبَآءَهُمْ ضَآلِّیْنَۙ﴿٦٩ ﴾ |
70 | ফলে তারাও তাদের পদাঙ্ক অনুসরণে দ্রুত ছুটেছে। | আর তারা তাদের পদাংক অনুসরণে ধাবিত হয়েছিল। | অতঃপর তাদেরই পদাংক অনুসরণ করে ছুটে চলেছিল। | فَهُمْ عَلٰۤی اٰثٰرِهِمْ یُهْرَعُوْنَ﴿٧٠ ﴾ |
71 | আর নিশ্চয় এদের পূর্বে প্রাথমিক যুগের মানুষের বেশীরভাগই পথভ্রষ্ট হয়েছিল। | তাদের আগেও পূর্ববর্তীদের অধিকাংশ বিপথগামী হয়েছিল। | এদের আগের লোকেদের অধিকাংশই পথভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছিল। | وَ لَقَدْ ضَلَّ قَبْلَهُمْ اَكْثَرُ الْاَوَّلِیْنَۙ﴿٧١ ﴾ |
72 | আর অবশ্যই তাদের কাছে আমি সতর্ককারীদেরকে পাঠিয়েছিলাম; | এবং আমি তাদের মধ্যে সতর্ককারী প্রেরণ করেছিলাম। | আমি তাদের মাঝে সতর্ককারী (রসূল) পাঠিয়েছিলাম। | وَ لَقَدْ اَرْسَلْنَا فِیْهِمْ مُّنْذِرِیْنَ﴿٧٢ ﴾ |
73 | সুতরাং দেখ, যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল তাদের পরিণতি কী হয়েছিল! | সুতরাং লক্ষ্য কর, যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল তাদের পরিণাম কি হয়েছিল! | এখন দেখ, এই সতর্ক করে দেয়া লোকেদের পরিণাম কী হয়েছিল! | فَانْظُرْ كَیْفَ كَانَ عَاقِبَةُ الْمُنْذَرِیْنَۙ﴿٧٣ ﴾ |
74 | অবশ্য আল্লাহর মনোনীত বান্দারা ছাড়া। | তবে আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দাদের কথা স্বতন্ত্র। | কিন্তু আল্লাহর একনিষ্ট বান্দাদের কথা ভিন্ন (এ সব খারাপ পরিণতি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ছিল।) | اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِیْنَ﴿٧٤ ﴾ |
75 | আর নিশ্চয় নূহ আমাকে ডেকেছিল, আর আমি কতইনা উত্তম সাড়াদানকারী! | নূহ আমাকে আহবান করেছিল, আর আমি কত উত্তম সাড়া দানকারী। | (ইতোপূর্বে) নূহ আমাকে ডেকেছিল, অতঃপর (দেখ) আমি কতই না উত্তম সাড়াদাতা ছিলাম! | وَ لَقَدْ نَادٰىنَا نُوْحٌ فَلَنِعْمَ الْمُجِیْبُوْنَؗۖ﴿٧٥ ﴾ |
76 | আর তাকে ও তার পরিজনকে আমি মহাবিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলাম। | তাকে ও তার পরিবারবর্গকে আমি উদ্ধার করেছিলাম মহা সংকট হতে। | তাকে আর তার পরিবারবর্গকে আমি মহা বিপদ থেকে উদ্ধার করেছিলাম। | وَ نَجَّیْنٰهُ وَ اَهْلَهٗ مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِیْمِؗۖ﴿٧٦ ﴾ |
77 | আর তার বংশধরদেরকেই আমি অবশিষ্ট রেখেছিলাম, | তার বংশধরদেরকেই আমি বিদ্যমান রেখেছি বংশ পরম্পরায়। | আর তার বংশধরদেরকেই আমি বংশানুক্রমে বিদ্যমান রাখলাম। | وَ جَعَلْنَا ذُرِّیَّتَهٗ هُمُ الْبٰقِیْنَؗۖ﴿٧٧ ﴾ |
78 | আর পরবর্তীদের মধ্যে তার জন্য (সুখ্যাতি) রেখে দিয়েছিলাম। | আমি এটা পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। | আর আমি তাকে পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম। | وَ تَرَكْنَا عَلَیْهِ فِی الْاٰخِرِیْنَؗۖ﴿٧٨ ﴾ |
79 | শান্তি বর্ষিত হোক নূহের উপর সকল সৃষ্টির মধ্যে। | সমগ্র বিশ্বের মধ্যে নূহের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। | বিশ্বজগতে নূহের প্রতি সালাম/শান্তি বর্ষিত হোক। | سَلٰمٌ عَلٰی نُوْحٍ فِی الْعٰلَمِیْنَ﴿٧٩ ﴾ |
80 | নিশ্চয় এভাবে আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কার দিয়ে থাকি। | এভাবেই আমি সৎ কর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। | সৎকর্মশীলদেরকে আমি এভাবেই প্রতিদান দিয়ে থাকি। | اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِی الْمُحْسِنِیْنَ﴿٨٠ ﴾ |
81 | নিশ্চয় সে আমার মুমিন বান্দাদের একজন। | সে ছিল আমার মু’মিন বান্দাদের অন্যতম। | সে ছিল আমার মু’মিন বান্দাহদের একজন। | اِنَّهٗ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِیْنَ﴿٨١ ﴾ |
82 | তারপর আমি অন্যদের ডুবিয়ে দিয়েছিলাম। | অবশিষ্ট সকলকে আমি নিমজ্জিত করেছিলাম। | অতঃপর অন্যদের আমি ডুবিয়ে দিয়েছিলাম। | ثُمَّ اَغْرَقْنَا الْاٰخَرِیْنَ﴿٨٢ ﴾ |
83 | আর নিশ্চয় ইবরাহীম তার দীনের অনুসারীদের অন্তর্ভুক্ত। | ইবরাহীম তার অনুগামীদের অন্তর্ভুক্ত। | অবশ্যই ইবরাহীম ছিল তারই দলের লোক। | وَ اِنَّ مِنْ شِیْعَتِهٖ لَاِبْرٰهِیْمَۘ﴿٨٣ ﴾ |
84 | যখন সে বিশুদ্ধচিত্তে তার রবের নিকট উপস্থিত হয়েছিল। | স্মরণ কর, সে তার রবের নিকট উপস্থিত হয়েছিল বিশুদ্ধ চিত্তে। | সে যখন তার প্রতিপালকের কাছে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে হাজির হল, | اِذْ جَآءَ رَبَّهٗ بِقَلْبٍ سَلِیْمٍ﴿٨٤ ﴾ |
85 | যখন সে তার পিতা ও তার কওমকে বলেছিল, ‘তোমরা কিসের ইবাদত কর’? | যখন সে তার পিতা ও তার সম্প্রদায়কে জিজ্ঞেস করেছিলঃ তোমরা কিসের পূজা করছ? | সে তখন তার পিতাকে ও তার জাতিকে বলল, ‘তোমরা কিসের ‘ইবাদাত কর? | اِذْ قَالَ لِاَبِیْهِ وَ قَوْمِهٖ مَا ذَا تَعْبُدُوْنَۚ﴿٨٥ ﴾ |
86 | ‘তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে মিথ্যা উপাস্যগুলোকে চাও’? | তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে অলীক মা‘বূদগুলিকে চাও? | তোমরা কি আল্লাহকে বাদ দিয়ে মিথ্যে মা’বুদ পেতে চাও? | اَىِٕفْكًا اٰلِهَةً دُوْنَ اللّٰهِ تُرِیْدُوْنَؕ﴿٨٦ ﴾ |
87 | ‘তাহলে সকল সৃষ্টির রব সম্পর্কে তোমাদের ধারণা কী’? | জগতসমূহের রাব্ব সম্বন্ধে তোমাদের ধারণা কি? | বিশ্ব জগতের প্রতিপালক সম্পর্কে তোমরা কী ধারণা পোষণ কর? | فَمَا ظَنُّكُمْ بِرَبِّ الْعٰلَمِیْنَ﴿٨٧ ﴾ |
88 | অতঃপর সে তারকারাজির মধ্যে একবার দৃষ্টি দিল। | অতঃপর সে একবার তারকারাজির দিকে একবার তাকালো। | অতঃপর তারকারাজির দিকে সে একবার তাকাল (অর্থাৎ চিন্তে ভাবনা করল) | فَنَظَرَ نَظْرَةً فِی النُّجُوْمِۙ﴿٨٨ ﴾ |
89 | তারপর বলল, ‘আমি তো অসুস্থ’। | এবং বললঃ আমি অসুস্থ। | তারপর বলল, ‘‘আমি অসুস্থ।’’ | فَقَالَ اِنِّیْ سَقِیْمٌ﴿٨٩ ﴾ |
90 | অতঃপর তারা পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে তার কাছ থেকে চলে গেল। | অতঃপর তারা তাকে পশ্চাতে রেখে চলে গেল। | অতঃপর তারা তাকে পেছনে রেখে চলে গেল। | فَتَوَلَّوْا عَنْهُ مُدْبِرِیْنَ﴿٩٠ ﴾ |
91 | তারপর চুপে চুপে সে তাদের দেবতাদের কাছে গেল এবং বলল, ‘তোমরা কি খাবে না?’ | পরে সে সন্তর্পণে তাদের দেবতাগুলির নিকট গেল এবং বললঃ তোমরা খাদ্য গ্রহণ করছ না কেন? | তারপর সে চুপে চুপে তাদের উপাস্যদের কাছে ঢুকে পড়ল আর বলল, (আপনাদের সম্মুখে রাখা এত উপাদেয় খাবার) আপনারা খাচ্ছেন না কেন? | فَرَاغَ اِلٰۤی اٰلِهَتِهِمْ فَقَالَ اَلَا تَاْكُلُوْنَۚ﴿٩١ ﴾ |
92 | ‘তোমাদের কী হয়েছে যে, তোমরা কথা বলছ না’? | তোমাদের কি হয়েছে যে, তোমরা কথা বলনা? | কী হয়েছে আপনাদের, কথা বলছেন না কেন? | مَا لَكُمْ لَا تَنْطِقُوْنَ﴿٩٢ ﴾ |
93 | অতঃপর সে তাদের উপর সজোরে আঘাত হানল। | অতঃপর সে তাদের উপর সবলে ডান হাত দিয়ে আঘাত হানলো। | অতঃপর সে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সজোরে আঘাত করল। | فَرَاغَ عَلَیْهِمْ ضَرْبًۢا بِالْیَمِیْنِ﴿٩٣ ﴾ |
94 | তখন লোকেরা তার দিকে ছুটে আসল। | তখন ঐ লোকগুলি তার দিকে ছুটে এল। | তখন লোকেরা (ফিরে এসে) তার দিকে ছুটে আসল। | فَاَقْبَلُوْۤا اِلَیْهِ یَزِفُّوْنَ﴿٩٤ ﴾ |
95 | সে বলল, ‘তোমরা নিজেরা খোদাই করে যেগুলো বানাও, তোমরা কি সেগুলোর উপাসনা কর’, | সে বললঃ তোমরা নিজেরা যাদেরকে খোদাই করে নির্মাণ কর, তোমরা কি তাদেরই পূজা কর? | সে বলল, ‘‘তোমরা (পাথর) খোদাই করে সেগুলো নিজেরা বানাও, সেগুলোরই আবার ‘ইবাদাত কর? | قَالَ اَتَعْبُدُوْنَ مَا تَنْحِتُوْنَۙ﴿٩٥ ﴾ |
96 | ‘অথচ আল্লাহই তোমাদেরকে এবং তোমরা যা কর তা সৃষ্টি করেছেন’? | প্রকৃত পক্ষে আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমরা যা তৈরী কর তা’ও। | আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে আর তোমরা যা তৈরি কর সেগুলোকেও। | وَ اللّٰهُ خَلَقَكُمْ وَ مَا تَعْمَلُوْنَ﴿٩٦ ﴾ |
97 | তারা বলল, ‘তার জন্য একটি স্থাপনা তৈরী কর, তারপর তাকে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ কর’। | তারা বললঃ এর জন্য এক ইমারাত তৈরী কর, অতঃপর একে জ্বলন্ত আগুনে নিক্ষেপ কর। | তারা বলল, ‘তার জন্য একটা অগ্নিকুন্ড তৈরি কর, অতঃপর তাকে আগুনে নিক্ষেপ কর।’ | قَالُوا ابْنُوْا لَهٗ بُنْیَانًا فَاَلْقُوْهُ فِی الْجَحِیْمِ﴿٩٧ ﴾ |
98 | আর তারা তার ব্যাপারে একটা ষড়যন্ত্র করতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি তাদেরকে সম্পূর্ণ পরাভূত করে দিলাম। | তারা তার বিরুদ্ধে চক্রান্তের সংকল্প করেছিল; কিন্তু আমি তাদেরকে অতিশয় হেয় করেছিলাম। | তারা তার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমি তাদেরকে এক্কেবারে হীন করে ছাড়লাম। | فَاَرَادُوْا بِهٖ كَیْدًا فَجَعَلْنٰهُمُ الْاَسْفَلِیْنَ﴿٩٨ ﴾ |
99 | আর সে বলল, ‘আমি আমার রবের দিকে যাচ্ছি, তিনি অবশ্যই আমাকে হিদায়াত করবেন। | এবং সে বললঃ আমি আমার রবের দিকে চললাম, তিনি অবশ্যই আমাকে সৎ পথে পরিচালিত করবেন। | সে বলল, ‘আমি আমার প্রতিপালকের দিকে চললাম, তিনি আমাকে অবশ্যই সঠিক পথ দেখাবেন। | وَ قَالَ اِنِّیْ ذَاهِبٌ اِلٰی رَبِّیْ سَیَهْدِیْنِ﴿٩٩ ﴾ |
100 | ‘হে আমার রব, আমাকে সৎকর্মশীল সন্তান দান করুন’। | হে আমার রাব্ব! আমাকে এক সৎকর্মপরায়ণ সন্তান দান করুন। | হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে এক সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান কর। | رَبِّ هَبْ لِیْ مِنَ الصّٰلِحِیْنَ﴿١٠٠ ﴾ |
101 | অতঃপর তাকে আমি পরম ধৈর্যশীল একজন পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিলাম। | অতঃপর আমি তাকে এক স্থির বুদ্ধিসম্পন্ন পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। | অতঃপর আমি তাকে এক অতি ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। | فَبَشَّرْنٰهُ بِغُلٰمٍ حَلِیْمٍ﴿١٠١ ﴾ |
102 | অতঃপর যখন সে তার সাথে চলাফেরা করার বয়সে পৌঁছল, তখন সে বলল, ‘হে প্রিয় বৎস, আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, আমি তোমাকে যবেহ করছি, অতএব দেখ তোমার কী অভিমত’; সে বলল, ‘হে আমার পিতা, আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে, আপনি তাই করুন। আমাকে ইনশাআল্লাহ আপনি অবশ্যই ধৈর্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত পাবেন’। | অতঃপর সে যখন তার পিতার সাথে কাজ করার মত বয়সে উপনীত হল তখন ইবরাহীম বললঃ বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি যবাহ করছি, এখন তোমার অভিমত কি, বল। সে বললঃ হে আমার পিতা! আপনি যা আদিষ্ট হয়েছেন তাই করুন। আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন। | অতঃপর সে যখন তার পিতার সাথে চলাফিরা করার বয়সে পৌঁছল, তখন ইবরাহীম (আঃ) বলল, ‘বৎস! আমি স্বপে দেখেছি যে, আমি তোমাকে যবেহ করছি, এখন বল, তোমার অভিমত কী? সে বলল, ‘হে পিতা! আপনাকে যা আদেশ করা হয়েছে আপনি তাই করুন, আল্লাহ চাইলে আপনি আমাকে ধৈর্যশীলই পাবেন। | فَلَمَّا بَلَغَ مَعَهُ السَّعْیَ قَالَ یٰبُنَیَّ اِنِّیْۤ اَرٰی فِی الْمَنَامِ اَنِّیْۤ اَذْبَحُكَ فَانْظُرْ مَا ذَا تَرٰی ؕ قَالَ یٰۤاَبَتِ افْعَلْ مَا تُؤْمَرُ ؗ سَتَجِدُنِیْۤ اِنْ شَآءَ اللّٰهُ مِنَ الصّٰبِرِیْنَ﴿١٠٢ ﴾ |
103 | অতঃপর তারা উভয়ে যখন আত্মসমর্পণ করল এবং সে তাকে* কাত করে শুইয়ে দিল | যখন তারা উভয়ে আনুগত্য প্রকাশ করল এবং ইবরাহীম তার পুত্রকে কাত করে শায়িত করল – | দু’জনেই যখন আনুগত্যে মাথা নুইয়ে দিল। আর ইবরাহীম তাকে উপুড় ক’রে শুইয়ে দিল। | فَلَمَّاۤ اَسْلَمَا وَ تَلَّهٗ لِلْجَبِیْنِۚ﴿١٠٣ ﴾ |
104 | তখন আমি তাকে আহবান করে বললাম, ‘হে ইবরাহীম, | তখন আমি তাকে আহবান করে বললামঃ হে ইবরাহীম – | তখন আমি তাকে ডাক দিলাম, ‘হে ইবরাহীম! | وَ نَادَیْنٰهُ اَنْ یّٰۤاِبْرٰهِیْمُۙ﴿١٠٤ ﴾ |
105 | ‘তুমি তো স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছ। নিশ্চয় আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি’। | তুমিতো স্বপ্নাদেশ সত্যিই পালন করলে। এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। | স্বপ্নে দেয়া আদেশ তুমি সত্যে পরিণত করেই ছাড়লে। এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। | قَدْ صَدَّقْتَ الرُّءْیَا ۚ اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِی الْمُحْسِنِیْنَ﴿١٠٥ ﴾ |
106 | ‘নিশ্চয় এটা সুস্পষ্ট পরীক্ষা’। | নিশ্চয়ই এটা ছিল এক স্পষ্ট পরীক্ষা। | অবশ্যই এটা ছিল এক সুস্পষ্ট পরীক্ষা। | اِنَّ هٰذَا لَهُوَ الْبَلٰٓؤُا الْمُبِیْنُ﴿١٠٦ ﴾ |
107 | আর আমি এক মহান যবেহের* বিনিময়ে তাকে মুক্ত করলাম। | আমি তাকে মুক্ত করলাম এক মহান কুরবানীর বিনিময়ে। | আমি এক মহান কুরবানীর বিনিময়ে পুত্রটিকে ছাড়িয়ে নিলাম। | وَ فَدَیْنٰهُ بِذِبْحٍ عَظِیْمٍ﴿١٠٧ ﴾ |
108 | আর তার জন্য আমি পরবর্তীদের মধ্যে সুখ্যাতি রেখে দিয়েছি। | আমি এটা পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। | আর আমি তাকে পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম। | وَ تَرَكْنَا عَلَیْهِ فِی الْاٰخِرِیْنَۖ﴿١٠٨ ﴾ |
109 | ইবরাহীমের প্রতি সালাম। | ইবরাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। | ইবরাহীমের উপর শান্তি বর্ষিত হোক! | سَلٰمٌ عَلٰۤی اِبْرٰهِیْمَ﴿١٠٩ ﴾ |
110 | এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি। | এভাবে আমি সৎ কর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। | সৎকর্মশীলদেরকে আমি এভাবেই প্রতিদান দিয়ে থাকি। | كَذٰلِكَ نَجْزِی الْمُحْسِنِیْنَ﴿١١٠ ﴾ |
111 | নিশ্চয় সে আমার মুমিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। | সে ছিল আমার মু’মিন বান্দাদের অন্যতম। | সে ছিল আমার মু’মিন বান্দাহদের অন্তর্ভুক্ত। | اِنَّهٗ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِیْنَ﴿١١١ ﴾ |
112 | আর আমি তাকে ইসহাকের সুসংবাদ দিয়েছিলাম, সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত একজন নবী হিসেবে, | আমি তাকে সুসংবাদ দিয়েছিলাম ইসহাকের, সে ছিল এক নাবী, সৎকর্মশীলদের অন্যতম। | আর তাকে সুসংবাদ দিয়েছিলাম ইসহাকের- যে ছিল সৎকর্মশীল বান্দাহদের অন্তর্ভুক্ত একজন নবী। | وَ بَشَّرْنٰهُ بِاِسْحٰقَ نَبِیًّا مِّنَ الصّٰلِحِیْنَ﴿١١٢ ﴾ |
113 | আর আমি তাকে ও ইসহাককে বরকত দান করেছিলাম, আর তাদের বংশধরদের মধ্যে কেউ কেউ ছিল সৎকর্মশীল এবং কেউ নিজের প্রতি স্পষ্ট যালিম। | আমি তাকে বারাকাত দান করেছিলাম এবং ইসহাককেও, তাদের বংশধরদের মধ্যে কতক সৎকর্মপরায়ণ এবং কতক নিজেদের প্রতি স্পষ্ট অত্যাচারী। | আর আমি বরকত দিলাম তাকে আর ইসহাককে; (তাদের দু’জনের) বংশধরদের কতক সৎকর্মশীল, আর কতক নিজেদের প্রতি সুস্পষ্ট যুলুমকারী। | وَ بٰرَكْنَا عَلَیْهِ وَ عَلٰۤی اِسْحٰقَ ؕ وَ مِنْ ذُرِّیَّتِهِمَا مُحْسِنٌ وَّ ظَالِمٌ لِّنَفْسِهٖ مُبِیْنٌ﴿١١٣ ﴾ |
114 | আর আমি নিশ্চয় হারূন ও মূসার প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম, | আমি অনুগ্রহ করেছিলাম মূসা ও হারূনের উপর। | আমি মূসা ও হারূনের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম। | وَ لَقَدْ مَنَنَّا عَلٰی مُوْسٰی وَ هٰرُوْنَۚ﴿١١٤ ﴾ |
115 | আর আমি তাদেরকে ও তাদের কওমকে মহাসংকট থেকে নাজাত দিয়েছিলাম। | এবং তাদেরকে ও তাদের সম্প্রদায়কে আমি উদ্ধার করেছিলাম মহা সংকট হতে। | আর তাদের দু’জনকে এবং তাদের জাতিকে মহা বিপদ থেকে রক্ষা করেছিলাম। | وَ نَجَّیْنٰهُمَا وَ قَوْمَهُمَا مِنَ الْكَرْبِ الْعَظِیْمِۚ﴿١١٥ ﴾ |
116 | আর আমি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম, ফলে তারাই ছিল বিজয়ী। | আমি সাহায্য করেছিলাম তাদেরকে, ফলে তারা হয়েছিল বিজয়ী। | আর আমি তাদেরকে সাহায্য করেছিলাম, যার ফলে তারাই বিজয়ী হয়েছিল। | وَ نَصَرْنٰهُمْ فَكَانُوْا هُمُ الْغٰلِبِیْنَۚ﴿١١٦ ﴾ |
117 | আর আমি উভয়কে সুস্পষ্ট কিতাব দান করেছিলাম। | আমি উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব। | আমি উভয়কে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট কিতাব। | وَ اٰتَیْنٰهُمَا الْكِتٰبَ الْمُسْتَبِیْنَۚ﴿١١٧ ﴾ |
118 | আর আমি দু’জনকেই সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেছিলাম। | এবং তাদেরকে আমি পরিচালিত করেছিলাম সরল পথে। | আর তাদের উভয়কে সরল সঠিক পথে পরিচালিত করেছিলাম। | وَ هَدَیْنٰهُمَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِیْمَۚ﴿١١٨ ﴾ |
119 | আর আমি তাদের জন্য পরবর্তীদের মধ্যে সুখ্যাতি রেখে দিয়েছি। | আমি তাদের উভয়কে পরবর্তীতে স্মরণে রেখেছি। | আমি তাদের উভয়কে পরবর্তীদের জন্য স্মরণীয় করে রাখলাম। | وَ تَرَكْنَا عَلَیْهِمَا فِی الْاٰخِرِیْنَۙ﴿١١٩ ﴾ |
120 | মূসা ও হারূনের প্রতি সালাম। | মূসা ও হারূনের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। | মূসা ও হারূনের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। | سَلٰمٌ عَلٰی مُوْسٰی وَ هٰرُوْنَ﴿١٢٠ ﴾ |
121 | আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি। | এভাবে আমি সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। | এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। | اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِی الْمُحْسِنِیْنَ﴿١٢١ ﴾ |
122 | নিশ্চয় তারা দু’জনই ছিল আমার মুমিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। | তারা উভয়েই ছিল আমার মু’মিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত । | তারা দু’জন ছিল আমার মু’মিন বান্দাহদের অন্তর্ভুক্ত। | اِنَّهُمَا مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِیْنَ﴿١٢٢ ﴾ |
123 | আর ইলইয়াসও ছিল রাসূলদের একজন। | ইলিয়াসও ছিল রাসূলদের একজন। | ইলিয়াসও ছিল অবশ্যই রসূলদের একজন। | وَ اِنَّ اِلْیَاسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِیْنَؕ﴿١٢٣ ﴾ |
124 | যখন সে তার কওমকে বলেছিল ‘তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না’? | স্মরণ কর, সে তার সম্প্রদায়কে বলেছিলঃ তোমরা কি সতর্ক হবেনা? | স্মরণ কর, যখন সে তার জাতিকে বলেছিল, ‘তোমরা কি (আল্লাহকে) ভয় করবে না? | اِذْ قَالَ لِقَوْمِهٖۤ اَلَا تَتَّقُوْنَ﴿١٢٤ ﴾ |
125 | তোমরা কি ‘বা’ল’ কে* ডাকবে এবং পরিত্যাগ করবে সর্বোত্তম সৃষ্টিকর্তা- | তোমরা কি বা’লকে (দেবমূর্তি) ডাকবে এবং পরিত্যাগ করবে শ্রেষ্ঠ স্রষ্টা – | ‘তোমরা কি বা‘য়ালকে ডাক, আর পরিত্যাগ কর সর্বোত্তম সৃষ্টিকারী | اَتَدْعُوْنَ بَعْلًا وَّ تَذَرُوْنَ اَحْسَنَ الْخَالِقِیْنَۙ﴿١٢٥ ﴾ |
126 | আল্লাহকে, যিনি তোমাদের রব এবং তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষদেরও রব’? | আল্লাহকে, যিনি রাব্ব তোমাদের এবং রাব্ব তোমাদের পূর্ব-পুরুষদের? | আল্লাহকে, যিনি তোমাদের প্রতিপালক আর তোমাদের পূর্ববর্তী পিতৃপুরুষদেরও প্রতিপালক। | اللّٰهَ رَبَّكُمْ وَ رَبَّ اٰبَآىِٕكُمُ الْاَوَّلِیْنَ﴿١٢٦ ﴾ |
127 | কিন্তু তারা তাকে অস্বীকার করেছিল, ফলে তাদেরকে অবশ্যই (আযাবের জন্য) উপস্থিত করা হবে। | কিন্তু তারা তাকে মিথ্যাবাদী বলেছিল, অতএব তাদেরকে অবশ্যই শাস্তির জন্য উপস্থিত করা হবে। | কিন্তু তারা তাকে মিথ্যে বলে প্রত্যাখ্যান করল, কাজেই তাদেরকে অবশ্যই (শাস্তির জন্য) হাজির করা হবে। | فَكَذَّبُوْهُ فَاِنَّهُمْ لَمُحْضَرُوْنَۙ﴿١٢٧ ﴾ |
128 | আল্লাহর (আনুগত্যের জন্য) মনোনীত বান্দাগণ ছাড়া । | তবে আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দাদের কথা স্বতন্ত্র। | কিন্তু আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দাহদেরকে নয়। | اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِیْنَ﴿١٢٨ ﴾ |
129 | আর আমি তার জন্য পরবর্তীদের মধ্যে সুনাম সুখ্যাতি রেখে দিয়েছি। | আমি এটা পরবর্তীদের স্মরণে রেখেছি। | আমি তাকে পরবর্তীদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখলাম। | وَ تَرَكْنَا عَلَیْهِ فِی الْاٰخِرِیْنَۙ﴿١٢٩ ﴾ |
130 | ইলইয়াসের প্রতি সালাম। | ইলিয়াসের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। | ইলিয়াসের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। | سَلٰمٌ عَلٰۤی اِلْ یَاسِیْنَ﴿١٣٠ ﴾ |
131 | নিশ্চয় আমি এভাবেই সৎকর্মশীলদের পুরস্কৃত করে থাকি। | এভাবে আমি সৎকর্মশীলদেরকে পুরস্কৃত করে থাকি। | এভাবেই আমি সৎকর্মশীলদেরকে প্রতিদান দিয়ে থাকি। | اِنَّا كَذٰلِكَ نَجْزِی الْمُحْسِنِیْنَ﴿١٣١ ﴾ |
132 | নিশ্চয় সে ছিল আমার মুমিন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত। | সে ছিল আমার মু’মিন বান্দাদের অন্যতম। | সে ছিল আমার মু’মিন বান্দাহদের অন্তুর্ভুক্ত। | اِنَّهٗ مِنْ عِبَادِنَا الْمُؤْمِنِیْنَ﴿١٣٢ ﴾ |
133 | আর নিশ্চয় লূতও ছিল রাসূলদেরই একজন। | লূত ছিল রাসূলদের একজন। | লূতও ছিল অবশ্যই রসূলদের একজন। | وَ اِنَّ لُوْطًا لَّمِنَ الْمُرْسَلِیْنَؕ﴿١٣٣ ﴾ |
134 | যখন আমি তাকে ও তার পরিবার পরিজন সকলকে নাজাত দিয়েছিলাম- | আমি তাকে ও তার পরিবারের সবাইকে উদ্ধার করেছিলাম। | স্মরণ কর যখন আমি তাকে আর তার পরিবারের সকলকে উদ্ধার করেছিলাম | اِذْ نَجَّیْنٰهُ وَ اَهْلَهٗۤ اَجْمَعِیْنَۙ﴿١٣٤ ﴾ |
135 | পিছনে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত এক বৃদ্ধা ছাড়া । | এক বৃদ্ধা ব্যতীত, যে ছিল পশ্চাতে অবস্থানকারীদের অন্তর্ভুক্ত। | এক বৃদ্ধা ছাড়া- সে ছিল পিছ-পড়াদের একজন। | اِلَّا عَجُوْزًا فِی الْغٰبِرِیْنَ﴿١٣٥ ﴾ |
136 | অতঃপর আমি অবশিষ্টদেরকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছিলাম। | অতঃপর অবশিষ্টদেরকে আমি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছিলাম। | অতঃপর অন্য সব্বাইকে আমি পুরোপুরি ধ্বংস করে ছিয়েছিলাম। | ثُمَّ دَمَّرْنَا الْاٰخَرِیْنَ﴿١٣٦ ﴾ |
137 | আর তোমরা নিশ্চয় তাদের (ধ্বংসাবশেষের) উপর দিয়ে অতিক্রম করে থাক সকালে- | তোমরা তাদের ধ্বংসাবশেষগুলি অতিক্রম করে থাক সকালে – | তোমরা তো তাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত বসতিগুলোর উপর দিয়ে অবশ্যই চলাচল কর সকালে | وَ اِنَّكُمْ لَتَمُرُّوْنَ عَلَیْهِمْ مُّصْبِحِیْنَ﴿١٣٧ ﴾ |
138 | ও রাতে। তবুও কি তোমরা বুঝবে না? | এবং সন্ধ্যায়। তবুও কি তোমরা অনুধাবন করবেনা? | ও সন্ধ্যায়, তোমরা কি বুঝবে না? | وَ بِالَّیْلِ ؕ اَفَلَا تَعْقِلُوْنَ﴿١٣٨ ﴾ |
139 | আর নিশ্চয় ইউনুসও ছিল রাসূলদের একজন। | ইউনুসও ছিল রাসূলদের একজন। | ইউনুসও ছিল রসূলদের একজন। | وَ اِنَّ یُوْنُسَ لَمِنَ الْمُرْسَلِیْنَؕ﴿١٣٩ ﴾ |
140 | যখন সে একটি বোঝাই নৌযানের দিকে পালিয়ে গিয়েছিল। | স্মরণ কর, যখন সে পালিয়ে বোঝাই নৌযানে পৌঁছল। | স্মরণ কর, যখন সে পালিয়ে বোঝাই নৌকায় পৌঁছেছিল। | اِذْ اَبَقَ اِلَی الْفُلْكِ الْمَشْحُوْنِۙ﴿١٤٠ ﴾ |
141 | অতঃপর সে লটারীতে অংশগ্রহণ করল এবং তাতে সে হেরে গেল। | অতঃপর সে লটারীতে যোগদান করল এবং পরাভূত হল। | অতঃপর (দোষী খুঁজার জন্য যে লটারী করা হল সেই) লটারীতে সে অংশ নিল আর তাতে হেরে গেল। | فَسَاهَمَ فَكَانَ مِنَ الْمُدْحَضِیْنَۚ﴿١٤١ ﴾ |
142 | তারপর বড় মাছ তাকে গিলে ফেলল। আর সে (নিজেকে) ধিক্কার দিচ্ছিল। | পরে এক বৃহদাকার মৎস্য তাকে গিলে ফেলল; তখন সে নিজেকে ধিক্কার দিতে লাগল। | পরে একটা বড় মাছে তাকে গিলে ফেলল, সে কাজ করেছিল ধিক্কারযোগ্য। | فَالْتَقَمَهُ الْحُوْتُ وَ هُوَ مُلِیْمٌ﴿١٤٢ ﴾ |
143 | আর সে যদি (আল্লাহর) তাসবীহ পাঠকারীদের অন্তর্ভুক্ত না হত, | সে যদি আল্লাহর মহিমা ঘোষণা না করত – | সে যদি (অনুতপ্ত হয়ে) আল্লাহর তাসবীহকারী না হত, | فَلَوْ لَاۤ اَنَّهٗ كَانَ مِنَ الْمُسَبِّحِیْنَۙ﴿١٤٣ ﴾ |
144 | তাহলে সে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত তার পেটেই থেকে যেত। | তাহলে তাকে পুনরুত্থান দিন পর্যন্ত থাকতে হত ওর উদরে। | তাহলে নিশ্চিতই তাকে পুনরুত্থানের দিন পর্যন্ত মাছের পেটে থাকতে হত। | لَلَبِثَ فِیْ بَطْنِهٖۤ اِلٰی یَوْمِ یُبْعَثُوْنَۚ﴿١٤٤ ﴾ |
145 | অতঃপর আমি তাকে তৃণলতাহীন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম এবং সে ছিল অসুস্থ। | অতঃপর তাকে আমি নিক্ষেপ করলাম এক তৃণহীন প্রান্তরে এবং সে ছিল রুগ্ন। | অতঃপর আমি তাকে তৃণলতাহীন প্রান্তরে নিক্ষেপ করলাম, আর সে ছিল রুগ্ন। | فَنَبَذْنٰهُ بِالْعَرَآءِ وَ هُوَ سَقِیْمٌۚ﴿١٤٥ ﴾ |
146 | আর আমি একটি ইয়াকতীন* গাছ তার উপর উদগত করলাম। | পরে আমি তার উপর এক লাউ গাছ উদগত করলাম। | অতঃপর আমি তার উপর লাউ-কুমড়া জাতীয় লতা-পাতাযুক্ত একটা গাছ বের করে দিলাম। | وَ اَنْۢبَتْنَا عَلَیْهِ شَجَرَةً مِّنْ یَّقْطِیْنٍۚ﴿١٤٦ ﴾ |
147 | এবং তাকে আমি এক লক্ষ বা তার চেয়েও বেশী লোকের কাছে পাঠালাম। | তাকে আমি লক্ষ বা ততোধিক লোকের প্রতি প্রেরণ করেছিলাম। | অতঃপর তাকে এক লাখ বা তার চেয়ে বেশি লোকের কাছে পাঠালাম। | وَ اَرْسَلْنٰهُ اِلٰی مِائَةِ اَلْفٍ اَوْ یَزِیْدُوْنَۚ﴿١٤٧ ﴾ |
148 | অতঃপর তারা ঈমান আনল, ফলে আমি তাদেরকে কিছুকাল পর্যন্ত উপভোগ করতে দিলাম। | এবং তারা ঈমান এনেছিল; ফলে আমি তাদেরকে কিছু কালের জন্য জীবনোপভোগ করতে দিলাম। | তারা ঈমান আনল, কাজেই আমি তাদেরকে কিছুকাল পর্যন্ত জীবন উপভোগ করতে দিলাম। | فَاٰمَنُوْا فَمَتَّعْنٰهُمْ اِلٰی حِیْنٍؕ﴿١٤٨ ﴾ |
149 | অতএব তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, ‘তোমার রবের জন্য কি কন্যা সন্তান এবং তাদের জন্য পুত্র সন্তান’? | এখন তাদেরকে জিজ্ঞেস করঃ তোমার রবের জন্য কি রয়েছে কন্যা সন্তান এবং তাদের জন্য পুত্র সন্তান? | এখন তুমি তাদেরকে (অর্থাৎ মক্কার কাফিরদেরকে) জিজ্ঞেস কর ‘কন্যাগুলোই কি তোমাদের প্রতিপালকের জন্য, আর তাদের নিজেদের জন্য পুত্রগণ? | فَاسْتَفْتِهِمْ اَلِرَبِّكَ الْبَنَاتُ وَ لَهُمُ الْبَنُوْنَۙ﴿١٤٩ ﴾ |
150 | অথবা আমি কি ফেরেশতাদেরকে নারীরূপে সৃষ্টি করেছিলাম আর তারা তা প্রত্যক্ষ করছিল? | অথবা আমি কি মালাইকাকে নারী রূপে সৃষ্টি করেছি, আর তারা তা প্রত্যক্ষ করেছিল? | নাকি আমি ফেরেশতাদেরকে মেয়ে হিসেবে সৃষ্টি করেছিলাম আর তারা (অর্থাৎ মক্কার কাফিররা সেখানে) হাজির ছিল? | اَمْ خَلَقْنَا الْمَلٰٓىِٕكَةَ اِنَاثًا وَّ هُمْ شٰهِدُوْنَ﴿١٥٠ ﴾ |
151 | জেনে রাখ, তারা অবশ্যই তাদের মনগড়া কথা বলে যে, | দেখ তারা মনগড়া কথা বলে যে – | দেখ, তারা অবশ্যই তাদের মন-গড়া কথা বলে যে, | اَلَاۤ اِنَّهُمْ مِّنْ اِفْكِهِمْ لَیَقُوْلُوْنَۙ﴿١٥١ ﴾ |
152 | ‘আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন’ আর তারা অবশ্যই মিথ্যাবাদী। | আল্লাহ সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তারা নিশ্চয়ই মিথ্যাবাদী। | আল্লাহ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তারা অবশ্যই মিথ্যেবাদী। | وَلَدَ اللّٰهُ ۙ وَ اِنَّهُمْ لَكٰذِبُوْنَ﴿١٥٢ ﴾ |
153 | তিনি কি পুত্রসন্তানদের উপর কন্যা সন্তানদের বেছে নিয়েছেন? | তিনি কি পুত্র সন্তানের পরিবর্তে কন্যা সন্তান পছন্দ করতেন? | তিনি কি পুত্রদের চেয়ে কন্যাদেরকেই বেশি পছন্দ করেছেন? | اَصْطَفَی الْبَنَاتِ عَلَی الْبَنِیْنَؕ﴿١٥٣ ﴾ |
154 | তোমাদের কী হল? তোমরা কেমন ফয়সালা করছ! | তোমাদের কি হয়েছে, তোমরা কি রূপ বিচার কর? | তোমাদের কী হয়েছে, তোমরা কেমন ফয়সালা করছ? | مَا لَكُمْ ۫ كَیْفَ تَحْكُمُوْنَ﴿١٥٤ ﴾ |
155 | তাহলে কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না? | তাহলে কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবেনা? | তাহলে কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না? | اَفَلَا تَذَكَّرُوْنَۚ﴿١٥٥ ﴾ |
156 | নাকি তোমাদের কোন সুস্পষ্ট দলীল- প্রমাণ আছে? | তোমাদের কি সুস্পষ্ট দলীল প্রমাণ আছে? | (তোমরা যা বলছ তার স্বপক্ষে) তোমাদের কি সুস্পষ্ট দলীল-প্রমাণ আছে? | اَمْ لَكُمْ سُلْطٰنٌ مُّبِیْنٌۙ﴿١٥٦ ﴾ |
157 | অতএব তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব নিয়ে আস। | তোমরা সত্যবাদী হলে তোমাদের কিতাব উপস্থিত কর। | তোমরা সত্যবাদী হলে নিয়ে এসো তোমাদের কিতাব। | فَاْتُوْا بِكِتٰبِكُمْ اِنْ كُنْتُمْ صٰدِقِیْنَ﴿١٥٧ ﴾ |
158 | আর তারা আল্লাহ ও জিন জাতির মধ্যে একটা বংশসম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জিন জাতি জানে যে, নিশ্চয় তাদেরকেও উপস্থিত করা হবে। | আল্লাহ ও জিন জাতির মধ্যে তারা আত্মীয়তার সম্পর্ক স্থির করেছে; অথচ জিনেরা জানে যে, তাদেরকেও উপস্থিত করা হবে শাস্তির জন্য। | তারা আল্লাহ ও জ্বিন জাতির মাঝে একটা বংশ সম্পর্ক সাব্যস্ত করেছে, অথচ জ্বিনেরা ভালভাবে জানে যে, তাদেরকেও শাস্তির জন্য অবশ্যই হাজির করা হবে। | وَ جَعَلُوْا بَیْنَهٗ وَ بَیْنَ الْجِنَّةِ نَسَبًا ؕ وَ لَقَدْ عَلِمَتِ الْجِنَّةُ اِنَّهُمْ لَمُحْضَرُوْنَۙ﴿١٥٨ ﴾ |
159 | আল্লাহ সে সব থেকে অতিপবিত্র ও মহান, যা তারা আরোপ করে, | তারা যা বলে তা হতে আল্লাহ পবিত্র, মহান – | তারা যা বলে আল্লাহ সে সব (দোষ-ত্রুটি) থেকে পবিত্র। | سُبْحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا یَصِفُوْنَۙ﴿١٥٩ ﴾ |
160 | তবে আল্লাহর (আনুগত্যের জন্য) নির্বাচিত বান্দাগণ ছাড়া। | আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দারা ব্যতীত। | কিন্তু আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দারা এসব কথা বলে না। | اِلَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِیْنَ﴿١٦٠ ﴾ |
161 | নিশ্চয় তোমরা এবং তোমরা যাদের ইবাদাত কর তারা- | তোমরা এবং তোমরা যাদের ইবাদাত কর – | তোমরা আর তোমরা যাদের ‘ইবাদাত কর তারা | فَاِنَّكُمْ وَ مَا تَعْبُدُوْنَۙ﴿١٦١ ﴾ |
162 | তোমরা আল্লাহর ব্যাপারে (মুমিনদের) কাউকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। | তোমরা কেহই কেহকেও আল্লাহ সম্বন্ধে বিভ্রান্ত করতে পারবেনা – | আল্লাহর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে তোমরা কাউকেও ফিতনায় ফেলতে পারবে না। | مَاۤ اَنْتُمْ عَلَیْهِ بِفٰتِنِیْنَۙ﴿١٦٢ ﴾ |
163 | জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশকারী ছাড়া। | শুধু প্রজ্জ্বলিত আগুনে প্রবেশকারীকে ব্যতীত। | পারবে কেবল তাকে, যে জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশকারী। | اِلَّا مَنْ هُوَ صَالِ الْجَحِیْمِ﴿١٦٣ ﴾ |
164 | আমাদের* প্রত্যেকের জন্যই একটা নির্ধারিতস্থান** রয়েছে। | ‘‘আমাদের প্রত্যেকের জন্যই নির্ধারিত স্থান রয়েছে, | আমাদের (ফেরেশতাদের) প্রত্যেকের জন্য একটা নির্দিষ্ট স্থান আছে। | وَ مَا مِنَّاۤ اِلَّا لَهٗ مَقَامٌ مَّعْلُوْمٌۙ﴿١٦٤ ﴾ |
165 | আর অবশ্যই আমরা সারিবদ্ধ । | আমরাতো সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান, | আমরা সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান (খেদমত দেয়ার জন্য)। | وَّ اِنَّا لَنَحْنُ الصَّآفُّوْنَۚ﴿١٦٥ ﴾ |
166 | আর আমরা অবশ্যই তাসবীহ পাঠকারী। | এবং আমরা অবশ্যই তাঁর পবিত্রতা ঘোষণাকারী। | আমরা অবশ্যই তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণাকারী। | وَ اِنَّا لَنَحْنُ الْمُسَبِّحُوْنَ﴿١٦٦ ﴾ |
167 | আর তারা (মক্কাবাসীরা) বলত, | তারাইতো বলে এসেছে – | এ লোকেরা তো বলত | وَ اِنْ كَانُوْا لَیَقُوْلُوْنَۙ﴿١٦٧ ﴾ |
168 | ‘যদি আমাদের কাছে পূর্বর্তীদের মত কোন উপদেশ (কিতাব) থাকত, | ‘‘পূর্ববর্তীদের কিতাবের মত যদি আমাদের কোন কিতাব থাকত – | আগের লোকেদের মত আমাদের কাছে যদি কোন কিতাব থাকত | لَوْ اَنَّ عِنْدَنَا ذِكْرًا مِّنَ الْاَوَّلِیْنَۙ﴿١٦٨ ﴾ |
169 | তাহলে অবশ্যই আমরা আল্লাহর মনোনীত বান্দা হতাম’। | তাহলে অবশ্যই আমরা আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা হতাম’’। | তাহলে আমরা অবশ্যই আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দাহ হতাম। | لَكُنَّا عِبَادَ اللّٰهِ الْمُخْلَصِیْنَ﴿١٦٩ ﴾ |
170 | অতঃপর তারা তা অস্বীকার করল অতএব শীঘ্রই তারা জানতে পারবে (এর পরিণাম)। | কিন্তু তারা কুরআন প্রত্যাখ্যান করল এবং শীঘ্রই তারা জানতে পারবে। | কিন্তু (এখন কুরআন আসার পর) তারা সেটা অমান্য ও অস্বীকার করল। তারা শীঘ্রই জানতে পারবে (এর পরিণাম)। | فَكَفَرُوْا بِهٖ فَسَوْفَ یَعْلَمُوْنَ﴿١٧٠ ﴾ |
171 | আর নিশ্চয় আমার প্রেরিত বান্দাদের জন্য আমার কথা পূর্ব নির্ধারিত হয়েছে যে, | আমার প্রেরিত বান্দাদের সম্পর্কে আমার এই বাক্য পূর্বেই স্থির হয়েছে যে, | আমার প্রেরিত বান্দাহ্দের সম্পর্কে আমার এ কথা আগেই বলা আছে যে, | وَ لَقَدْ سَبَقَتْ كَلِمَتُنَا لِعِبَادِنَا الْمُرْسَلِیْنَۚۖ﴿١٧١ ﴾ |
172 | ‘অবশ্যই তারা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে’। | অবশ্যই তারা জয়ী হবে। | তাদেরকে অবশ্যই সাহায্য করা হবে। | اِنَّهُمْ لَهُمُ الْمَنْصُوْرُوْنَ۪﴿١٧٢ ﴾ |
173 | আর নিশ্চয় আমার বাহিনীই বিজয়ী হবে। | এবং আমার বাহিনীই হবে বিজয়ী। | আর আমার সৈন্যরাই বিজয়ী হবে | وَ اِنَّ جُنْدَنَا لَهُمُ الْغٰلِبُوْنَ﴿١٧٣ ﴾ |
174 | অতএব কিছু কাল পর্যন্ত তুমি তাদের থেকে ফিরে থাক। | অতএব কিছু কালের জন্য তুমি তাদেরকে উপেক্ষা কর। | কাজেই কিছু সময়ের জন্য তুমি তাদেরকে উপেক্ষা কর। | فَتَوَلَّ عَنْهُمْ حَتّٰی حِیْنٍۙ﴿١٧٤ ﴾ |
175 | আর তাদেরকে পর্যবেক্ষণ কর, অচিরেই তারা দেখবে (এর পরিণাম) । | তুমি তাদেরকে পর্যবেক্ষণ কর, শীঘ্রই তারা প্রত্যক্ষ করবে। | আর তাদেরকে দেখতে থাক, তারা শীঘ্রই দেখতে পাবে (ঈমান ও কুফুরীর পরিণাম)। | وَّ اَبْصِرْهُمْ فَسَوْفَ یُبْصِرُوْنَ﴿١٧٥ ﴾ |
176 | তারা কি আমার আযাব ত্বরান্বিত করতে চায়? | তারা কি তাহলে আমার শাস্তি ত্বরান্বিত করতে চায়? | তারা কি আমার শাস্তি তরান্বিত করতে চায়? | اَفَبِعَذَابِنَا یَسْتَعْجِلُوْنَ﴿١٧٦ ﴾ |
177 | আর যখন তা তাদের আঙিনায় নেমে আসবে তখন সতর্ককৃতদের সকাল কতই না মন্দ হবে! | তাদের আঙ্গিনায় যখন শাস্তি নেমে আসবে তখন সতর্কীকৃতদের প্রভাত হবে কত মন্দ! | শাস্তি যখন তাদের উঠানে নেমে আসবে, তখন কতই না মন্দ হবে ঐ লোকেদের সকালটি যাদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল! | فَاِذَا نَزَلَ بِسَاحَتِهِمْ فَسَآءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِیْنَ﴿١٧٧ ﴾ |
178 | আরো কিছু কাল পর্যন্ত তুমি তাদের থেকে ফিরে থাক। | অতএব কিছুকালের জন্য তুমি তাদেরকে উপেক্ষা কর। | কাজেই কিছু সময়ের জন্য তুমি তাদেরকে উপেক্ষা কর। | وَ تَوَلَّ عَنْهُمْ حَتّٰی حِیْنٍۙ﴿١٧٨ ﴾ |
179 | আর তাদেরকে পর্যবেক্ষণ কর, অচিরেই তারা দেখবে (এর পরিণাম)। | তুমি তাদেরকে পর্যবেক্ষণ কর, শীঘ্রই তারা পরিণাম প্রত্যক্ষ করবে। | আর দেখতে থাক, শীঘ্রই তারা দেখতে পাবে (ঈমান ও কুফুরীর পরিণাম)। | وَّ اَبْصِرْ فَسَوْفَ یُبْصِرُوْنَ﴿١٧٩ ﴾ |
180 | তারা যা ব্যক্ত করে তোমার রব তা থেকে পবিত্র মহান, সম্মানের মালিক। | তারা যা আরোপ করে তা হতে পবিত্র ও মহান তোমার রাব্ব, যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী। | সকল সম্মান ও ক্ষমতার রব্ব, তোমার প্রতিপালক পবিত্র ও মহান সে সকল কথাবার্তা হতে যা তারা আরোপ করে। | سُبْحٰنَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا یَصِفُوْنَۚ﴿١٨٠ ﴾ |
181 | আর রাসূলদের প্রতি সালাম। | শান্তি বর্ষিত হোক রাসূলগণের প্রতি। | শান্তি বর্ষিত হোক রসূলদের প্রতি। | وَ سَلٰمٌ عَلَی الْمُرْسَلِیْنَۚ﴿١٨١ ﴾ |
182 | আর সকল প্রশংসা সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহর জন্য। | প্রশংসা জগতসমূহের রাব্ব আল্লাহরই প্রাপ্য। | আর যাবতীয় প্রশংসা বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহর জন্যই। | وَ الْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعٰلَمِیْنَ﴿١٨٢ ﴾ |