আয়ত নাম্বার | বায়ান ফাউন্ডেশন | মুজিবুর রহমান | তাইসীরুল কুরআন | আরবি |
---|---|---|---|---|
1 | কাফ; মর্যাদাপূর্ণ কুরআনের কসম। | কাফ, শপথ কুরআনের (তুমি অবশ্যই সতর্ককারী)। | ক্বাফ, শপথ মাহাত্ম্যপূর্ণ কুরআনের (যে তুমি আল্লাহর রসূল।) | قٓ ۚ۫ وَ الْقُرْاٰنِ الْمَجِیْدِۚ﴿١ ﴾ |
2 | বরং তারা বিস্মিত হয়েছে যে, তাদের মধ্য থেকে একজন সতর্ককারী তাদের কাছে এসেছে। অতঃপর কাফিররা বলল, ‘এতো এক বিস্ময়কর বস্তু’! | কিন্তু কাফিরেরা তাদের মধ্য হতে একজন সতর্ককারী আবির্ভূত হতে দেখে বিস্ময় বোধ করে এবং বলেঃ এটাতো এক আশ্চর্য ব্যাপার। | বরং এ লোকেরা বিস্মিত হচ্ছে যে, তাদের কাছে তাদেরই মধ্য হতে একজন সর্তককারী এসেছে। যার কারণে কাফিররা বলে- ‘এতো বড়ই আশ্চর্যজনক ব্যাপার! | بَلْ عَجِبُوْۤا اَنْ جَآءَهُمْ مُّنْذِرٌ مِّنْهُمْ فَقَالَ الْكٰفِرُوْنَ هٰذَا شَیْءٌ عَجِیْبٌۚ﴿٢ ﴾ |
3 | ‘আমরা যখন মারা যাব এবং মাটিতে পরিণত হব তখনো কি (আমরা পুনরুত্থিত হব)? এ ফিরে যাওয়া সুদূরপরাহত’। | আমাদের মৃত্যু হলে এবং আমরা মৃত্তিকায় পরিণত হলে আমরা কি পুনরুজ্জীবিত হব? এ প্রত্যাবর্তন সুদূর পরাহত! | আমরা যখন মরে যাব আর মাটি হয়ে যাব (তখন আমাদেরকে আবার আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে)? এ ফিরে যাওয়াটা তো বহু দূরের ব্যাপার। | ءَاِذَا مِتْنَا وَ كُنَّا تُرَابًا ۚ ذٰلِكَ رَجْعٌۢ بَعِیْدٌ﴿٣ ﴾ |
4 | অবশ্যই আমি জানি মাটি তাদের থেকে যতটুকু ক্ষয় করে। আর আমার কাছে আছে অধিক সংরক্ষণকারী কিতাব। | আমিতো জানি, মৃত্তিকা ক্ষয় করে তাদের কতটুকু এবং আমার নিকট আছে রক্ষিত ফলক। | আমি জানি মাটি তাদের কতটুকু ক্ষয় করে আর আমার কাছে আছে এক কিতাব যা (সব কিছুর পূর্ণ বিবরণ) সংরক্ষণ করে। | قَدْ عَلِمْنَا مَا تَنْقُصُ الْاَرْضُ مِنْهُمْ ۚ وَ عِنْدَنَا كِتٰبٌ حَفِیْظٌ﴿٤ ﴾ |
5 | বরং তারা সত্যকে অস্বীকার করেছে, যখনই তাদের কাছে সত্য এসেছে। অতএব তারা সংশয়যুক্ত বিষয়ের মধ্যে রয়েছে। | বস্তুতঃ তাদের নিকট সত্য আসার পর তা প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে তারা সংশয়ে দোদুল্যমান। | তাদের কাছে সত্য আসার পর তারা তা অস্বীকার করেছে, কাজেই এখন তারা সংশয়ের মধ্যে পড়ে আছে। | بَلْ كَذَّبُوْا بِالْحَقِّ لَمَّا جَآءَهُمْ فَهُمْ فِیْۤ اَمْرٍ مَّرِیْجٍ﴿٥ ﴾ |
6 | তারা কি তাদের উপরে আসমানের দিকে তাকায় না, কিভাবে আমি তা বানিয়েছি এবং তা সুশোভিত করেছি? আর তাতে কোন ফাটল নেই। | তারা কি তাদের উর্ধ্বস্থিত আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখেনা যে, আমি কিভাবে ওটা নির্মাণ করেছি এবং ওকে সুশোভিত করেছি এবং ওতে কোন ফাটলও নেই? | তারা কি তাদের উপরে অবস্থিত আকাশের দিকে তাকায় না, কীভাবে আমি তাকে বানিয়েছি, তাকে সুশোভিত করেছি আর তাতে নেই কোন ফাটল? | اَفَلَمْ یَنْظُرُوْۤا اِلَی السَّمَآءِ فَوْقَهُمْ كَیْفَ بَنَیْنٰهَا وَ زَیَّنّٰهَا وَ مَا لَهَا مِنْ فُرُوْجٍ﴿٦ ﴾ |
7 | আর আমি যমীনকে বিস্তৃত করেছি, তাতে পর্বতমালা স্থাপন করেছি এবং তাতে প্রত্যেক প্রকারের সুদৃশ্য উদ্ভিদ উদগত করেছি। | আমি বিস্তৃত করেছি ভূমিকে ও তাতে স্থাপন করেছি পর্বতমালা এবং ওতে উদ্গত করেছি নয়ন প্রীতিকর সর্বপ্রকার উদ্ভিদ – | আর পৃথিবী- তাকে করেছি বিস্তৃত আর তাতে সংস্থাপিত করেছি পর্বতরাজি আর তাতে উদ্গত করেছি যাবতীয় সুদৃশ্য উদ্ভিদরাজি। | وَ الْاَرْضَ مَدَدْنٰهَا وَ اَلْقَیْنَا فِیْهَا رَوَاسِیَ وَ اَنْۢبَتْنَا فِیْهَا مِنْ كُلِّ زَوْجٍۭ بَهِیْجٍۙ﴿٧ ﴾ |
8 | আল্লাহ অভিমুখী প্রতিটি বান্দার জন্য জ্ঞান ও উপদেশ হিসেবে। | আল্লাহর অনুরাগী প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য, জ্ঞান ও উপদেশ স্বরূপ। | প্রতিটি (আল্লাহ) অভিমুখী বান্দাহর জন্য চক্ষু উন্মোচনকারী ও উপদেশ হিসেবে। | تَبْصِرَةً وَّ ذِكْرٰی لِكُلِّ عَبْدٍ مُّنِیْبٍ﴿٨ ﴾ |
9 | আর আমি আসমান থেকে বরকতময় পানি নাযিল করেছি। অতঃপর তা দ্বারা আমি উৎপন্ন করি বাগ-বাগিচা ও কর্তনযোগ্য শস্যদানা। | আকাশ হতে আমি বর্ষণ করি কল্যাণকর বৃষ্টি এবং তদ্বারা আমি সৃষ্টি করি উদ্যান ও উদগত করি শস্য। | আমি আকাশ থেকে বর্ষণ করি কল্যাণকর বৃষ্টি আর তা দিয়ে সৃষ্টি করি বাগান আর মাড়াইযোগ্য শস্যদানা, | وَ نَزَّلْنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً مُّبٰرَكًا فَاَنْۢبَتْنَا بِهٖ جَنّٰتٍ وَّ حَبَّ الْحَصِیْدِۙ﴿٩ ﴾ |
10 | আর সমুন্নত খেজুরগাছ, যাতে আছে গুচ্ছ গুচ্ছ খেজুর ছড়া, | ও সমুন্নত খেজুর বৃক্ষ, যাতে আছে গুচ্ছ খেজুর – | আর উঁচু খেজুর গাছ যাতে আছে খেজুর গুচ্ছ স্তরে স্তরে সাজানো। | وَ النَّخْلَ بٰسِقٰتٍ لَّهَا طَلْعٌ نَّضِیْدٌۙ﴿١٠ ﴾ |
11 | আমার বান্দাদের জন্য রিয্কস্বরূপ। আর আমি পানি দ্বারা মৃত শহর সঞ্জীবিত করি। এভাবেই উত্থান ঘটবে। | আমার বান্দাদের জীবিকা স্বরূপ; আর আমি সঞ্জীবিত করি মৃত ভূমিকে; এভাবে পুনরুত্থান ঘটবে। | বান্দাহদের রিযক হিসেবে। আর আমি পানি দিয়ে জীবন্ত করে তুলি মৃত যমীনকে। এভাবেই বের করা হবে (ক্ববর থেকে মানুষদের)। | رِّزْقًا لِّلْعِبَادِ ۙ وَ اَحْیَیْنَا بِهٖ بَلْدَةً مَّیْتًا ؕ كَذٰلِكَ الْخُرُوْجُ﴿١١ ﴾ |
12 | তাদের পূর্বে সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল নূহের সম্প্রদায়, রাস্ এর অধিবাসী ও সামূদ সম্প্রদায়। | তাদের পূর্বেও সত্য প্রত্যাখ্যান করেছিল নূহের সম্প্রদায়, রা'স ও সামূদ সম্প্রদায় – | এদের আগে সত্যকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছিল নূহের জাতি, রাস্স ও সামুদ জাতি, | كَذَّبَتْ قَبْلَهُمْ قَوْمُ نُوْحٍ وَّ اَصْحٰبُ الرَّسِّ وَ ثَمُوْدُۙ﴿١٢ ﴾ |
13 | ‘আদ, ফির‘আউন ও লূত সম্প্রদায়। | আদ, ফির‘আউন ও লূত সম্প্রদায়। | ‘আদ, ফেরাউন ও লূত জাতি, | وَ عَادٌ وَّ فِرْعَوْنُ وَ اِخْوَانُ لُوْطٍۙ﴿١٣ ﴾ |
14 | আইকার অধিবাসী ও তুব্বা‘ সম্প্রদায়। সকলেই রাসূলদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছিল। | এবং আইকাহর অধিবাসী ও তুব্বা সম্প্রদায়; তারা সবাই রাসূলদেরকে মিথ্যাবাদী বলেছিল। ফলে তাদের উপর আমার শাস্তি আপতিত হয়েছে। | আইকাবাসী ও তুব্বার জাতি। তারা সকলেই রসূলদেরকে মিথ্যা বলে অস্বীকার করেছিল, ফলে তাদের উপর আমার শাস্তি অবধারিত হয়েছিল। | وَّ اَصْحٰبُ الْاَیْكَةِ وَ قَوْمُ تُبَّعٍ ؕ كُلٌّ كَذَّبَ الرُّسُلَ فَحَقَّ وَعِیْدِ﴿١٤ ﴾ |
15 | আমি কি প্রথমবার সৃষ্টি করেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি? বরং তারা নতুন সৃষ্টির বিষয়ে সন্দেহে নিপতিত। | আমি কি প্রথমবার সৃষ্টি করেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি যে, পুনঃসৃষ্টি বিষয়ে তারা সন্দেহ পোষণ করছে? | আমরা কি প্রথমবার সৃষ্টি করে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি? বস্তুতঃ তারা নতুন সৃষ্টি বিষয়ে সন্দেহে পড়ে আছে। | اَفَعَیِیْنَا بِالْخَلْقِ الْاَوَّلِ ؕ بَلْ هُمْ فِیْ لَبْسٍ مِّنْ خَلْقٍ جَدِیْدٍ﴿١٥ ﴾ |
16 | আর অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার প্রবৃত্তি তাকে যে কুমন্ত্রণা দেয় তাও আমি জানি। আর আমি* তার গলার ধমনী হতেও অধিক কাছে। | আমিই মানুষকে সৃষ্টি করেছি এবং তার প্রকৃতি তাকে যে কুমন্ত্রনা দেয় তা আমি জানি। আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমণী অপেক্ষাও নিকটতর। | আমিই মানুষকে সৃষ্টি করেছি, আর তার প্রবৃত্তি তাকে (নিত্য নতুন) কী কুমন্ত্রণা দেয় তাও আমি জানি। আমি তার গলার শিরা থেকেও নিকটবর্তী। | وَ لَقَدْ خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ وَ نَعْلَمُ مَا تُوَسْوِسُ بِهٖ نَفْسُهٗ ۖۚ وَ نَحْنُ اَقْرَبُ اِلَیْهِ مِنْ حَبْلِ الْوَرِیْدِ﴿١٦ ﴾ |
17 | যখন ডানে ও বামে বসা দু’জন লিপিবদ্ধকারী পরস্পর গ্রহণ করবে। | স্মরণ রেখ, দুই মালাক/ফেরেশতা তার ডানে ও বামে বসে তার কাজ লিপিবদ্ধ করে। | (তদুপরি) দু’জন লেখক ডানে ও বামে বসে (মানুষের ‘আমাল) লিখছে। | اِذْ یَتَلَقَّی الْمُتَلَقِّیٰنِ عَنِ الْیَمِیْنِ وَ عَنِ الشِّمَالِ قَعِیْدٌ﴿١٧ ﴾ |
18 | সে যে কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে। | মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে তা গ্রহণ করার জন্য তার কাছে সদা প্রস্তুত প্রহরী রয়েছে। | যে কথাই মানুষ উচ্চারণ করে (তা সংরক্ষণের জন্য) তার নিকটে একজন সদা তৎপর প্রহরী আছে। | مَا یَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ اِلَّا لَدَیْهِ رَقِیْبٌ عَتِیْدٌ﴿١٨ ﴾ |
19 | আর মৃত্যুর যন্ত্রণা যথাযথই আসবে। যা থেকে তুমি পলায়ন করতে চাইতে। | মৃত্যুযন্ত্রণা অবশ্যই আসবে। এটা হতেই তোমরা অব্যাহিত চেয়ে আসছ। | মৃত্যুর যন্ত্রণা প্রকৃতই আসবে যাত্থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য তুমি চেষ্টা করতে। | وَ جَآءَتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ؕ ذٰلِكَ مَا كُنْتَ مِنْهُ تَحِیْدُ﴿١٩ ﴾ |
20 | আর শিংগায় ফুঁক দেয়া হবে। এটাই হল প্রতিশ্রুত দিন। | আর শিঙ্গায় ফুৎকার দেয়া হবে, ওটাই সেই ভয় প্রদর্শনের দিন। | অতঃপর সিঙ্গায় ফুঁক দেয়া হবে। সেটাই হল শাস্তির দিন (যে সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করা হয়েছিল)। | وَ نُفِخَ فِی الصُّوْرِ ؕ ذٰلِكَ یَوْمُ الْوَعِیْدِ﴿٢٠ ﴾ |
21 | আর প্রত্যেক ব্যক্তি উপস্থিত হবে, তার সাথে থাকবে একজন চালক ও একজন সাক্ষী। | সেদিন প্রত্যেক ব্যক্তি উপস্থিত হবে। তার সাথে থাকবে চালক ও তার কর্মের সাক্ষী। | (সেদিন) প্রত্যেক ব্যক্তি আসবে এমন অবস্থায় যে একজন (ফেরেশতা) তাকে হাঁকিয়ে নিয়ে আসবে আর একজন (ফেরেশতা) থাকবে সাক্ষ্যদাতা হিসেবে। | وَ جَآءَتْ كُلُّ نَفْسٍ مَّعَهَا سَآىِٕقٌ وَّ شَهِیْدٌ﴿٢١ ﴾ |
22 | অবশ্যই তুমি এ দিবস সম্পর্কে উদাসীন ছিলে, অতএব আমি তোমার পর্দা তোমার থেকে উন্মোচন করে দিলাম। ফলে আজ তোমার দৃষ্টি খুব প্রখর। | তুমি এই দিন সম্বন্ধে উদাসীন ছিলে, এখন তোমার সম্মুখ হতে পর্দা উম্মোচন করেছি। অদ্য তোমার দৃষ্টি প্রখর। | (বলা হবে) ‘এ দিন সম্পর্কে তুমি ছিলে উদাসীন। তোমার সামনে যে পর্দা ছিল তা আমি সরিয়ে দিয়েছি। (সে কারণে) তোমার দৃষ্টি আজ খুব তীক্ষ্ম। | لَقَدْ كُنْتَ فِیْ غَفْلَةٍ مِّنْ هٰذَا فَكَشَفْنَا عَنْكَ غِطَآءَكَ فَبَصَرُكَ الْیَوْمَ حَدِیْدٌ﴿٢٢ ﴾ |
23 | আর তার সাথী (ফেরেশতা) বলবে, এই তো আমার কাছে (আমল নামা) প্রস্তুত। | তার সঙ্গী মালাক/ফেরেশতা বলবেঃ এইতো আমার নিকট ‘আমলনামা প্রস্তুত। | তার সঙ্গী (ফেরেশতা) বলবে ‘এই যে আমার কাছে (‘আমালনামা) প্রস্তুত।’ | وَ قَالَ قَرِیْنُهٗ هٰذَا مَا لَدَیَّ عَتِیْدٌؕ﴿٢٣ ﴾ |
24 | তোমরা জাহান্নামে নিক্ষেপ কর প্রত্যেক উদ্ধত কাফিরকে, | আদেশ করা হবেঃ তোমরা উভয়েই নিক্ষেপ কর জাহান্নামে, প্রত্যেক উদ্ধত কাফিরকে – | (নির্দেশ দেয়া হবে) তোমরা উভয়ে প্রত্যেক অবাধ্য কাফিরকে নিক্ষেপ কর জাহান্নামে। | اَلْقِیَا فِیْ جَهَنَّمَ كُلَّ كَفَّارٍ عَنِیْدٍۙ﴿٢٤ ﴾ |
25 | কল্যাণকর কাজে প্রবল বাধাদানকারী সীমালঙ্ঘনকারী, সন্দেহ পোষণকারীকে। | কল্যাণকর কাজে প্রবল বাধা দানকারী, সীমালংঘনকারী ও সন্দেহ পোষণকারীকে – | (যারা ছিল) কল্যাণের প্রতিবন্ধক, সীমালঙ্ঘনকারী ও সন্দিগ্ধ চিত্ত। | مَّنَّاعٍ لِّلْخَیْرِ مُعْتَدٍ مُّرِیْبِۙ﴿٢٥ ﴾ |
26 | যে আল্লাহর সাথে অন্য ইলাহ গ্রহণ করেছিল, তোমরা তাকে কঠিন আযাবে নিক্ষেপ কর। | যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য মা‘বূদ গ্রহণ করত তাকে কঠিন শাস্তিতে নিক্ষেপ কর। | যে আল্লাহর সঙ্গে অন্যকে ইলাহ্ বানিয়ে নিয়েছিল। কাজেই তোমরা উভয়ে তাকে কঠিন ‘আযাবে নিক্ষেপ কর। | الَّذِیْ جَعَلَ مَعَ اللّٰهِ اِلٰهًا اٰخَرَ فَاَلْقِیٰهُ فِی الْعَذَابِ الشَّدِیْدِ﴿٢٦ ﴾ |
27 | তার সঙ্গী (শয়তান) বলবে, ‘হে আমাদের ‘রব’, আমি তাকে বিদ্রোহী করে তুলিনি, বরং সে নিজেই ছিল সুদূর পথভ্রষ্টতার মধ্যে’। | তার সহচর শাইতান বলবেঃ হে আমাদের রাব্ব! আমি তাকে অবাধ্য হতে প্ররোচিত করিনি। বস্তুতঃ সে নিজেই ছিল ঘোর বিভ্রান্ত। | তার সঙ্গী বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমি তাকে বিদ্রোহী বানাইনি বরং সে নিজেই ছিল সুদূর গুমরাহীর মধ্যে।’ | قَالَ قَرِیْنُهٗ رَبَّنَا مَاۤ اَطْغَیْتُهٗ وَ لٰكِنْ كَانَ فِیْ ضَلٰلٍۭ بَعِیْدٍ﴿٢٧ ﴾ |
28 | আল্লাহ বলবেন, ‘তোমরা আমার কাছে বাক-বিতন্ডা করো না। অবশ্যই আমি পূর্বেই তোমাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম’। | আল্লাহ বলবেনঃ আমার সামনে বাক-বিতন্ডা করনা; তোমাদেরকে আমিতো পূবেই সতর্ক করেছি। | আল্লাহ বলবেন, ‘আমার সামনে বাদানুবাদ করো না, আমি আগেই তোমাদেরকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম। | قَالَ لَا تَخْتَصِمُوْا لَدَیَّ وَ قَدْ قَدَّمْتُ اِلَیْكُمْ بِالْوَعِیْدِ﴿٢٨ ﴾ |
29 | ‘আমার কাছে কথা রদবদল হয় না, আর আমি বান্দার প্রতি যুলমকারীও নই’। | আমার কথার রদ বদল হয়না এবং আমি আমার বান্দাদের প্রতি কোন অবিচার করিনা। | আমার কথা কক্ষনো বদলে না, আর আমি আমার বান্দাহদের প্রতি যুলমকারীও নই। | مَا یُبَدَّلُ الْقَوْلُ لَدَیَّ وَ مَاۤ اَنَا بِظَلَّامٍ لِّلْعَبِیْدِ﴿٢٩ ﴾ |
30 | সেদিন আমি জাহান্নামকে বলব, ‘তুমি কি পরিপূর্ণ হয়েছ’? আর সে বলবে, ‘আরো বেশি আছে কি’? | সেই দিন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞেস করবঃ তুমি কি পূর্ণ হয়ে গেছ? জাহান্নাম বলবেঃ আরও আছে কি? | সে দিন আমি জাহান্নামকে জিজ্ঞেস করব, ‘তুমি কি পরিপূর্ণ হয়েছ’? সে বলবে, ‘আরো বেশি আছে কি?’ | یَوْمَ نَقُوْلُ لِجَهَنَّمَ هَلِ امْتَلَاْتِ وَ تَقُوْلُ هَلْ مِنْ مَّزِیْدٍ﴿٣٠ ﴾ |
31 | আর জান্নাতকে মুত্তাকীদের অদূরে, কাছেই আনা হবে। | আর জান্নাতকে মুত্তাকীদের নিকটস্থ করা হবে - কোন দূরত্ব থাকবেনা। | মুত্তাক্বীদের জন্য জান্নাতকে নিকটে আনা হবে- তা মোটেই দূরে থাকবে না। | وَ اُزْلِفَتِ الْجَنَّةُ لِلْمُتَّقِیْنَ غَیْرَ بَعِیْدٍ﴿٣١ ﴾ |
32 | এটাই, যার ওয়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল। প্রত্যেক আল্লাহ অভিমুখী অধিক সংরক্ষণশীলদের জন্য। | এরই প্রতিশ্রুতি তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল - প্রত্যেক আল্লাহর অনুরাগী, হিফাযাতকারীর জন্য। | (বলা হবে) ‘এ হল তাই যার ও‘য়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছিল- প্রত্যেক আল্লাহ অভিমুখী ও (গুনাহ থেকে) খুব বেশি হিফাযাতকারীর জন্য। | هٰذَا مَا تُوْعَدُوْنَ لِكُلِّ اَوَّابٍ حَفِیْظٍۚ﴿٣٢ ﴾ |
33 | যে না দেখেই রহমানকে ভয় করত এবং বিনীত হৃদয়ে উপস্থিত হত। | যারা না দেখেই দয়াময় আল্লাহকে ভয় করে এবং বিনীত চিত্তে উপস্থিত হয় – | যে না দেখেই দয়াময় (আল্লাহকে) ভয় করত, আর আল্লাহর নির্দেশ পালনের জন্য বিনয়ে অবনত অন্তর নিয়ে উপস্থিত হত। | مَنْ خَشِیَ الرَّحْمٰنَ بِالْغَیْبِ وَ جَآءَ بِقَلْبٍ مُّنِیْبِۙ﴿٣٣ ﴾ |
34 | তোমরা তাতে শান্তির সাথে প্রবেশ কর। এটাই স্থায়িত্বের দিন। | তাদেরকে বলা হবেঃ শান্তির সাথে তোমরা তাতে প্রবেশ কর; এটা অনন্ত জীবনের দিন। | (তাদেরকে বলা হবে) ‘শান্তির সঙ্গে এতে প্রবেশ কর, এটা চিরস্থায়ী জীবনের দিন।’ | ادْخُلُوْهَا بِسَلٰمٍ ؕ ذٰلِكَ یَوْمُ الْخُلُوْدِ﴿٣٤ ﴾ |
35 | তারা যা চাইবে, সেখানে তাদের জন্য তাই থাকবে এবং আমার কাছে রয়েছে আরও অধিক। | সেখানে তারা যা কামনা করবে তা’ই পাবে এবং আমার নিকট রয়েছে তারও অধিক। | সেখানে তাদের জন্য তা-ই আছে যা তারা ইচ্ছে করবে, আর আমার কাছে (তাছাড়াও) আরো বেশি আছে। | لَهُمْ مَّا یَشَآءُوْنَ فِیْهَا وَ لَدَیْنَا مَزِیْدٌ﴿٣٥ ﴾ |
36 | আমি তাদের পূর্বে বহু প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিয়েছি যারা পাকড়াও করার ক্ষেত্রে এদের তুলনায় ছিল প্রবলতর, তারা দেশ-বিদেশ চষে বেড়াত। তাদের কি কোন পলায়নস্থল ছিল? | আমি তাদের পূর্বে আরও কত মানব গোষ্ঠীকে ধ্বংস করেছি যারা ছিল তাদের অপেক্ষা শক্তিতে প্রবল, তারা দেশ-বিদেশে ভ্রমণ করে ফিরত। পরে তাদের অন্য কোন আশ্রয়স্থল রইলনা। | তাদের পূর্বে আমি কত জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছি যারা শক্তিতে ছিল তাদের চেয়ে প্রবল, যার ফলে তারা দুনিয়া চষে বেড়াত; তারা পালানোর কোন জায়গা পেয়েছিল কি? | وَ كَمْ اَهْلَكْنَا قَبْلَهُمْ مِّنْ قَرْنٍ هُمْ اَشَدُّ مِنْهُمْ بَطْشًا فَنَقَّبُوْا فِی الْبِلَادِ ؕ هَلْ مِنْ مَّحِیْصٍ﴿٣٦ ﴾ |
37 | নিশ্চয় এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্য, যার রয়েছে অন্তর অথবা যে নিবিষ্টচিত্তে শ্রবণ করে। | এতে উপদেশ রয়েছে তার জন্য যার আছে অন্তঃকরণ, অথবা যে শ্রবণ করে নিবিষ্ট চিত্তে। | এতে অবশ্যই উপদেশ রয়েছে তার জন্য যার আছে (বোধশক্তিসম্পন্ন) অন্তর কিংবা যে খুব মন দিয়ে কথা শুনে। | اِنَّ فِیْ ذٰلِكَ لَذِكْرٰی لِمَنْ كَانَ لَهٗ قَلْبٌ اَوْ اَلْقَی السَّمْعَ وَ هُوَ شَهِیْدٌ﴿٣٧ ﴾ |
38 | আর অবশ্যই আমি আসমানসমূহ ও যমীন এবং এতদোভয়ের মধ্যস্থিত সবকিছু ছয় দিনে সৃষ্টি করেছি। আর আমাকে কোনরূপ ক্লান্তি স্পর্শ করেনি। | আমি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবী এবং এগুলির মধ্যস্থিত সব কিছু সৃষ্টি করেছি ছয় দিনে। আমাকে কোন ক্লান্তি স্পর্শ করেনি। | আকাশ, যমীন আর এ দু’য়ের মাঝে যা আছে তা আমি ছ’ দিনে সৃষ্টি করেছি; ক্লান্তি আমাকে স্পর্শ করেনি। (আমি সকল মানুষকে বিচারের জন্য হাজির করবই)। | وَ لَقَدْ خَلَقْنَا السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ وَ مَا بَیْنَهُمَا فِیْ سِتَّةِ اَیَّامٍ ۖۗ وَّ مَا مَسَّنَا مِنْ لُّغُوْبٍ﴿٣٨ ﴾ |
39 | অতএব এরা যা বলে, তাতে তুমি ধৈর্যধারণ কর এবং সূর্য উদয়ের পূর্বে ও অস্তমিত হওয়ার পূর্বে তুমি তোমার রবের প্রশংসাসহ তাসবীহ পাঠ কর। | অতএব তারা যা বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং তোমার রবের প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পূর্বে। | কাজেই তারা (মিথ্যা, উপহাসপূর্ণ ও অপমানজনক কথা) যা বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর আর সূর্যোদয়ের পূর্বে আর সূর্যাস্তের পূর্বে তোমার প্রতিপালকের মহিমা ও প্রশংসা ঘোষণা কর। | فَاصْبِرْ عَلٰی مَا یَقُوْلُوْنَ وَ سَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ قَبْلَ طُلُوْعِ الشَّمْسِ وَ قَبْلَ الْغُرُوْبِۚ﴿٣٩ ﴾ |
40 | এবং রাতের একাংশেও তুমি তাঁর তাসবীহ পাঠ কর এবং সালাতের পশ্চাতেও। | তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর রাতের একাংশে এবং সালাতের পরেও। | আর তাঁর প্রশংসা ঘোষণা কর রাত্রির একাংশে আর নামাযের পরে। | وَ مِنَ الَّیْلِ فَسَبِّحْهُ وَ اَدْبَارَ السُّجُوْدِ﴿٤٠ ﴾ |
41 | মনোনিবেশ কর, যেদিন একজন ঘোষক নিকটবর্তী কোন স্থান থেকে ডাকতে থাকবে। | শোন, যেদিন এক ঘোষণাকারী নিকটবর্তী স্থান হতে আহবান করবে – | আর শোন, যেদিন এক ঘোষণাকারী (প্রত্যেক ব্যক্তির) নিকটবর্তী স্থান থেকে ডাক দিবে, | وَ اسْتَمِعْ یَوْمَ یُنَادِ الْمُنَادِ مِنْ مَّكَانٍ قَرِیْبٍۙ﴿٤١ ﴾ |
42 | সেদিন তারা সত্যিসত্যিই মহাচিৎকার শুনবে। সেটিই উত্থিত হবার দিন। | যেদিন মানুষ অবশ্যই শ্রবণ করবে মহানাদ, সেই দিনই পুনরুত্থান দিন। | যেদিন সমস্ত মানুষ প্রকৃতই শুনতে পাবে এক (ভয়ংকর) ধ্বনি। সেদিনটি হবে (ভূগর্ভ থেকে সকল আত্মার) বের হওয়ার দিন। | یَّوْمَ یَسْمَعُوْنَ الصَّیْحَةَ بِالْحَقِّ ؕ ذٰلِكَ یَوْمُ الْخُرُوْجِ﴿٤٢ ﴾ |
43 | আমিই জীবন দেই এবং আমিই মৃত্যু ঘটাই, আর আমার দিকেই চূড়ান্ত প্রত্যাবর্তন। | আমিই জীবন দান করি, মৃত্যু ঘটাই এবং সকলের প্রত্যাবর্তন আমারই দিকে। | আমিই জীবন দেই, আমিই মুত্যু দেই, আর আমার কাছেই (সব্বাইকে) ফিরে আসতে হবে। | اِنَّا نَحْنُ نُحْیٖ وَ نُمِیْتُ وَ اِلَیْنَا الْمَصِیْرُۙ﴿٤٣ ﴾ |
44 | সেদিন তাদের থেকে যমীন বিদীর্ণ হবে এবং লোকেরা দিগ্বিদিক্ ছুটাছুটি করতে থাকবে। এটি এমন এক সমাবেশ যা আমার পক্ষে অতীব সহজ। | যেদিন পৃথিবী বিদীর্ণ হবে এবং মানুষ বের হয়ে আসবে ব্যস্ত ত্রস্ত হয়ে, এই সমবেত সমাবেশ করণ আমার জন্য সহজ। | যেদিন পৃথিবী দীর্ণ বিদীর্ণ হবে, আর মানুষ ছুটে যাবে (হাশরের পানে)। এই একত্রীকরণ আমার জন্য খুবই সহজ। | یَوْمَ تَشَقَّقُ الْاَرْضُ عَنْهُمْ سِرَاعًا ؕ ذٰلِكَ حَشْرٌ عَلَیْنَا یَسِیْرٌ﴿٤٤ ﴾ |
45 | এরা যা বলে আমি তা সবচেয়ে ভাল জানি। আর তুমি তাদের উপর কোন জোর- জবরদস্তিকারী নও। সুতরাং যে আমার ধমককে ভয় করে তাকে কুরআনের সাহায্যে উপদেশ দাও। | তারা যা বলে তা আমি জানি, তুমি তাদের উপর জবরদস্তিকারী নও। সুতরাং যে আমার শাস্তিকে ভয় করে তাকে উপদেশ দান কর কুরআনের সাহায্যে। | তারা (তোমার বিরুদ্ধে) যা বলে তা আমি ভাল করেই জানি, তুমি তাদের উপর জবরদস্তিকারী নও। কাজেই যে আমার শাস্তির ভয়প্রদর্শনকে ভয় করে, তাকে তুমি কুরআনের সাহায্যে উপদেশ দাও। | نَحْنُ اَعْلَمُ بِمَا یَقُوْلُوْنَ وَ مَاۤ اَنْتَ عَلَیْهِمْ بِجَبَّارٍ ۫ فَذَكِّرْ بِالْقُرْاٰنِ مَنْ یَّخَافُ وَعِیْدِ﴿٤٥ ﴾ |