আয়ত নাম্বার | বায়ান ফাউন্ডেশন | মুজিবুর রহমান | তাইসীরুল কুরআন | আরবি |
---|---|---|---|---|
1 | কসম ধূলিঝড়ের, | শপথ ধূলি ঝঞ্ঝার, | শপথ সেই বাতাসের যা ধূলাবালি উড়ায়, | وَ الذّٰرِیٰتِ ذَرْوًاۙ﴿١ ﴾ |
2 | অতঃপর, পানির বোঝা বহনকারী মেঘমালার, | শপথ বোঝা বহনকারী মেঘপুঞ্জের, | আর যা উঠিয়ে নেয় আর বহন করে ভারী বোঝা, | فَالْحٰمِلٰتِ وِقْرًاۙ﴿٢ ﴾ |
3 | অতঃপর মৃদুগতিতে চলমান নৌযানসমূহের, | অতঃপর স্বচ্ছন্দ গতিময় নৌযানের, | আর যা ধীর ও শান্ত গতিতে বয়ে চলে | فَالْجٰرِیٰتِ یُسْرًاۙ﴿٣ ﴾ |
4 | অতঃপর [আল্লাহর] নির্দেশ বণ্টনকারী ফেরেশতাগণের। | আর শপথ কর্মবন্টনকারী মালাইকা/ফেরেশতার। | আর যারা কর্ম বণ্টন করে, | فَالْمُقَسِّمٰتِ اَمْرًاۙ﴿٤ ﴾ |
5 | তোমরা যে ওয়াদাপ্রাপ্ত হয়েছ তা অবশ্যই সত্য। | তোমাদেরকে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অবশ্যই সত্য। | তোমাদেরকে যার ও‘য়াদা দেয়া হয়েছে তা অবশ্যই সত্য। | اِنَّمَا تُوْعَدُوْنَ لَصَادِقٌۙ﴿٥ ﴾ |
6 | নিশ্চয় প্রতিদান অবশ্যম্ভাবী। | কর্মফল দিন অবশ্যম্ভাবী। | কর্মফল দিবস অবশ্যই আসবে। | وَّ اِنَّ الدِّیْنَ لَوَاقِعٌؕ﴿٦ ﴾ |
7 | কসম সৌন্দর্যমন্ডিত আকাশের | শপথ বহু পথ বিশিষ্ট আকাশের! | বহু পথ বিশিষ্ট আকাশের শপথ। | وَ السَّمَآءِ ذَاتِ الْحُبُكِۙ﴿٧ ﴾ |
8 | নিশ্চয় তোমরা মতবিরোধপূর্ণ কথায় লিপ্ত। | তোমরাতো পরস্পর বিরোধী কথায় লিপ্ত। | (পরকাল সম্পর্কে) তোমরা অবশ্যই রয়েছ মতভেদের মধ্যে। | اِنَّكُمْ لَفِیْ قَوْلٍ مُّخْتَلِفٍۙ﴿٨ ﴾ |
9 | যে পথভ্রষ্ট হয়েছে তাকেই তা থেকে ফিরিয়ে নেয়া হয়েছে। | যে ব্যক্তি সত্যভ্রষ্ট সে’ই তা পরিত্যাগ করে। | যারা সেই (সত্য) মানতে ভুল করে তারাই গুমরাহ। | یُّؤْفَكُ عَنْهُ مَنْ اُفِكَؕ﴿٩ ﴾ |
10 | মিথ্যাচারীরা ধ্বংস হোক! | অভিশপ্ত হোক মিথ্যাচারীরা। | অনুমানকারীরা ধ্বংস হোক, | قُتِلَ الْخَرّٰصُوْنَۙ﴿١٠ ﴾ |
11 | যারা সন্দেহ-সংশয়ে নিপতিত, উদাসীন। | যারা অজ্ঞ ও উদাসীন – | যারা অজ্ঞতা ও উদাসীনতার মধ্যে রয়েছে। | الَّذِیْنَ هُمْ فِیْ غَمْرَةٍ سَاهُوْنَۙ﴿١١ ﴾ |
12 | তারা জিজ্ঞাসা করে, ‘প্রতিদান দিবস’ কবে’? | তারা জিজ্ঞেস করেঃ কর্মফল দিন কবে হবে? | তারা জিজ্ঞেস করে- ‘প্রতিফল দিবস কবে হবে?’ | یَسْـَٔلُوْنَ اَیَّانَ یَوْمُ الدِّیْنِؕ﴿١٢ ﴾ |
13 | ‘যে দিন তারা অগ্নিতে সাজাপ্রাপ্ত হবে’। | (বলঃ) সেই দিন, যখন তাদেরকে শাস্তি দেয়া হবে অগ্নিতে, | (তা হবে সেদিন) যেদিন তাদেরকে আগুনে শাস্তি দেয়া হবে। | یَوْمَ هُمْ عَلَی النَّارِ یُفْتَنُوْنَ﴿١٣ ﴾ |
14 | বলা হবে, ‘তোমাদের আযাব আস্বাদন কর, এটিতো ‘তোমরা ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিলে।’ | এবং (বলা হবে) তোমরা তোমাদের শাস্তি আস্বাদন কর, তোমরা এই শাস্তিই ত্বরান্বিত করতে চেয়েছিলে। | (তাদেরকে বলা হবে) তোমরা তোমাদের (কৃতকর্মের) শাস্তি ভোগ কর, এটা হচ্ছে তাই যার জন্য তোমরা তাড়াহুড়া করছিলে। | ذُوْقُوْا فِتْنَتَكُمْ ؕ هٰذَا الَّذِیْ كُنْتُمْ بِهٖ تَسْتَعْجِلُوْنَ﴿١٤ ﴾ |
15 | নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতসমূহে ও ঝর্ণাধারায়, | সেদিন মুত্তাকীরা থাকবে প্রস্রবণ বিশিষ্ট জান্নাতে। | মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাত আর ঝর্ণাধারার মাঝে। | اِنَّ الْمُتَّقِیْنَ فِیْ جَنّٰتٍ وَّ عُیُوْنٍۙ﴿١٥ ﴾ |
16 | তাদের রব তাদের যা দিবেন তা তারা খুশীতে গ্রহণকারী হবে। ইতঃপূর্বে এরাই ছিল সৎকর্মশীল। | উপভোগ করবে তা যা তাদের রাব্ব তাদেরকে প্রদান করবেন; কারণ পার্থিব জীবনে তারা ছিল সৎকর্মপরায়ণ। | তাদের প্রতিপালক যা তাদেরকে দিবেন তা তারা ভোগ করবে, কারণ তারা পূর্বে (দুনিয়ার জীবনে) ছিল সৎকর্মশীল, | اٰخِذِیْنَ مَاۤ اٰتٰىهُمْ رَبُّهُمْ ؕ اِنَّهُمْ كَانُوْا قَبْلَ ذٰلِكَ مُحْسِنِیْنَؕ﴿١٦ ﴾ |
17 | রাতের সামান্য অংশই এরা ঘুমিয়ে কাটাতো। | তারা রাতের সামান্য অংশই অতিবাহিত করত নিদ্রায়, | তারা রাত্রিকালে খুব কমই শয়ন করত। | كَانُوْا قَلِیْلًا مِّنَ الَّیْلِ مَا یَهْجَعُوْنَ﴿١٧ ﴾ |
18 | আর রাতের শেষ প্রহরে এরা ক্ষমা চাওয়ায় রত থাকত। | রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করত, | আর তারা রাত্রির শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনা করত। | وَ بِالْاَسْحَارِ هُمْ یَسْتَغْفِرُوْنَ﴿١٨ ﴾ |
19 | আর তাদের ধনসম্পদে রয়েছে প্রার্থী ও বঞ্চিতের হক। | এবং তাদের ধন সম্পদে রয়েছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতের হক। | এবং তাদের ধন-মালে আছে যাঞ্ঝাকারী ও বঞ্চিতদের অধিকার (যা তারা আদায় করত)। | وَ فِیْۤ اَمْوَالِهِمْ حَقٌّ لِّلسَّآىِٕلِ وَ الْمَحْرُوْمِ﴿١٩ ﴾ |
20 | সুনিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য যমীনে অনেক নিদর্শন রয়েছে। | নিশ্চিত বিশ্বাসীদের নিদর্শন রয়েছে ধরিত্রীতে – | নিশ্চিত বিশ্বাসীদের জন্য পৃথিবীতে আছে নিদর্শন, | وَ فِی الْاَرْضِ اٰیٰتٌ لِّلْمُوْقِنِیْنَۙ﴿٢٠ ﴾ |
21 | তোমাদের নিজদের মধ্যেও। তোমরা কি চক্ষুষ্মান হবে না? | এবং তোমাদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করবেনা? | আর (নিদর্শন আছে) তোমাদের মাঝেও, তোমরা কি দেখ না? | وَ فِیْۤ اَنْفُسِكُمْ ؕ اَفَلَا تُبْصِرُوْنَ﴿٢١ ﴾ |
22 | আকাশে রয়েছে তোমাদের রিয্ক ও প্রতিশ্রুত সব কিছু। | আকাশে রয়েছে তোমাদের রিযকের উৎস ও প্রতিশ্রুত সবকিছু। | এবং আকাশে আছে তোমাদের রিযক আর আছে যার ও‘য়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে। | وَ فِی السَّمَآءِ رِزْقُكُمْ وَ مَا تُوْعَدُوْنَ﴿٢٢ ﴾ |
23 | অতএব আসমান ও যমীনের রবের কসম, তোমরা যে কথা বলে থাক তার মতই এটি সত্য। | আকাশ ও পৃথিবীর রবের শপথ! অবশ্যই তোমাদের বাক স্ফুর্তির মতই এ সব সত্য। | আকাশ ও যমীনের প্রতিপালকের শপথ! এ সব অবশ্যই সত্য, এমনই দৃঢ় সত্য যেমন তোমরা (যে কথাবার্তা) বলে থাক (সেই কথাবার্তা বলার ব্যাপারটা যেমন নিঃসন্দেহে সত্য)। | فَوَرَبِّ السَّمَآءِ وَ الْاَرْضِ اِنَّهٗ لَحَقٌّ مِّثْلَ مَاۤ اَنَّكُمْ تَنْطِقُوْنَ﴿٢٣ ﴾ |
24 | তোমার কাছে কি ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে? | তোমার নিকট ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত এসেছে কি? | তোমার কাছে ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের খবর পৌঁছেছে কি? | هَلْ اَتٰىكَ حَدِیْثُ ضَیْفِ اِبْرٰهِیْمَ الْمُكْرَمِیْنَۘ﴿٢٤ ﴾ |
25 | যখন তারা তার কাছে আসল এবং বলল, ‘সালাম’, উত্তরে সেও বলল, ‘সালাম’। এরা তো অপরিচিত লোক। | যখন তারা তার নিকট উপস্থিত হয়ে বললঃ সালাম। উত্তরে সে বললঃ সালাম। এরাতো অপরিচিত লোক! | যখন তারা তার সামনে উপস্থিত হল তখন বলল, ‘সালাম’। সে উত্তর দিল- ‘সালাম’। (ইবরাহীম মনে মনে ভাবল এদেরকে তো দেখছি) অপরিচিত লোক। | اِذْ دَخَلُوْا عَلَیْهِ فَقَالُوْا سَلٰمًا ؕ قَالَ سَلٰمٌ ۚ قَوْمٌ مُّنْكَرُوْنَۚ﴿٢٥ ﴾ |
26 | অতঃপর সে দ্রুত চুপিসারে নিজ পরিবারবর্গের কাছে গেল এবং একটি মোটা-তাজা গো-বাছুর (ভাজা) নিয়ে আসল। | অতঃপর সে গৃহাভ্যন্তরে গেল এবং একটি মাংশল ভাজা গো-বৎস নিয়ে এল। | তখন সে তাড়াতাড়ি তার ঘরের লোকেদের নিকট চলে গেল এবং একটি মোটাতাজা (ভাজা) বাছুর নিয়ে আসল। | فَرَاغَ اِلٰۤی اَهْلِهٖ فَجَآءَ بِعِجْلٍ سَمِیْنٍۙ﴿٢٦ ﴾ |
27 | অতঃপর সে তা তাদের সামনে পেশ করল এবং বলল, ‘তোমরা কি খাবে না?’ | তাদের সামনে রাখল এবং বললঃ তোমরা খাচ্ছনা কেন? | অতঃপর সেটিকে তাদের সামনে রেখে দিল এবং বলল- ‘তোমরা খাচ্ছ না কেন?’ | فَقَرَّبَهٗۤ اِلَیْهِمْ قَالَ اَلَا تَاْكُلُوْنَؗ﴿٢٧ ﴾ |
28 | এতে তাদের সম্পর্কে সে মনে মনে ভীত হল। তারা বলল, ‘ভয় পেয়োনা, তারা তাকে এক বিদ্বান পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিল’। | এতে তাদের সম্পর্কে তার মনে ভীতির সঞ্চার হল। তারা বললঃ ভীত হয়োনা। অতঃপর তারা তাকে এক জ্ঞানী পুত্র সন্তানের সুসংবাদ দিল। | (যখন তারা খেল না) তখন সে তাদের ব্যাপারে মনে ভয় পেয়ে গেল। তারা বলল- ‘তুমি ভয় পেও না’, অতঃপর তারা তাকে এক জ্ঞানবান পুত্রের সুসংবাদ দিল। | فَاَوْجَسَ مِنْهُمْ خِیْفَةً ؕ قَالُوْا لَا تَخَفْ ؕ وَ بَشَّرُوْهُ بِغُلٰمٍ عَلِیْمٍ﴿٢٨ ﴾ |
29 | তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসল এবং নিজ মুখ চাপড়িয়ে বলল, ‘বৃদ্ধা-বন্ধ্যা’। | তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে সামনে এসে গাল চাপড়িয়ে বললঃ এই বৃদ্ধা বন্ধ্যার সন্তান হবে? | তখন তার স্ত্রী চিৎকার করতে করতে এগিয়ে আসল। সে নিজের কপালে আঘাত করে বলল ‘(আমি) এক বৃদ্ধা, বন্ধ্যা’ (আমার কীভাবে সন্তান হবে?) | فَاَقْبَلَتِ امْرَاَتُهٗ فِیْ صَرَّةٍ فَصَكَّتْ وَجْهَهَا وَ قَالَتْ عَجُوْزٌ عَقِیْمٌ﴿٢٩ ﴾ |
30 | তারা বলল, ‘তোমার রব এরূপই বলেছেন। নিশ্চয়ই তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ’। | তারা বললঃ তোমার রাব্ব এরূপই বলেছেন; তিনি প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ। | তারা বলল- ‘‘তোমার প্রতিপালক এ রকমই বলেছেন, তিনি মহা প্রজ্ঞাময়, সর্বজ্ঞ। | قَالُوْا كَذٰلِكِ ۙ قَالَ رَبُّكِ ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْحَكِیْمُ الْعَلِیْمُ﴿٣٠ ﴾ |
31 | ইবরাহীম বলল, ‘হে প্রেরিত ফেরেশতাগণ, তোমাদের উদ্দেশ্য কী? | সে (ইবরাহীম) বললঃ হে প্রেরিত মালাইকা/ফেরেশতাগণ! আপনাদের বিশেষ কাজ কি? | ইবরাহীম বলল- ‘ওহে আল্লাহর দূতগণ (ফেরেশতারা)! তোমাদের কাজ কী (এখন)?’ | قَالَ فَمَا خَطْبُكُمْ اَیُّهَا الْمُرْسَلُوْنَ﴿٣١ ﴾ |
32 | তারা বলল, ‘আমরা এক অপরাধী কওমের প্রতি প্রেরিত হয়েছি’। | তারা বললঃ আমাদেরকে এক অপরাধী সম্প্রদায়ের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে। | তারা বলল- ‘আমাদেরকে এক অপরাধী জাতির কাছে পাঠানো হয়েছে। | قَالُوْۤا اِنَّاۤ اُرْسِلْنَاۤ اِلٰی قَوْمٍ مُّجْرِمِیْنَۙ﴿٣٢ ﴾ |
33 | ‘যাতে তাদের উপর মাটির শক্ত ঢেলা নিক্ষেপ করি’। | তাদের উপর নিক্ষেপ করার জন্য মাটির শক্ত ঢেলা, | যেন তাদের উপর মাটির পাথর বর্ষণ করি | لِنُرْسِلَ عَلَیْهِمْ حِجَارَةً مِّنْ طِیْنٍۙ﴿٣٣ ﴾ |
34 | ‘যা তোমার রবের পক্ষ থেকে চিহ্নিত সীমালংঘনকারীদের জন্য’। | যা সীমালংঘনকারীদের জন্য চিহ্নিত তোমার রবের নিকট হতে । | যা তোমার প্রতিপালকের নিকট চিহ্নিত হয়ে আছে সীমালঙ্ঘনকারীদের জন্য। | مُّسَوَّمَةً عِنْدَ رَبِّكَ لِلْمُسْرِفِیْنَ﴿٣٤ ﴾ |
35 | অতঃপর সেখানে যেসব মুমিন ছিল আমি তাদেরকে বের করে নিয়ে আসলাম। | সেখানে যেসব মু’মিন ছিল আমি তাদেরকে উদ্ধার করেছিলাম – | সেখানে যারা মু’মিন ছিল আমি তাদেরকে বের করে এনেছিলাম, | فَاَخْرَجْنَا مَنْ كَانَ فِیْهَا مِنَ الْمُؤْمِنِیْنَۚ﴿٣٥ ﴾ |
36 | তবে আমি সেখানে একটি বাড়ী ছাড়া কোন মুসলমান পাইনি। | এবং সেখানে একটি পরিবার ব্যতীত কোন আত্মসমর্পনকারী (মুসলিম) আমি পাইনি – | আমি সেখানে মুসলিমদের একটি পরিবার ছাড়া আর পাইনি। | فَمَا وَجَدْنَا فِیْهَا غَیْرَ بَیْتٍ مِّنَ الْمُسْلِمِیْنَۚ﴿٣٦ ﴾ |
37 | আর আমি তাদের জন্য সেখানে একটি নিদর্শন রেখেছি যারা যন্ত্রণাদায়ক আযাবকে ভয় করে । | যারা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তিকে ভয় করে আমি তাদের জন্য ওতে একটি নিদর্শন রেখেছি, | আর তাদের জন্য সেখানে একটা নিদর্শন রেখে দিলাম যারা অত্যন্ত পীড়াদায়ক ‘আযাবের ভয় করে। | وَ تَرَكْنَا فِیْهَاۤ اٰیَةً لِّلَّذِیْنَ یَخَافُوْنَ الْعَذَابَ الْاَلِیْمَؕ﴿٣٧ ﴾ |
38 | আর মূসার কাহিনীতেও নিদর্শন রয়েছে, যখন আমি তাকে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ ফির‘আউনের কাছে পাঠিয়েছিলাম। | এবং নিদর্শন রেখেছি মূসার বৃত্তান্তে, যখন আমি তাকে প্রমাণসহ ফির‘আউনের নিকট প্রেরণ করেছিলাম। | আর মূসার ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে) যখন আমি তাকে স্পষ্ট প্রমাণসহ ফেরাউনের কাছে পাঠিয়েছিলাম, | وَ فِیْ مُوْسٰۤی اِذْ اَرْسَلْنٰهُ اِلٰی فِرْعَوْنَ بِسُلْطٰنٍ مُّبِیْنٍ﴿٣٨ ﴾ |
39 | কিন্তু সে তার দলবলসহ মুখ ফিরিয়ে নিল এবং বলল, ‘এ ব্যক্তি যাদুকর অথবা উম্মাদ।’ | তখন সে ক্ষমতা দম্ভে মুখ ফিরিয়ে নিল এবং বললঃ এই ব্যক্তি হয় এক যাদুকর, না হয় উম্মাদ। | তখন সে তার ক্ষমতার দাপটে মুখ ফিরিয়ে নিল আর বলল- ‘এ লোক একটা যাদুকর না হয় পাগল।’ | فَتَوَلّٰی بِرُكْنِهٖ وَ قَالَ سٰحِرٌ اَوْ مَجْنُوْنٌ﴿٣٩ ﴾ |
40 | ফলে আমি তাকে ও তার সৈন্য-সামন্তকে পাকড়াও করলাম। অতঃপর তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। সে তো ছিল তিরস্কৃত। | সুতরাং আমি তাকে ও তার দলবলকে শাস্তি দিলাম এবং তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম; সেতো ছিল তিরস্কারযোগ্য। | শেষে আমি তাকে আর তার সৈন্য সামন্তকে পাকড়াও করলাম আর তাদেরকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করলাম। সে ছিল ধিকৃত নিন্দিত। | فَاَخَذْنٰهُ وَ جُنُوْدَهٗ فَنَبَذْنٰهُمْ فِی الْیَمِّ وَ هُوَ مُلِیْمٌؕ﴿٤٠ ﴾ |
41 | আর ‘আদ জাতির ঘটনায়ও (নিদর্শন রয়েছে), যখন আমি তাদের উপর প্রেরণ করেছিলাম অমঙ্গলজনক বায়ু। | এবং নিদর্শন রয়েছে আ‘দের ঘটনায় যখন আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলাম অকল্যাণকর বায়ু। | আর ‘আদ-এর ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে)। আমি তাদের কাছে পাঠিয়েছিলাম অকল্যাণের বাতাস। | وَ فِیْ عَادٍ اِذْ اَرْسَلْنَا عَلَیْهِمُ الرِّیْحَ الْعَقِیْمَۚ﴿٤١ ﴾ |
42 | ঐ বায়ু যার উপরে এসেছিল তাকে রেখে যায়নি, বরং সবকিছুকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দিয়েছিল। | এটা যা কিছুর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল তাকেই চূর্ন বিচূর্ণ করে দিয়েছিল। | তা যা কিছুর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল তাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ ও ধ্বংসস্তুপে পরিণত না করে ছাড়েনি। | مَا تَذَرُ مِنْ شَیْءٍ اَتَتْ عَلَیْهِ اِلَّا جَعَلَتْهُ كَالرَّمِیْمِؕ﴿٤٢ ﴾ |
43 | আর সামূদ জাতির ঘটনায়ও (নিদর্শন রয়েছে)। যখন তাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘একটি নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত ভোগ করে নাও’। | আরও নিদর্শন রয়েছে সামূদের বৃত্তান্তে, যখন তাদেরকে বলা হলঃ ভোগ করে নাও স্বল্পকাল, | আর সামূদের ঘটনাতেও (নিদর্শন আছে) যখন তাদেরকে বলা হয়েছিল, ‘একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ভোগ করে লও।’ | وَ فِیْ ثَمُوْدَ اِذْ قِیْلَ لَهُمْ تَمَتَّعُوْا حَتّٰی حِیْنٍ﴿٤٣ ﴾ |
44 | অতঃপর তারা তাদের রবের আদেশ সম্পর্কে ঔদ্ধত্য প্রকাশ করল। ফলে বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল, আর তারা তা দেখছিল। | কিন্তু তারা তাদের রবের আদেশ অমান্য করল; ফলে তাদের প্রতি বজ্রাঘাত হল এবং তারা তা দেখতে ছিল। | কিন্তু তারা ধৃষ্টতার সঙ্গে তাদের প্রতিপালকের আদেশ অমান্য করল। ফলে বজ্রাঘাত তাদেরকে পাকড়াও করল যা তারা চেয়ে চেয়ে দেখছিল। | فَعَتَوْا عَنْ اَمْرِ رَبِّهِمْ فَاَخَذَتْهُمُ الصّٰعِقَةُ وَ هُمْ یَنْظُرُوْنَ﴿٤٤ ﴾ |
45 | অতঃপর তারা উঠে দাঁড়াতে পারল না এবং প্রতিরোধও করতে পারল না। | তারা উঠে দাঁড়াতে পারলনা এবং তা প্রতিরোধ করতেও পারলনা। | তারা (পায়ের ভরে) উঠে দাঁড়াতেও পারল না আর আত্মরক্ষা করতেও পারল না। | فَمَا اسْتَطَاعُوْا مِنْ قِیَامٍ وَّ مَا كَانُوْا مُنْتَصِرِیْنَۙ﴿٤٥ ﴾ |
46 | আর ইতঃপূর্বে নূহের কওমকেও (আমি ধ্বংস করে দিয়েছিলাম)। নিশ্চয় তারা ছিল ফাসিক কওম। | আমি ধ্বংস করেছিলাম তাদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়কে, তারা ছিল সত্যত্যাগী সম্প্রদায়। | ইতোপূর্বে আমি নূহের জাতিকে ধ্বংস করেছিলাম, তারা ছিল এক পাপাচারী জাতি। | وَ قَوْمَ نُوْحٍ مِّنْ قَبْلُ ؕ اِنَّهُمْ كَانُوْا قَوْمًا فٰسِقِیْنَ﴿٤٦ ﴾ |
47 | আর আমি হাতসমূহ দ্বারা আকাশ নির্মাণ করেছি এবং নিশ্চয় আমি শক্তিশালী। | আমি আকাশ নির্মাণ করেছি আমার ক্ষমতা বলে এবং আমি অবশ্যই মহাসম্প্রসারণকারী, | আমি নিজ হাত দ্বারা আসমান সৃষ্টি করেছি আর আমি অবশ্যই মহা প্রশস্তকারী। | وَ السَّمَآءَ بَنَیْنٰهَا بِاَیْىدٍ وَّ اِنَّا لَمُوْسِعُوْنَ﴿٤٧ ﴾ |
48 | আর আমি যমীনকে বিছিয়ে দিয়েছি। আমি কতইনা সুন্দর বিছানা প্রস্তুতকারী! | এবং আমি ভূমিকে বিছিয়ে দিয়েছি; আমি কত সুন্দরভাবে বিছিয়েছি এটা। | আর যমীন- তাকে আমিই বিছিয়েছি, আমি কতই না সুন্দর (সমতল) প্রসারণকারী! | وَ الْاَرْضَ فَرَشْنٰهَا فَنِعْمَ الْمٰهِدُوْنَ﴿٤٨ ﴾ |
49 | আর প্রত্যেক বস্তু থেকে আমি জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি। আশা করা যায়, তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে। | আমি প্রত্যেক বস্তু সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর। | আমি প্রত্যেকটি বস্তু সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়, যাতে তোমরা শিক্ষা গ্রহণ কর। | وَ مِنْ كُلِّ شَیْءٍ خَلَقْنَا زَوْجَیْنِ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُوْنَ﴿٤٩ ﴾ |
50 | অতএব তোমরা আল্লাহর দিকে ধাবিত হও। আমি তো তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য এক স্পষ্ট সতর্ককারী। | আল্লাহর দিকে ধাবিত হও; আমি তোমাদের প্রতি আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত সতর্ককারী। | অতএব দৌড়াও আল্লাহর দিকে, আমি তোমাদের জন্য তাঁর পক্ষ হতে স্পষ্ট সতর্ককারী। | فَفِرُّوْۤا اِلَی اللّٰهِ ؕ اِنِّیْ لَكُمْ مِّنْهُ نَذِیْرٌ مُّبِیْنٌۚ﴿٥٠ ﴾ |
51 | আর তোমরা আল্লাহর সাথে কোন ইলাহ নির্ধারণ করো না; আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য এক স্পষ্ট সতর্ককারী। | তোমরা আল্লাহর সাথে কোন মা‘বূদ স্থির করনা; আমি তোমাদের প্রতি আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত স্পষ্ট সতর্ককারী । | তোমরা আল্লাহর সঙ্গে কোন ইলাহ স্থির করো না, আমি তাঁর পক্ষ থেকে তোমাদের জন্য স্পষ্ট সতর্ককারী। | وَ لَا تَجْعَلُوْا مَعَ اللّٰهِ اِلٰهًا اٰخَرَ ؕ اِنِّیْ لَكُمْ مِّنْهُ نَذِیْرٌ مُّبِیْنٌۚ﴿٥١ ﴾ |
52 | এভাবে তাদের পূর্ববর্তীদের মধ্য থেকে যে রাসূলই এসেছে, তারা বলেছে, ‘এ তো একজন যাদুকর অথবা উন্মাদ।’ | এভাবে তাদের পূর্ববর্তীদের নিকট যখনই কোন রাসূল এসেছে, তারা বলেছেঃ তুমিতো এক যাদুকর, না হয় উম্মাদ! | এভাবে যখনই তাদের আগের লোকেদের মধ্যে কোন রসূল এসেছে, তখনই তারা বলেছে- ‘সে যাদুকর না হয় উন্মাদ।’ | كَذٰلِكَ مَاۤ اَتَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِهِمْ مِّنْ رَّسُوْلٍ اِلَّا قَالُوْا سَاحِرٌ اَوْ مَجْنُوْنٌۚ﴿٥٢ ﴾ |
53 | তারা কি একে অন্যকে এ বিষয়ে ওসিয়াত করেছে? বরং তারা সীমালংঘনকারী কওম। | তারা কি একে অপরকে এই মন্ত্রণাই দিয়ে এসেছে? বস্তুতঃ তারা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়। | তারা কি বংশ পরম্পরায় এরই অসিয়ত (অর্থাৎ অন্তিম সবক) দিয়ে আসছে, বরং তারা সীমালঙ্ঘনকারী জাতি। | اَتَوَاصَوْا بِهٖ ۚ بَلْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُوْنَۚ﴿٥٣ ﴾ |
54 | অতএব, তুমি ওদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও, এতে তুমি তিরস্কৃত হবে না। | অতএব তুমি তাদেরকে উপেক্ষা কর, এতে তুমি অপরাধী হবেনা। | কাজেই তুমি তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে লও, তার জন্য তুমি তিরস্কৃত হবে না। | فَتَوَلَّ عَنْهُمْ فَمَاۤ اَنْتَ بِمَلُوْمٍ ۗؗ﴿٥٤ ﴾ |
55 | এবং উপদেশ দিতে থাক, কারণ উপদেশ মুমিনদের উপকারে আসে। | তুমি উপদেশ দিতে থাক, কারণ উপদেশ মু’মিনদের উপকারে আসবে। | আর তুমি উপদেশ দিতে থাক, কেননা উপদেশ মু’মিনদের উপকার করবে। | وَّ ذَكِّرْ فَاِنَّ الذِّكْرٰی تَنْفَعُ الْمُؤْمِنِیْنَ﴿٥٥ ﴾ |
56 | আর জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদাত করবে। | আমি সৃষ্টি করেছি জিন ও মানুষকে এ জন্য যে, তারা আমারই ইবাদাত করবে। | আমি জ্বিন ও মানবকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র এ কারণে যে, তারা আমারই ‘ইবাদাত করবে।। | وَ مَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَ الْاِنْسَ اِلَّا لِیَعْبُدُوْنِ﴿٥٦ ﴾ |
57 | আমি তাদের কাছে কোন রিয্ক চাই না; আর আমি চাই না যে, তারা আমাকে খাবার দিবে। | আমি তাদের নিকট হতে জীবিকা চাইনা এবং এও চাইনা যে, তারা আমার আহার যোগাবে। | আমি তাদের থেকে রিযক চাই না, আর আমি এও চাই না যে, তারা আমাকে খাওয়াবে। | مَاۤ اُرِیْدُ مِنْهُمْ مِّنْ رِّزْقٍ وَّ مَاۤ اُرِیْدُ اَنْ یُّطْعِمُوْنِ﴿٥٧ ﴾ |
58 | নিশ্চয় আল্লাহই রিয্কদাতা, তিনি শক্তিধর, পরাক্রমশালী। | আল্লাহই রিয্ক দান করেন এবং তিনি প্রবল, পরাক্রান্ত। | আল্লাহই তো রিযকদাতা, মহা শক্তিধর, প্রবল পরাক্রান্ত। | اِنَّ اللّٰهَ هُوَ الرَّزَّاقُ ذُو الْقُوَّةِ الْمَتِیْنُ﴿٥٨ ﴾ |
59 | যারা যুলম করেছে তাদের জন্য রয়েছে তাদের সমমনাদের অনুরূপ আযাব; সুতরাং তারা যেন আমার কাছে (আযাবের) তাড়াহুড়া না করে। | যালিমদের প্রাপ্য ওটাই যা অতীতে তাদের সম মতাবলম্বীরা ভোগ করেছে। সুতরাং তারা এর জন্য আমার নিকট যেন ত্বরা না করে। | কাজেই যারা যুলম করেছে তাদের প্রাপ্য তাই যে প্রাপ্য পূর্বে ছিল তাদের মত লোকেদের; কাজেই (নিজেদের প্রাপ্য পাওয়ার জন্য) তারা যেন তাড়াহুড়া না করে। | فَاِنَّ لِلَّذِیْنَ ظَلَمُوْا ذَنُوْبًا مِّثْلَ ذَنُوْبِ اَصْحٰبِهِمْ فَلَا یَسْتَعْجِلُوْنِ﴿٥٩ ﴾ |
60 | অতএব, যারা কুফরী করে তাদের জন্য ধ্বংস সেদিনের যেদিনের ওয়াদা তাদেরকে দেয়া হয়েছে। | কাফিরদের জন্য দুর্ভোগ তাদের ঐ দিনের যে দিনের বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। | কাফিরদের জন্য ধ্বংস (নেবে আসবে) তাদের সেদিনের যেদিনের ভয় তাদেরকে দেখানো হয়েছে। | فَوَیْلٌ لِّلَّذِیْنَ كَفَرُوْا مِنْ یَّوْمِهِمُ الَّذِیْ یُوْعَدُوْنَ﴿٦٠ ﴾ |