আয়ত নাম্বার | বায়ান ফাউন্ডেশন | মুজিবুর রহমান | তাইসীরুল কুরআন | আরবি |
---|---|---|---|---|
1 | কসম তূর পর্বতের, | শপথ তুর পর্বতের, | শপথ তূর (পর্বত) এর, | وَ الطُّوْرِۙ﴿١ ﴾ |
2 | আর কসম কিতাবের যা লিপিবদ্ধ আছে। | শপথ কিতাবের, যা লিখিত আছে – | শপথ কিতাবের যা লিখিত | وَ كِتٰبٍ مَّسْطُوْرٍۙ﴿٢ ﴾ |
3 | উন্মুক্ত পাতায়। | উন্মুক্ত পত্রে। | খোলা পৃষ্ঠায়, | فِیْ رَقٍّ مَّنْشُوْرٍۙ﴿٣ ﴾ |
4 | কসম আবাদ গৃহের,* | শপথ বায়তুল মা‘মুরের, | শপথ বেশি বেশি আবাদকৃত ঘরের, | وَّ الْبَیْتِ الْمَعْمُوْرِۙ﴿٤ ﴾ |
5 | আর সমুন্নত আকাশের; | শপথ সমুন্নত আকাশের, | শপথ সুউচ্চ ছাদের, | وَ السَّقْفِ الْمَرْفُوْعِۙ﴿٥ ﴾ |
6 | কসম তরঙ্গ-বিক্ষুব্ধ সাগরের,* | এবং শপথ উদ্বেলিত সমুদ্রের। | শপথ তরঙ্গায়িত সমুদ্রের, | وَ الْبَحْرِ الْمَسْجُوْرِۙ﴿٦ ﴾ |
7 | নিশ্চয় তোমার রবের আযাব অবশ্যম্ভাবী। | তোমার রবের শাস্তি অবশ্যম্ভাবী, | তোমার প্রতিপালকের ‘আযাব অবশ্যই সংঘটিত হবে। | اِنَّ عَذَابَ رَبِّكَ لَوَاقِعٌۙ﴿٧ ﴾ |
8 | যার কোন প্রতিরোধকারী নেই। | এর নিবারণ করার কেহ নেই। | তার প্রতিরোধকারী কেউ নেই। | مَّا لَهٗ مِنْ دَافِعٍۙ﴿٨ ﴾ |
9 | যেদিন তীব্রভাবে আকাশ প্রকম্পিত হবে, | যেদিন আকাশ আন্দোলিত হবে প্রবলভাবে – | যেদিন আকাশ প্রচন্ডভাবে কাঁপবে, | یَّوْمَ تَمُوْرُ السَّمَآءُ مَوْرًاۙ﴿٩ ﴾ |
10 | আর পর্বতমালা দ্রুত পরিভ্রমণ করবে, | এবং পর্বত চলবে দ্রুত। | আর পর্বত হবে দ্রুত চলমান, | وَّ تَسِیْرُ الْجِبَالُ سَیْرًاؕ﴿١٠ ﴾ |
11 | অতএব মিথ্যারোপকারীদের জন্য সেদিনের ধ্বংস, | দুর্ভোগ সেইদিন মিথ্যাশ্রয়ীদের – | ধ্বংস সেদিন সত্য প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য। | فَوَیْلٌ یَّوْمَىِٕذٍ لِّلْمُكَذِّبِیْنَۙ﴿١١ ﴾ |
12 | যারা খেল-তামাশায় মত্ত থাকে। | যারা ক্রীড়াচ্ছলে অসার কার্যকলাপে লিপ্ত থাকে। | যারা নিরর্থক কথার খেলায় মগ্ন আছে। | الَّذِیْنَ هُمْ فِیْ خَوْضٍ یَّلْعَبُوْنَۘ﴿١٢ ﴾ |
13 | সেদিন তাদেরকে জাহান্নামের আগুনের দিকে হাঁকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। | যেদিন তাদেরকে হাকিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে জাহান্নামের আগুনের দিকে, | যেদিন তাদেরকে জাহান্নামের আগুনের দিকে তাড়িয়ে নেয়া হবে ধাক্কাতে ধাক্কাতে, | یَوْمَ یُدَعُّوْنَ اِلٰی نَارِ جَهَنَّمَ دَعًّاؕ﴿١٣ ﴾ |
14 | ‘এটি সেই জাহান্নাম যা তোমরা অস্বীকার করতে।’ | (বলা হবে) এটাই সেই আগুন যাকে তোমরা মিথ্যা মনে করতে। | (বলা হবে) এটা হল জাহান্নামের সেই আগুন তোমরা যাকে মিথ্যে জানতে। | هٰذِهِ النَّارُ الَّتِیْ كُنْتُمْ بِهَا تُكَذِّبُوْنَ﴿١٤ ﴾ |
15 | ‘এটি কি যাদু, নাকি তোমরা দেখতে পাচ্ছ না!’ | এটা কি যাদু? না কি তোমরা দেখছনা? | এটা কি যাদু, নাকি তোমরা দেখতে পাচ্ছ না? | اَفَسِحْرٌ هٰذَاۤ اَمْ اَنْتُمْ لَا تُبْصِرُوْنَۚ﴿١٥ ﴾ |
16 | তোমরা আগুনে প্রবেশ কর*, তারপর তোমরা ধৈর্যধারণ কর বা না কর, উভয়ই তোমাদের জন্য সমান; তোমাদেরকে তো কেবল তোমাদের আমলের প্রতিফল দেয়া হচ্ছে। | তোমরা এতে প্রবেশ কর, অতঃপর তোমরা ধৈর্য ধারণ কর অথবা না করা উভয়ই তোমাদের জন্য সমান। তোমরা যা করতে তোমাদেরকে তারই প্রতিফল দেয়া হচ্ছে। | এখন এর ভিতর জ্বলতে থাক, অতঃপর ধৈর্য ধর কিংবা ধৈর্য না ধর, তোমাদের জন্য দুই-ই সমান। তোমাদেরকে সেই প্রতিফলই দেয়া হবে যা তোমরা ‘আমাল করতে। | اِصْلَوْهَا فَاصْبِرُوْۤا اَوْ لَا تَصْبِرُوْا ۚ سَوَآءٌ عَلَیْكُمْ ؕ اِنَّمَا تُجْزَوْنَ مَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَ﴿١٦ ﴾ |
17 | নিশ্চয় মুত্তাকীরা (থাকবে) জান্নাতে ও প্রাচুর্যে। | মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতে ও ভোগ করবে বিলাস। | মুত্তাক্বীরা থাকবে জান্নাতে আর নি‘মাত সম্ভারের মাঝে, | اِنَّ الْمُتَّقِیْنَ فِیْ جَنّٰتٍ وَّ نَعِیْمٍۙ﴿١٧ ﴾ |
18 | তাদের রব তাদেরকে যা দিয়েছেন তা উপভোগ করবে, আর তাদের রব তাদেরকে বাঁচাবেন জ্বলন্ত আগুনের আযাব থেকে। | তাদের রাব্ব তাদেরকে যা দিবেন তারা তা উপভোগ করবে এবং তিনি তাদেরকে রক্ষা করবেন জাহান্নামের শাস্তি হতে। | তারা ভোগ করবে তাদের প্রতিপালক যা তাদেরকে দিবেন, আর তাদের প্রতিপালক তাদেরকে জাহান্নামের ‘আযাব থেকে রক্ষা করবেন। | فٰكِهِیْنَ بِمَاۤ اٰتٰىهُمْ رَبُّهُمْ ۚ وَ وَقٰىهُمْ رَبُّهُمْ عَذَابَ الْجَحِیْمِ﴿١٨ ﴾ |
19 | তোমরা তৃপ্তি সহকারে খাও ও পান কর, তোমরা যে আমল করতে তার বিনিময়ে। | তোমরা যা করতে তার প্রতিফল স্বরূপ তোমরা তৃপ্তির সাথে পানাহার করতে থাক। | (তাদেরকে বলা হবে) খাও আর পান কর খুব মজা করে- তোমরা যে ‘আমাল করতে তার প্রতিফল হিসেবে। | كُلُوْا وَ اشْرَبُوْا هَنِیْٓـًٔۢا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُوْنَۙ﴿١٩ ﴾ |
20 | সারিবদ্ধ পালঙ্কে তারা হেলান দিয়ে বসবে; আর আমি তাদেরকে মিলায়ে দেব ডাগরচোখা হূর-এর সাথে। | তারা বসবে শ্রেণীবদ্ধভাবে সজ্জিত আসনে হেলান দিয়ে; আমি তাদের মিলন ঘটাব আয়তলোচনা হুরের সঙ্গে। | তারা সারিবদ্ধভাবে সাজানো আসনে হেলান দিয়ে বসবে, আর আমি তাদের বিয়ে দিয়ে দেব সুন্দর বড় বড় উজ্জ্বল চক্ষু বিশিষ্টা কুমারীদের সঙ্গে। | مُتَّكِـِٕیْنَ عَلٰی سُرُرٍ مَّصْفُوْفَةٍ ۚ وَ زَوَّجْنٰهُمْ بِحُوْرٍ عِیْنٍ﴿٢٠ ﴾ |
21 | আর যারা ঈমান আনে এবং তাদের সন্তান-সন্ততি ঈমানের সাথে তাদের অনুসরণ করে, আমরা তাদের সাথে তাদের সন্তানদের মিলন ঘটাব এবং তাদের কর্মের কোন অংশই কমাব না। প্রত্যেক ব্যক্তি তার কামাইয়ের ব্যাপারে দায়ী থাকবে। | এবং যারা ঈমান আনে আর তাদের সন্তান-সন্ততি ঈমানে তাদের অনুগামী হয়, তাদের সাথে মিলিত করাব তাদের সন্তান-সন্ততিকে এবং তাদের কর্মফল আমি কিছুমাত্র হ্রাস করবনা, প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়ী। | যারা ঈমান আনে আর তাদের সন্তান সন্ততিরা ঈমানের সাথে পিতামাতাকে অনুসরণ করে, আমি তাদের সাথে তাদের সন্তান সন্ততিকে মিলিত করব। তাদের ‘আমালের কোন কিছু থেকেই আমি তাদেরকে বঞ্চিত করব না। প্রত্যেক ব্যক্তিই নিজ কৃতকর্মের জন্য দায়বদ্ধ। | وَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ اتَّبَعَتْهُمْ ذُرِّیَّتُهُمْ بِاِیْمَانٍ اَلْحَقْنَا بِهِمْ ذُرِّیَّتَهُمْ وَ مَاۤ اَلَتْنٰهُمْ مِّنْ عَمَلِهِمْ مِّنْ شَیْءٍ ؕ كُلُّ امْرِئٍۭ بِمَا كَسَبَ رَهِیْنٌ﴿٢١ ﴾ |
22 | আর আমি তাদেরকে অতিরিক্ত দেব ফলমূল ও গোশত যা তারা কামনা করবে। | আমি তাদেরকে দিব ফল-মূল এবং গোশত যা তারা পছন্দ করে। | আমি তাদেরকে দিব ফলমূল আর গোশত যা তারা পছন্দ করবে। | وَ اَمْدَدْنٰهُمْ بِفَاكِهَةٍ وَّ لَحْمٍ مِّمَّا یَشْتَهُوْنَ﴿٢٢ ﴾ |
23 | তারা পরস্পরের মধ্যে পানপাত্র বিনিময় করবে; সেখানে থাকবে না কোন বেহুদা কথাবার্তা এবং কোন পাপকাজ। | সেখানে তারা একে অপরের নিকট হতে গ্রহণ করবে পান পাত্র, যা হতে পান করলে কেহ অসার কথা বলবেনা এবং অসৎ কাজেও লিপ্ত হবেনা। | তারা সেখানে পরস্পরের মধ্যে বিনিময় করবে পানপাত্র, থাকবে না সেখানে কোন বেহুদা বকবকানি, থাকবে না কোন পাপের কাজ। | یَتَنَازَعُوْنَ فِیْهَا كَاْسًا لَّا لَغْوٌ فِیْهَا وَ لَا تَاْثِیْمٌ﴿٢٣ ﴾ |
24 | আর তাদের সেবায় চারপাশে ঘুরবে বালকদল; তারা যেন সুরক্ষিত মুক্তা। | সুরক্ষিত মুক্তা সদৃশ কিশোরেরা সেখানে তাদের জন্য নিয়োজিত থাকবে। | তাদের চতুর্দিকে ঘুর ঘুর ক’রে তাদের সেবায় নিয়োজিত থাকবে কিশোরেরা (যারা এতই সুন্দর) যেন সযত্নে লুকিয়ে রাখা মণিমুক্তা। | وَ یَطُوْفُ عَلَیْهِمْ غِلْمَانٌ لَّهُمْ كَاَنَّهُمْ لُؤْلُؤٌ مَّكْنُوْنٌ﴿٢٤ ﴾ |
25 | আর তারা একে অপরের মুখোমুখি হয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করবে, | তারা একে অপরের দিকে মুখোমুখি জিজ্ঞসাবাদ করবে – | তারা পরস্পরের নিকট এগিয়ে গিয়ে একে অপরকে জিজ্ঞেস করবে, | وَ اَقْبَلَ بَعْضُهُمْ عَلٰی بَعْضٍ یَّتَسَآءَلُوْنَ﴿٢٥ ﴾ |
26 | তারা বলবে, ‘পূর্বে আমরা আমাদের পরিবারের মধ্যে শঙ্কিত ছিলাম।’ | এবং বলবেঃ পূর্বে আমরা পরিবার-পরিজনের মধ্যে শংকিত অবস্থায় ছিলাম – | তারা বলবে, ‘পূর্বে আমরা আমাদের পরিবারে (দুনিয়াবী নানা কারণে ও আখিরাতের ‘আযাবের আশংকায়) ভয় ভীতির মধ্যে ছিলাম। | قَالُوْۤا اِنَّا كُنَّا قَبْلُ فِیْۤ اَهْلِنَا مُشْفِقِیْنَ﴿٢٦ ﴾ |
27 | ‘অতঃপর আল্লাহ আমাদের প্রতি দয়া করেছেন এবং আগুনের আযাব থেকে আমাদেরকে রক্ষা করেছেন।’ | অতঃপর আমাদের প্রতি আল্লাহ অনুগ্রহ করেছেন এবং আমাদেরকে অগ্নির শাস্তি হতে রক্ষা করেছেন, | অবশেষে আল্লাহ আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করেছেন আর আমাদেরকে ঝলসে দেয়া বাতাসের ‘আযাব থেকে রক্ষা করেছেন। | فَمَنَّ اللّٰهُ عَلَیْنَا وَ وَقٰىنَا عَذَابَ السَّمُوْمِ﴿٢٧ ﴾ |
28 | নিশ্চয় পূর্বে আমরা তাঁকে ডাকতাম; নিশ্চয় তিনি ইহসানকারী, পরম দয়ালু। | আমরা পূর্বেও আল্লাহকে আহবান করতাম, তিনিতো কৃপাময়, পরম দয়ালু। | পূর্বে আমরা তাঁর কাছেই দু‘আ করতাম, তিনি অতি অনুগ্রহকারী, পরম দয়াবান। | اِنَّا كُنَّا مِنْ قَبْلُ نَدْعُوْهُ ؕ اِنَّهٗ هُوَ الْبَرُّ الرَّحِیْمُ﴿٢٨ ﴾ |
29 | অতএব, তুমি উপদেশ দিতে থাক; কারণ তোমার রবের অনুগ্রহে তুমি গণক নও এবং উন্মাদও নও। | অতএব তুমি উপদেশ দান করতে থাক, তোমার রবের অনুগ্রহে তুমি গণক নও, উম্মাদও নও। | কাজেই তুমি উপদেশ দিতে থাক, তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহে তুমি গণকও নও, আর পাগলও নও। | فَذَكِّرْ فَمَاۤ اَنْتَ بِنِعْمَتِ رَبِّكَ بِكَاهِنٍ وَّ لَا مَجْنُوْنٍؕ﴿٢٩ ﴾ |
30 | তারা কি বলছে, ‘সে (মুহাম্মাদ) একজন কবি? আমরা তার মৃত্যুর প্রতীক্ষা করছি।’ | তারা কি বলতে চায় যে, সে একজন কবি, আমরা তার জন্য কালের বিপর্যয়ের প্রতীক্ষা করছি। | তারা কি বলে সে একজন কবি, যার জন্য আমরা কালচক্রের (বিপদাপদের) অপেক্ষা করছি। | اَمْ یَقُوْلُوْنَ شَاعِرٌ نَّتَرَبَّصُ بِهٖ رَیْبَ الْمَنُوْنِ﴿٣٠ ﴾ |
31 | বল, ‘তোমরা অপেক্ষায় থাক! আমিও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষাকারীদের অন্তর্ভুক্ত রইলাম।’ | বলঃ তোমরা প্রতীক্ষা কর, আমিও তোমাদের সাথে প্রতীক্ষা করছি। | ওদেরকে বল- তোমরা অপেক্ষা কর, আমিও তোমাদের সঙ্গে অপেক্ষা করছি। (অতঃপর উভয় পক্ষই দেখতে পাবে কার কী পরিণতি হয়)। | قُلْ تَرَبَّصُوْا فَاِنِّیْ مَعَكُمْ مِّنَ الْمُتَرَبِّصِیْنَؕ﴿٣١ ﴾ |
32 | তাদের বিবেক কি তাদেরকে এ আদেশ দেয়, না তারা সীমালংঘনকারী কওম? | তাহলে কি তাদের বুদ্ধি তাদেরকে এই বিষয়ে প্ররোচিত করে, না তারা এক সীমালংঘনকারী সম্প্রদায়? | তাদের বুদ্ধি বিবেক কি তাদেরকে এ নির্দেশ দেয়, নাকি তারা মূলতঃই এক সীমালঙ্ঘনকারী জাতি? | اَمْ تَاْمُرُهُمْ اَحْلَامُهُمْ بِهٰذَاۤ اَمْ هُمْ قَوْمٌ طَاغُوْنَۚ﴿٣٢ ﴾ |
33 | তারা কি বলে, ‘সে এটা বানিয়ে বলছে?’ বরং তারা ঈমান আনে না। | তারা কি বলেঃ এই কুরআন তার নিজের রচনা? বরং তারা অবিশ্বাসী। | তারা কি বলে- ‘সে নিজেই (কুরআন) রচনা করে নিয়েছে? আসলে তারা ঈমানই আনেনি। | اَمْ یَقُوْلُوْنَ تَقَوَّلَهٗ ۚ بَلْ لَّا یُؤْمِنُوْنَۚ﴿٣٣ ﴾ |
34 | অতএব, তারা যদি সত্যবাদী হয় তবে তার অনুরূপ বাণী নিয়ে আসুক। | তারা যদি সত্যবাদী হয় তাহলে এই সদৃশ কোন রচনা উপস্থিত করুক। | তারা সত্যবাদী হলে এ রকম একটা কালাম তারা নিয়ে আসুক না কেন। | فَلْیَاْتُوْا بِحَدِیْثٍ مِّثْلِهٖۤ اِنْ كَانُوْا صٰدِقِیْنَؕ﴿٣٤ ﴾ |
35 | তারা কি স্রষ্টা ছাড়া সৃষ্টি হয়েছে, না তারাই স্রষ্টা? | তারা কি স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্টি হয়েছে, না তারা নিজেরাই স্রষ্টা? | তারা কি সৃষ্টি হয়েছে, নাকি তারা নিজেরাই সৃষ্টিকর্তা? | اَمْ خُلِقُوْا مِنْ غَیْرِ شَیْءٍ اَمْ هُمُ الْخٰلِقُوْنَؕ﴿٣٥ ﴾ |
36 | তারা কি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছে? বরং তারা দৃঢ় বিশ্বাস করে না। | না কি তারা আকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছে? বরং তারাতো অবিশ্বাসী | নাকি তারা আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছে? আসলে তারা নিশ্চিত বিশ্বাসী নয়। | اَمْ خَلَقُوا السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضَ ۚ بَلْ لَّا یُوْقِنُوْنَؕ﴿٣٦ ﴾ |
37 | তোমার রবের গুপ্তভান্ডার কি তাদের কাছে আছে, না তারা সব কিছু নিয়ন্ত্রণকারী? | তোমার রবের ভান্ডার কি তাদের নিকট রয়েছে, না তারা এ সমুদয়ের নিয়ন্তা? | নাকি তোমার প্রতিপালকের ধনভান্ডারগুলো তাদের হাতে, না তারা এর নিয়ন্ত্রক? | اَمْ عِنْدَهُمْ خَزَآىِٕنُ رَبِّكَ اَمْ هُمُ الْمُصَۜیْطِرُوْنَؕ﴿٣٧ ﴾ |
38 | নাকি তাদের আছে সিঁড়ি, যাতে চড়ে তারা (ঊর্ধ্বলোকের কথা) শুনতে পায়; তাদের শ্রোতা স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে আসুক না? | না কি তাদের কোন সিড়ি আছে যাতে আরোহণ করে তারা শ্রবণ করে? থাকলে তাদের সেই শ্রোতা সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থিত করুক। | নাকি তাদের কাছে, সিঁড়ি আছে যাতে তারা (আকাশে উঠে যায় আর গোপন কথা) শুনে থাকে? থাকলে তাদের (সেই) শ্রোতা স্পষ্ট প্রমাণ হাজির করুক। | اَمْ لَهُمْ سُلَّمٌ یَّسْتَمِعُوْنَ فِیْهِ ۚ فَلْیَاْتِ مُسْتَمِعُهُمْ بِسُلْطٰنٍ مُّبِیْنٍؕ﴿٣٨ ﴾ |
39 | তবে কি কন্যাসন্তান তাঁর; আর পুত্রসন্তান তোমাদের? | তাহলে কি কন্যা সন্তান তাঁর জন্য এবং পুত্র সন্তান তোমাদের জন্য? | নাকি আল্লাহর জন্য কন্যা সন্তান, আর তোমাদের জন্য পুত্র সন্তান? | اَمْ لَهُ الْبَنٰتُ وَ لَكُمُ الْبَنُوْنَؕ﴿٣٩ ﴾ |
40 | তবে কি তুমি তাদের কাছে প্রতিদান চাও যে, তারা তা ভারী জরিমানা মনে করে? | তাহলে কি তুমি তাদের নিকট পারিশ্রমিক চাচ্ছ যে, তারা একে একটি দুর্বহ বোঝা মনে করবে? | নাকি তুমি তাদের কাছে পারিশ্রমিক চাচ্ছ, যার ফলে তারা ঋণে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ছে? | اَمْ تَسْـَٔلُهُمْ اَجْرًا فَهُمْ مِّنْ مَّغْرَمٍ مُّثْقَلُوْنَؕ﴿٤٠ ﴾ |
41 | নাকি তাদের কাছে আছে গায়েবের জ্ঞান, যা তারা লিখছে? | না কি অদৃশ্য বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান আছে যে, তারা এই বিষয়ে কিছু লিখে? | নাকি তাদের কাছে অদৃশ্যের জ্ঞান আছে, আর তারা তা লিখছে? | اَمْ عِنْدَهُمُ الْغَیْبُ فَهُمْ یَكْتُبُوْنَؕ﴿٤١ ﴾ |
42 | নাকি তারা ষড়যন্ত্র করতে চায়? অতএব যারা কুফরী করে তারাই হবে ষড়যন্ত্রের শিকার। | অথবা তারা কি কোন ষড়যন্ত্র করতে চায়? পরিণামে কাফিরেরাই হবে ষড়যন্ত্রের শিকার। | নাকি তারা (তোমার বিরুদ্ধে) চক্রান্ত করতে চায়? তাহলে কিন্তু কাফিররাই চক্রান্তের ফাঁদে আটকা পড়বে। | اَمْ یُرِیْدُوْنَ كَیْدًا ؕ فَالَّذِیْنَ كَفَرُوْا هُمُ الْمَكِیْدُوْنَؕ﴿٤٢ ﴾ |
43 | নাকি তাদের জন্য আল্লাহ ছাড়া অন্য ইলাহ আছে? তারা যে শিরক করে তা থেকে আল্লাহ পবিত্র। | না কি আল্লাহ ব্যতীত তাদের অন্য কোন মা‘বূদ আছে? তারা যাকে শরীক স্থির করে আল্লাহ তা হতে পবিত্র। | নাকি আল্লাহ ছাড়া তাদের জন্য ইলাহ্ আছে? তারা যাকে শরীক গণ্য করে আল্লাহ তা থেকে পবিত্র। | اَمْ لَهُمْ اِلٰهٌ غَیْرُ اللّٰهِ ؕ سُبْحٰنَ اللّٰهِ عَمَّا یُشْرِكُوْنَ﴿٤٣ ﴾ |
44 | আর কোন আকাশখন্ড ভেঙ্গে পড়তে দেখলে তারা বলবে, ‘এটি তো এক পুঞ্জীভূত মেঘ’! | তারা আকাশের কোন খন্ড ভেঙ্গে পড়তে দেখলেও বলবেঃ এটাতো এক পূঞ্জীভুত মেঘ। | আকাশের কোন খন্ড ভেঙ্গে পড়তে দেখলে তারা বলত- ‘এটা তো পুঞ্জীভূত মেঘ। (তাদেরকে আল্লাহর যতই বিস্ময়কর নিদর্শন দেখানো হোক না কেন, তারা ঈমান আনবে না।) | وَ اِنْ یَّرَوْا كِسْفًا مِّنَ السَّمَآءِ سَاقِطًا یَّقُوْلُوْا سَحَابٌ مَّرْكُوْمٌ﴿٤٤ ﴾ |
45 | অতএব, তাদেরকে ছেড়ে দাও সেদিন পর্যন্ত যেদিন তারা ধ্বংস হবে। | তাদেরকে উপেক্ষা করে চল সেই দিন পর্যন্ত, যে দিন তারা বজ্রাঘাতের সম্মুখীন হবে। | কাজেই তাদেরকে উপেক্ষা কর যতক্ষণ না তারা সাক্ষাৎ করে তাদের সেদিনের যেদিন তারা হবে বজ্রাহত। | فَذَرْهُمْ حَتّٰی یُلٰقُوْا یَوْمَهُمُ الَّذِیْ فِیْهِ یُصْعَقُوْنَۙ﴿٤٥ ﴾ |
46 | যেদিন তাদের পক্ষ থেকে কৃত তাদের ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসবে না এবং তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না। | যেদিন তাদের ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসবেনা এবং তাদেরকে সাহায্যও করা হবেনা। | সেদিন তাদের ষড়যন্ত্র তাদের কোন কাজে আসবে না, আর তারা সাহায্যপ্রাপ্তও হবে না। | یَوْمَ لَا یُغْنِیْ عَنْهُمْ كَیْدُهُمْ شَیْـًٔا وَّ لَا هُمْ یُنْصَرُوْنَؕ﴿٤٦ ﴾ |
47 | আর নিশ্চয় যারা যুলম করবে তাদের জন্য থাকবে এছাড়া আরো আযাব; কিন্তু তাদের বেশীরভাগই জানে না। | এ ছাড়াও আরও শাস্তি রয়েছে যালিমদের জন্য। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা জানেনা। | যালিমদের জন্য এছাড়া আরো ‘আযাব রয়েছে, কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না। | وَ اِنَّ لِلَّذِیْنَ ظَلَمُوْا عَذَابًا دُوْنَ ذٰلِكَ وَ لٰكِنَّ اَكْثَرَهُمْ لَا یَعْلَمُوْنَ﴿٤٧ ﴾ |
48 | আর তোমাদের রবের সিদ্ধান্তের জন্য ধৈর্যধারণ কর; কারণ তুমি আমার চোখের সামনেই আছ, তুমি যখন জেগে ওঠ তখন তোমার রবের সপ্রশংস তাসবীহ পাঠ কর। | ধৈর্য ধারণ কর তোমার রবের নির্দেশের অপেক্ষায়; তুমি আমার চোখের সামনেই রয়েছ। তুমি তোমার রবের প্রশংসা, পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর যখন তুমি শয্যা ত্যাগ কর – | তুমি ধৈর্য ধরে তোমার প্রতিপালকের হুকুমের অপেক্ষায় থাক, কারণ তুমি আমার চোখের সামনেই আছ। আর তুমি তোমার প্রতিপালকের প্রশংসা ঘোষণা কর যখন তুমি উঠ (মাজলিস শেষে, অথবা বিছানা ছেড়ে কিংবা নামাযের জন্য)। | وَ اصْبِرْ لِحُكْمِ رَبِّكَ فَاِنَّكَ بِاَعْیُنِنَا وَ سَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ حِیْنَ تَقُوْمُۙ﴿٤٨ ﴾ |
49 | আর রাতের কিছু অংশে এবং নক্ষত্রের অস্ত যাবার পর তার তাসবীহ পাঠ কর। | এবং তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা কর রাতে ও তারকার অস্ত গমনের পর। | আর রাত্রিকালে তাঁর প্রশংসা ও মহিমা ঘোষণা কর আর (রাতের শেষভাগে যখন) তারকারাজি অস্তমিত হয়ে যায়। | وَ مِنَ الَّیْلِ فَسَبِّحْهُ وَ اِدْبَارَ النُّجُوْمِ﴿٤٩ ﴾ |