আয়ত নাম্বার | বায়ান ফাউন্ডেশন | মুজিবুর রহমান | তাইসীরুল কুরআন | আরবি |
---|---|---|---|---|
1 | কসম নক্ষত্রের, যখন তা অস্ত যায়। | শপথ নক্ষত্রের, যখন ওটা হয় অস্তমিত, | শপথ তারকার যখন তা অস্ত যায়, | وَ النَّجْمِ اِذَا هَوٰیۙ﴿١ ﴾ |
2 | তোমাদের সঙ্গী পথভ্রষ্ট হয়নি এবং বিপথগামীও হয়নি। | তোমাদের সঙ্গী বিভ্রান্ত নয়, বিপথগামীও নয়, | তোমাদের (মাঝে ছোট থেকে বড় হয়েছে সেই) সঙ্গী গুমরাহও নয় আর ভুলপথে পরিচালিতও নয়, | مَا ضَلَّ صَاحِبُكُمْ وَ مَا غَوٰیۚ﴿٢ ﴾ |
3 | আর সে মনগড়া কথা বলে না। | এবং সে মনগড়া কথাও বলেনা। | আর সে মনগড়া কথাও বলে না। | وَ مَا یَنْطِقُ عَنِ الْهَوٰیؕ﴿٣ ﴾ |
4 | তাতো কেবল ওহী, যা তার প্রতি ওহীরূপে প্রেরণ করা হয়। | এটাতো অহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়। | তাতো ওয়াহী যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ করা হয়, | اِنْ هُوَ اِلَّا وَحْیٌ یُّوْحٰیۙ﴿٤ ﴾ |
5 | তাকে শিক্ষা দিয়েছে প্রবল শক্তিধর, | তাকে শিক্ষা দান করে শক্তিশালী – | তাকে শিক্ষা দেয় শক্তিশালী, | عَلَّمَهٗ شَدِیْدُ الْقُوٰیۙ﴿٥ ﴾ |
6 | প্রজ্ঞার অধিকারী*। অতঃপর সে স্থির হয়েছিল, | প্রজ্ঞা সম্পন্ন; সে নিজ আকৃতিতে স্থির হয়েছিল, | প্রজ্ঞার অধিকারী (জিবরাঈল) সে নিজ আকৃতিতে স্থির হয়ে ছিল, | ذُوْ مِرَّةٍ ؕ فَاسْتَوٰیۙ﴿٦ ﴾ |
7 | তখন সে ঊর্ধ্ব দিগন্তে। | তখন সে ঊর্ধ্ব দিগন্তে। | আর সে ছিল ঊর্ধ্ব দিগন্তে, | وَ هُوَ بِالْاُفُقِ الْاَعْلٰیؕ﴿٧ ﴾ |
8 | তারপর সে নিকটবর্তী হল, অতঃপর আরো কাছে এল। | অতঃপর সে তার নিকটবর্তী হল, অতি নিকটবর্তী। | অতঃপর সে (নবীর) নিকটবর্তী হল, অতঃপর আসলো আরো নিকটে, | ثُمَّ دَنَا فَتَدَلّٰیۙ﴿٨ ﴾ |
9 | তখন সে নৈকট্য ছিল দু’ ধনুকের পরিমাণ, অথবা তারও কম। | ফলে তাদের মধ্যে দুই ধনুকের ব্যবধান রইল, অথবা তারও কম। | ফলে [নবী (সাঃ) ও জিবরাঈলের মাঝে] দুই ধনুকের ব্যবধান রইল অথবা আরো কম। | فَكَانَ قَابَ قَوْسَیْنِ اَوْ اَدْنٰیۚ﴿٩ ﴾ |
10 | অতঃপর তিনি তাঁর বান্দার প্রতি যা ওহী করার তা ওহী করলেন। | তখন আল্লাহ তাঁর বান্দার প্রতি যা অহী করার তা অহী করলেন। | তখন (আল্লাহ) তাঁর বান্দাহর প্রতি ওয়াহী করলেন যা ওয়াহী করার ছিল। | فَاَوْحٰۤی اِلٰی عَبْدِهٖ مَاۤ اَوْحٰیؕ﴿١٠ ﴾ |
11 | সে যা দেখেছে, অন্তকরণ সে সম্পর্কে মিথ্যা বলেনি। | যা সে দেখেছে তার অন্তকরণ তা অস্বীকার করেনি। | (নবীর) অন্তঃকরণ মিথ্যে মনে করেনি যা সে দেখে ছিল। | مَا كَذَبَ الْفُؤَادُ مَا رَاٰی﴿١١ ﴾ |
12 | সে যা দেখেছে, সে সম্পর্কে তোমরা কি তার সাথে বিতর্ক করবে? | সে যা দেখেছে তোমরা কি সে বিষয়ে তার সংগে বিতর্ক করবে? | সে যা দেখেছে সে বিষয়ে তোমরা কি তার সঙ্গে বিতর্ক করবে? | اَفَتُمٰرُوْنَهٗ عَلٰی مَا یَرٰی﴿١٢ ﴾ |
13 | আর সে তো তাকে* আরেকবার** দেখেছিল। | নিশ্চয়ই সে তাকে আরেকবার দেখেছিল। | অবশ্যই সে [অর্থাৎ নবী (সা.)] তাকে [অর্থাৎ জিবরাঈল (আঃ)-কে] আরেকবার দেখেছিল | وَ لَقَدْ رَاٰهُ نَزْلَةً اُخْرٰیۙ﴿١٣ ﴾ |
14 | সিদরাতুল মুনতাহার* নিকট। | সিদরাতুল মুনতাহার নিকট, | শেষসীমার বরই গাছের কাছে, | عِنْدَ سِدْرَةِ الْمُنْتَهٰی﴿١٤ ﴾ |
15 | যার কাছে জান্নাতুল মা’ওয়া* অবস্থিত। | যার নিকট অবস্থিত বাসোদ্যান। | যার কাছে অবস্থিত বসবাসের জান্নাত। | عِنْدَهَا جَنَّةُ الْمَاْوٰیؕ﴿١٥ ﴾ |
16 | যখন কুল গাছটিকে যা আচ্ছাদিত করার তা আচ্ছাদিত করেছিল। | যখন বৃক্ষটি, যদ্বারা আচ্ছাদিত হবার তদ্বারা ছিল আচ্ছাদিত, | যখন গাছটি যা দিয়ে ঢেকে থাকার তা দিয়ে ঢাকা ছিল, (যার বর্ণনা মানুষের বোধগম্য নয়) | اِذْ یَغْشَی السِّدْرَةَ مَا یَغْشٰیۙ﴿١٦ ﴾ |
17 | তার দৃষ্টি এদিক-সেদিক যায়নি এবং সীমাও অতিক্রম করেনি। | তার দৃষ্টি বিভ্রম হয়নি, দৃষ্টি লক্ষ্যচ্যূতও হয়নি। | (নবীর) দৃষ্টি ভ্রমও ঘটেনি, সীমা ছাড়িয়েও যায়নি। | مَا زَاغَ الْبَصَرُ وَ مَا طَغٰی﴿١٧ ﴾ |
18 | নিশ্চয় সে তার রবের বড় বড় নিদর্শনসমূহ থেকে দেখেছে। | সেতো তার প্রতিপালকের মহান নিদর্শনাবলী দেখেছিল। | সে তার প্রতিপালকের বড় বড় নিদর্শন দেখেছিল। | لَقَدْ رَاٰی مِنْ اٰیٰتِ رَبِّهِ الْكُبْرٰی﴿١٨ ﴾ |
19 | তোমরা লাত ও ‘উযযা সম্পর্কে আমাকে বল’? | তোমরা কি ভেবে দেখেছ লাত ও উযযা সম্বন্ধে? | তোমরা কি লাত ও উযযা সম্পর্কে ভেবে দেখেছ? | اَفَرَءَیْتُمُ اللّٰتَ وَ الْعُزّٰیۙ﴿١٩ ﴾ |
20 | আর মানাত সম্পর্কে, যা তৃতীয় আরেকটি? | এবং তৃতীয় আরেকটি ‘মানাত’ সম্বন্ধে? | আর তৃতীয় আরেকটি মানাৎ সম্পর্কে? (এ সব অক্ষম, বাকশক্তিহীন, নড়া-চড়ার শক্তিহীন মূর্তিগুলোর পূজা করা কতটা যুক্তিযুক্ত) | وَ مَنٰوةَ الثَّالِثَةَ الْاُخْرٰی﴿٢٠ ﴾ |
21 | তোমাদের জন্য কি পুত্র আর আল্লাহর জন্য কন্যা? | তাহলে কি পুত্র-সন্তান তোমাদের জন্য এবং কন্যা-সন্তান আল্লাহর জন্য? | কী! তোমাদের জন্য পুত্র সন্তান আর আল্লাহর জন্য কন্যা সন্তান? | اَلَكُمُ الذَّكَرُ وَ لَهُ الْاُنْثٰی﴿٢١ ﴾ |
22 | এটাতো তাহলে এক অসঙ্গত বণ্টন! | এ ধরণের বন্টনতো অসঙ্গত। | তাহলে এটাতো খুবই অসঙ্গত ভাগ-বাঁটোয়ারা। | تِلْكَ اِذًا قِسْمَةٌ ضِیْزٰی﴿٢٢ ﴾ |
23 | এগুলো কেবল কতিপয় নাম, যে নামগুলো তোমরা ও তোমাদের পিতৃপুরুষেরা রেখেছ। এ ব্যাপারে আল্লাহ কোন দলীল-প্রমাণ নাযিল করেননি। তারা তো কেবল অনুমান এবং নিজেরা যা চায়, তার অনুসরণ করে। অথচ তাদের কাছে তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়াত এসেছে। | এগুলির কতক নামমাত্র যা তোমাদের পূর্ব-পুরুষরা ও তোমরা রেখেছ, যার সমর্থনে আল্লাহ কোন দলীল প্রেরণ করেননি। তারাতো অনুমান এবং নিজেদের প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, অথচ তাদের নিকট তাদের রবের পথনির্দেশ এসেছে। | এগুলো তো কেবল কতকগুলো নাম যে নাম তোমরা আর তোমাদের পিতৃ পৃরুষরা রেখেছ, এর পক্ষে আল্লাহ কোন প্রমাণ অবতীর্ণ করেননি। তারা তো শুধু অনুমান আর প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, যদিও তাদের কাছে তাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে পথ নির্দেশ এসেছে। | اِنْ هِیَ اِلَّاۤ اَسْمَآءٌ سَمَّیْتُمُوْهَاۤ اَنْتُمْ وَ اٰبَآؤُكُمْ مَّاۤ اَنْزَلَ اللّٰهُ بِهَا مِنْ سُلْطٰنٍ ؕ اِنْ یَّتَّبِعُوْنَ اِلَّا الظَّنَّ وَ مَا تَهْوَی الْاَنْفُسُ ۚ وَ لَقَدْ جَآءَهُمْ مِّنْ رَّبِّهِمُ الْهُدٰیؕ﴿٢٣ ﴾ |
24 | মানুষের জন্য তা কি হয়, যা সে চায়? | মানুষ যা চায় তাই কি সে পায়? | মানুষ কি তাই পায় যা সে চায়? (আল্লাহ যাকে যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে দেন ইহকালে আর পরকালে), | اَمْ لِلْاِنْسَانِ مَا تَمَنّٰیؗۖ﴿٢٤ ﴾ |
25 | বস্তুতঃ পরকাল ও ইহকাল তো আল্লাহরই। | বস্তুতঃ ইহকাল ও পরকাল আল্লাহরই। | কেননা আল্লাহই পরকাল আর ইহকালের মালিক। | فَلِلّٰهِ الْاٰخِرَةُ وَ الْاُوْلٰی﴿٢٥ ﴾ |
26 | আর আসমানসমূহে অনেক ফেরেশতা রয়েছে, তাদের সুপারিশ কোনই কাজে আসবে না। তবে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন এবং যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট, তার ব্যাপারে অনুমতি দেয়ার পর। | আকাশে কত মালাইকা/ফেরেশতা রয়েছে, তাদের কোন সুপারিশ ফলপ্রসু হবেনা যতক্ষণ আল্লাহ যাকে ইচ্ছা এবং যার প্রতি সন্তষ্ট তাকে অনুমতি না দেন। | আকাশে কতই না ফেরেশতা আছে তাদের সুপারিশ কোনই কাজে আসবে না, তবে (কাজে আসবে) যদি তিনি অনুমতি দেন যার জন্য আল্লাহ ইচ্ছে করবেন এবং যার প্রতি তিনি সন্তুষ্ট। | وَ كَمْ مِّنْ مَّلَكٍ فِی السَّمٰوٰتِ لَا تُغْنِیْ شَفَاعَتُهُمْ شَیْـًٔا اِلَّا مِنْۢ بَعْدِ اَنْ یَّاْذَنَ اللّٰهُ لِمَنْ یَّشَآءُ وَ یَرْضٰی﴿٢٦ ﴾ |
27 | নিশ্চয় যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না, তারাই ফেরেশতাদেরকে নারীবাচক নামে নামকরণ করে থাকে। | যারা আখিরাতে বিশ্বাস করেনা তারাই নারীবাচক নাম দিয়ে থাকে মালাইকাদেরকে। | যারা আখিরাতে বিশ্বাস করে না তারাই ফেরেশতাদের স্ত্রীবাচক নামে নামকরণ করে থাকে। | اِنَّ الَّذِیْنَ لَا یُؤْمِنُوْنَ بِالْاٰخِرَةِ لَیُسَمُّوْنَ الْمَلٰٓىِٕكَةَ تَسْمِیَةَ الْاُنْثٰی﴿٢٧ ﴾ |
28 | অথচ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞানই নেই। তারা তো কেবল অনুমানেরই অনুসরণ করে। আর নিশ্চয় অনুমান সত্যের মোকাবেলায় কোনই কাজে আসে না। | অথচ এ বিষয়ে তাদের কোন জ্ঞান নেই, তারা শুধু অনুমানের অনুসরণ করে; সত্যের মুকাবিলায় অনুমানের কোন মূল্য নেই। | অথচ এ বিষয়ে তাদের কোনই জ্ঞান নেই, তারা কেবল অনুমানেরই অনুসরণ করছে, আর প্রকৃত সত্যের মুকাবালায় অনুমান কোনই কাজে আসে না। | وَ مَا لَهُمْ بِهٖ مِنْ عِلْمٍ ؕ اِنْ یَّتَّبِعُوْنَ اِلَّا الظَّنَّ ۚ وَ اِنَّ الظَّنَّ لَا یُغْنِیْ مِنَ الْحَقِّ شَیْـًٔاۚ﴿٢٨ ﴾ |
29 | অতএব তুমি তাকে উপেক্ষা করে চল, যে আমার স্মরণ থেকে বিমুখ হয় এবং কেবল দুনিয়ার জীবনই কামনা করে। | অতএব যে আমার স্মরণে বিমুখ তাকে উপেক্ষা করে চল; সেতো শুধু পার্থিব জীবন কামনা করে। | কাজেই যে আমার স্মরণ হতে মুখ ফিরিয়ে নেয় আর পার্থিব জীবন ছাড়া (অন্য কিছুই) কামনা করে না, তুমি তাকে এড়িয়ে চল। | فَاَعْرِضْ عَنْ مَّنْ تَوَلّٰی ۙ۬ عَنْ ذِكْرِنَا وَ لَمْ یُرِدْ اِلَّا الْحَیٰوةَ الدُّنْیَاؕ﴿٢٩ ﴾ |
30 | এটাই তাদের জ্ঞানের শেষসীমা। নিশ্চয় তোমার রবই সবচেয়ে ভাল জানেন তার সম্পর্কে, যে তার পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছে এবং তিনিই সবচেয়ে ভাল জানেন তার সম্পর্কে, যে হিদায়াতপ্রাপ্ত হয়েছে। | তাদের জ্ঞানের দৌড় এই পর্যন্ত। তোমার রাব্বই ভাল জানেন কে তাঁর পথ হতে বিচ্যুত; তিনিই ভাল জানেন কে সৎপথ প্রাপ্ত। | তাদের জ্ঞানের দৌড় ঐ পর্যন্তই। তোমার প্রতিপালক খুব ভাল করেই জানেন কে তার পথ থেকে গুমরাহ হয়ে গেছে, আর তিনি ভালই জানেন কে সঠিক পথে আছে। | ذٰلِكَ مَبْلَغُهُمْ مِّنَ الْعِلْمِ ؕ اِنَّ رَبَّكَ هُوَ اَعْلَمُ بِمَنْ ضَلَّ عَنْ سَبِیْلِهٖ ۙ وَ هُوَ اَعْلَمُ بِمَنِ اهْتَدٰی﴿٣٠ ﴾ |
31 | আর আসমানসমূহে যা রয়েছে এবং যমীনে যা রয়েছে, তা আল্লাহরই। যাতে তিনি তাদের কাজের প্রতিফল দিতে পারেন যারা মন্দ কাজ করে এবং তাদেরকে তিনি উত্তম পুরস্কার দিতে পারেন যারা সৎকর্ম করে । | আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে তা আল্লাহরই। যারা মন্দ কাজ করে তাদেরকে তিনি দেন মন্দ ফল এবং যারা সৎ কাজ করে তাদেরকে দেন উত্তম পুরস্কার। | যা আছে আকাশে আর যা আছে যমীনে সব আল্লাহরই- যাতে তিনি যারা মন্দ কাজ করে তাদেরকে তাদের কাজের প্রতিফল দেন আর যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে দেন শুভ প্রতিফল। | وَ لِلّٰهِ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَ مَا فِی الْاَرْضِ ۙ لِیَجْزِیَ الَّذِیْنَ اَسَآءُوْا بِمَا عَمِلُوْا وَ یَجْزِیَ الَّذِیْنَ اَحْسَنُوْا بِالْحُسْنٰیۚ﴿٣١ ﴾ |
32 | যারা ছোট খাট দোষ-ত্রুটি ছাড়া বড় বড় পাপ ও অশ্লীল কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকে, নিশ্চয় তোমার রব ক্ষমার ব্যাপারে উদার, তিনি তোমাদের ব্যাপারে সম্যক অবগত। যখন তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যখন তোমরা তোমাদের মাতৃগর্ভে ভ্রূণরূপে ছিলে। কাজেই তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না। কে তাকওয়া অবলম্বন করেছে, সে সম্পর্কে তিনিই সম্যক অবগত। | যারা বিরত থাকে গুরুতর পাপ ও অশ্লীল কার্য হতে, ছোট- খাট অপরাধ করলেও তোমার রবের ক্ষমা অপরিসীম; তিনি (আল্লাহ) তোমাদের সম্পর্কে সম্যক অবগত, যখন তিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছিলেন মাটি হতে এবং যখন তোমরা মাতৃগর্ভে ভ্রুণরূপে অবস্থান কর। অতএব তোমরা আত্মপ্রশংসা করনা, তিনিই সম্যক জানেন মুত্তাকী কে। | যারা বিরত থাকে বড় বড় পাপ আর অশ্লীল কার্যকলাপ থেকে ছোট খাট দোষ-ত্রুটি ছাড়া; বস্তুতঃ তোমার প্রতিপালক ক্ষমা করার ব্যাপারে অতি প্রশস্ত। তিনি তোমাদের সম্পর্কে খুব ভালভাবেই জানেন যখন তিনি তোমাদেরকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন আর যখন তোমরা তোমাদের মায়েদের পেটে ভ্রুণ অবস্থায় ছিলে। কাজেই নিজেদেরকে খুব পবিত্র মনে করো না। কে তাক্বওয়া অবলম্বন করে তা তিনি ভালভাবেই জানেন। | اَلَّذِیْنَ یَجْتَنِبُوْنَ كَبٰٓىِٕرَ الْاِثْمِ وَ الْفَوَاحِشَ اِلَّا اللَّمَمَ ؕ اِنَّ رَبَّكَ وَاسِعُ الْمَغْفِرَةِ ؕ هُوَ اَعْلَمُ بِكُمْ اِذْ اَنْشَاَكُمْ مِّنَ الْاَرْضِ وَ اِذْ اَنْتُمْ اَجِنَّةٌ فِیْ بُطُوْنِ اُمَّهٰتِكُمْ ۚ فَلَا تُزَكُّوْۤا اَنْفُسَكُمْ ؕ هُوَ اَعْلَمُ بِمَنِ اتَّقٰی﴿٣٢ ﴾ |
33 | তুমি কি সেই ব্যক্তিকে দেখেছ, যে মুখ ফিরিয়ে নেয়? | তুমি কি দেখেছ সেই ব্যক্তিকে যে মুখ ফিরিয়ে নেয়; | তুমি কি তাকে দেখেছ যে (আল্লাহ হতে) মুখ ফিরিয়ে নেয়? | اَفَرَءَیْتَ الَّذِیْ تَوَلّٰیۙ﴿٣٣ ﴾ |
34 | আর সামান্য দান করে, তারপর বন্ধ করে দেয়? | এবং দান করে সামান্যই, পরে বন্ধ করে দেয়? | এবং সামান্য দান করে অতঃপর (হৃদয়) শক্ত করে ফেলে? | وَ اَعْطٰی قَلِیْلًا وَّ اَكْدٰی﴿٣٤ ﴾ |
35 | তার কাছে কি আছে গায়েবের জ্ঞান যে, সে দেখছে? | তার কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যে সে জানবে? | তার কি অদৃশ্যের জ্ঞান আছে যার কারণে সে দেখতে পায়? | اَعِنْدَهٗ عِلْمُ الْغَیْبِ فَهُوَ یَرٰی﴿٣٥ ﴾ |
36 | নাকি মূসার কিতাবে যা আছে, সে সম্পর্কে তাকে অবহিত করা হয়নি ? | তাকে কি অবগত করা হয়নি যা আছে মূসার কিতাবে, | নাকি মূসার কিতাবের তথ্য তার কাছে পৌঁছানো হয়নি, | اَمْ لَمْ یُنَبَّاْ بِمَا فِیْ صُحُفِ مُوْسٰیۙ﴿٣٦ ﴾ |
37 | আর ইবরাহীমের কিতাবে, যে (নির্দেশ) পূর্ণ করেছিল। | এবং ইবরাহীমের কিতাবে যে পালন করেছিল তার দায়িত্ব? | আর ইবরাহীমের (কিতাবের খবর) যে (ইবরাহীম) ছিল পুরোপুরি দায়িত্ব পালনকারী। | وَ اِبْرٰهِیْمَ الَّذِیْ وَفّٰۤیۙ﴿٣٧ ﴾ |
38 | তা এই যে, কোন বোঝা বহনকারী অন্যের বোঝা বহন করবে না। | ওটা এই যে, কোন বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবেনা। | (সে খবর এই) যে, কোন বোঝা বহনকারী বইবে না অপরের বোঝা। | اَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِّزْرَ اُخْرٰیۙ﴿٣٨ ﴾ |
39 | আর এই যে, মানুষ যা চেষ্টা করে, তাই সে পায়। | আর এই যে, মানুষ তা’ই পায় যা সে করে, | আর এই যে, মানুষ যা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করে তাছাড়া কিছুই পায় না, | وَ اَنْ لَّیْسَ لِلْاِنْسَانِ اِلَّا مَا سَعٰیۙ﴿٣٩ ﴾ |
40 | আর এই যে, তার প্রচেষ্টার ফল শীঘ্রই তাকে দেখানো হবে। | আর এই যে, তার কাজ অচিরেই দেখানো হবে, | আর এই যে, তার চেষ্টা সাধনার ফল শীঘ্রই তাকে দেখানো হবে, | وَ اَنَّ سَعْیَهٗ سَوْفَ یُرٰی۪﴿٤٠ ﴾ |
41 | তারপর তাকে পূর্ণ প্রতিফল প্রদান করা হবে। | অতঃপর তাকে দেয়া হবে পূর্ণ প্রতিদান। | অতঃপর তাকে দেয়া হবে পূর্ণ প্রতিফল | ثُمَّ یُجْزٰىهُ الْجَزَآءَ الْاَوْفٰیۙ﴿٤١ ﴾ |
42 | আর নিশ্চয় তোমার রবের নিকটই হলো শেষ গন্তব্য। | আর এই যে, সব কিছুর সমাপ্তিতো তোমার রবের নিকট। | আর এই যে, শেষ গন্তব্য হল তোমার প্রতিপালক পর্যন্ত, | وَ اَنَّ اِلٰی رَبِّكَ الْمُنْتَهٰیۙ﴿٤٢ ﴾ |
43 | আর নিশ্চয় তিনিই হাসান এবং তিনিই কাঁদান। | আর এই যে, তিনিই হাসান, তিনিই কাঁদান। | আর এই যে, তিনিই হাসান, তিনিই কাঁদান। | وَ اَنَّهٗ هُوَ اَضْحَكَ وَ اَبْكٰیۙ﴿٤٣ ﴾ |
44 | আর নিশ্চয় তিনিই মৃত্যু দেন এবং তিনিই জীবন দেন। | এবং এই যে, তিনিই মারেন, তিনিই বাঁচান, | আর এই যে, তিনিই মারেন, তিনিই বাঁচান। | وَ اَنَّهٗ هُوَ اَمَاتَ وَ اَحْیَاۙ﴿٤٤ ﴾ |
45 | আর তিনিই যুগল সৃষ্টি করেন- পুরুষ ও নারী। | আর এই যে, তিনিই সৃষ্টি করেন যুগল পুরুষ ও নারী – | আর এই যে, তিনিই সৃষ্টি করেন জোড়া- পুরুষ আর নারী, | وَ اَنَّهٗ خَلَقَ الزَّوْجَیْنِ الذَّكَرَ وَ الْاُنْثٰیۙ﴿٤٥ ﴾ |
46 | শুক্রবিন্দু থেকে যখন তা নিক্ষিপ্ত হয়। | শুক্র বিন্দু হতে যখন তা স্খলিত হয়; | এক ফোঁটা শুক্র হতে যখন তা নিক্ষিপ্ত হয় | مِنْ نُّطْفَةٍ اِذَا تُمْنٰی۪﴿٤٦ ﴾ |
47 | আর নিশ্চয় পুনরায় সৃষ্টির দায়িত্ব তাঁর উপরই। | আর এই যে, পুনরুত্থান ঘটানোর দায়িত্ব তাঁরই। | আর এই যে, পুনরায় সৃষ্টির দায়িত্বভার তাঁরই উপর, | وَ اَنَّ عَلَیْهِ النَّشْاَةَ الْاُخْرٰیۙ﴿٤٧ ﴾ |
48 | আর তিনিই অভাবমুক্ত করেন ও সম্পদ দান করেন। | আর এই যে, তিনিই অভাবমুক্ত করেন ও সম্পদ দান করেন। | আর এই যে, তিনিই অভাবমুক্ত করেন আর সম্পদ দেন, | وَ اَنَّهٗ هُوَ اَغْنٰی وَ اَقْنٰیۙ﴿٤٨ ﴾ |
49 | আর তিনিই শিরার* রব। | আর এই যে, তিনি ‘শি’রা’ নক্ষত্রের মালিক। | আর এই যে, শি‘রা (অর্থাৎ লুব্ধক নক্ষত্র)’র তিনিই প্রতিপালক, | وَ اَنَّهٗ هُوَ رَبُّ الشِّعْرٰیۙ﴿٤٩ ﴾ |
50 | আর তিনিই প্রাচীন ‘আদ জাতিকে ধ্বংস করেছেন। | এবং এই যে, তিনিই প্রথম ‘আদ সম্প্রদায়কে ধ্বংস করেছিলেন। | আর এই যে, তিনিই প্রাচীন ‘আদ জাতিকে ধ্বংস করেছিলেন, | وَ اَنَّهٗۤ اَهْلَكَ عَادَا ِ۟الْاُوْلٰیۙ﴿٥٠ ﴾ |
51 | আর সামূদ জাতিকেও। কাউকে তিনি অবশিষ্ট রাখেন নি। | এবং সামূদ সম্প্রদায়কেও, কেহকেও তিনি বাকী রাখেননি। | আর সামূদ জাতিকেও, তাদের একজনকেও বাকী রাখেননি। | وَ ثَمُوْدَاۡ فَمَاۤ اَبْقٰیۙ﴿٥١ ﴾ |
52 | আর পূর্বে নূহের কওমকেও। নিশ্চয় তারা ছিল অতিশয় যালিম ও চরম অবাধ্য। | আর এদের পূর্বে নূহের সম্প্রদায়কেও; তারা ছিল অতিশয় যালিম ও অবাধ্য। | আর তার পূর্বে নূহের জাতিকেও, তারা ছিল অত্যধিক যালিম ও সীমালঙ্ঘনকারী। | وَ قَوْمَ نُوْحٍ مِّنْ قَبْلُ ؕ اِنَّهُمْ كَانُوْا هُمْ اَظْلَمَ وَ اَطْغٰیؕ﴿٥٢ ﴾ |
53 | আর তিনি উল্টানো আবাসভূমিকে* নিক্ষেপ করেছিলেন। | উৎপাটিত আবাস ভূমিকে উল্টিয়ে নিক্ষেপ করেছিলেন। | তিনি (লূত জাতির) উল্টানো আবাস ভূমিকে উঠিয়ে নিক্ষেপ করেছিলেন, | وَ الْمُؤْتَفِكَةَ اَهْوٰیۙ﴿٥٣ ﴾ |
54 | অতঃপর সেটাকে আচ্ছন্ন করেছিল, যা আচ্ছন্ন করার ছিল। | ওকে আচ্ছন্ন করল কি সর্বগ্রাসী শাস্তি! | অতঃপর তাকে আচ্ছন্ন করল যা তাকে আচ্ছন্ন করেছে। | فَغَشّٰىهَا مَا غَشّٰیۚ﴿٥٤ ﴾ |
55 | তাহলে তুমি তোমার রবের কোন্ অনুগ্রহ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করবে? | তুমি তোমার রবের কোন্ অনুগ্রহ সম্পর্কে সন্দেহ পোষণ করবে? | অতএব তুমি তোমার প্রতিপালকের কোন নি‘মাতে সন্দেহ পোষণ করবে? | فَبِاَیِّ اٰلَآءِ رَبِّكَ تَتَمَارٰی﴿٥٥ ﴾ |
56 | অতীত সতর্ককারীদের মত এই নবীও একজন সতর্ককারী। | অতীতের সতর্ককারীদের ন্যায় এই নাবীও এক সতর্ককারী; | অতীতের সতর্ককারীদের মত এ (নবীও) একজন সতর্ককারী। | هٰذَا نَذِیْرٌ مِّنَ النُّذُرِ الْاُوْلٰی﴿٥٦ ﴾ |
57 | কিয়ামত নিকটবর্তী। | কিয়ামাত আসন্ন, | আগমনকারী মুহূর্ত (ক্বিয়ামত) নিকটবর্তী। | اَزِفَتِ الْاٰزِفَةُۚ﴿٥٧ ﴾ |
58 | আল্লাহ ছাড়া কেউই তা প্রকাশ করতে সক্ষম নয়। | আল্লাহ ছাড়া কেহই এটা ব্যক্ত করতে সক্ষম নয়। | আল্লাহ ছাড়া কেউ তা সরাতে পারে না (বা প্রকাশ করতে পারে না)। | لَیْسَ لَهَا مِنْ دُوْنِ اللّٰهِ كَاشِفَةٌؕ﴿٥٨ ﴾ |
59 | তোমরা কি এ কথায় বিস্ময় বোধ করছ? | তোমরা কি এই কথায় বিস্ময় বোধ করছ! | তোমরা কি এ কথায় বিস্মিত হচ্ছ? | اَفَمِنْ هٰذَا الْحَدِیْثِ تَعْجَبُوْنَۙ﴿٥٩ ﴾ |
60 | আর হাসছ এবং কাঁদছ না? | এবং হাসি- ঠাট্টা করছ! ক্রন্দন করছনা? | আর হাসছ, কাঁদছ না? | وَ تَضْحَكُوْنَ وَ لَا تَبْكُوْنَۙ﴿٦٠ ﴾ |
61 | আর তোমরা তো গাফিল। | তোমরাতো উদাসীন, | বৃথা খেল-তামাশায় সময় ক্ষেপন করছ, | وَ اَنْتُمْ سٰمِدُوْنَ﴿٦١ ﴾ |
62 | সুতরাং তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে সিজদা কর এবং ইবাদাত কর।[সাজদাহ] | অতএব আল্লাহকে সাজদাহ কর এবং তাঁর ইবাদাত কর। [সাজদাহ] | তাই, আল্লাহর উদ্দেশে সাজদায় পতিত হও আর তাঁর বন্দেগী কর।[সাজদাহ] | فَاسْجُدُوْا لِلّٰهِ وَ اعْبُدُوْا۠۩﴿٦٢ ﴾ |