আয়ত নাম্বার | বায়ান ফাউন্ডেশন | মুজিবুর রহমান | তাইসীরুল কুরআন | আরবি |
---|---|---|---|---|
1 | যখন আসমান ফেটে যাবে। | যখন আকাশ বিদীর্ণ হবে, | যখন আসমান ফেটে যাবে, | اِذَا السَّمَآءُ انْشَقَّتْۙ﴿١ ﴾ |
2 | আর তার রবের নির্দেশ পালন করবে এবং এটাই তার করণীয়। | এবং ওটা স্বীয় রবের আদেশ পালন করবে, আর ওকে তদুপযোগী করা হবে, | এবং স্বীয় রব-এর নির্দেশ পালন করবে, আর তাই তার করণীয়। | وَ اَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَ حُقَّتْۙ﴿٢ ﴾ |
3 | আর যখন যমীনকে সম্প্রসারিত করা হবে। | এবং পৃথিবীকে যখন সম্প্রসারিত করা হবে, | এবং যমীনকে যখন প্রসারিত করা হবে, | وَ اِذَا الْاَرْضُ مُدَّتْۙ﴿٣ ﴾ |
4 | আর তার মধ্যে যা রয়েছে তা নিক্ষেপ করবে এবং খালি হয়ে যাবে। | এবং পৃথিবী তার অভ্যন্তরে যা আছে তা বাইরে নিক্ষেপ করবে ও শূন্য গর্ভ হয়ে যাবে, | আর তা তার ভেতরে যা আছে তা বাইরে নিক্ষেপ করবে ও খালি হয়ে যাবে। | وَ اَلْقَتْ مَا فِیْهَا وَ تَخَلَّتْۙ﴿٤ ﴾ |
5 | আর তার রবের নির্দেশ পালন করবে এবং এটাই তার করণীয়। | এবং তার রবের আদেশ পালন করবে, আর ওকে তদুপযোগী করা হবে (তখন তোমরা পুনরুত্থিত হবেই)। | এবং স্বীয় রব-এর নির্দেশ পালন করবে আর তাই তার করণীয়। | وَ اَذِنَتْ لِرَبِّهَا وَ حُقَّتْؕ﴿٥ ﴾ |
6 | হে মানুষ, তোমার রব পর্যন্ত (পৌঁছতে) অবশ্যই তোমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। অতঃপর তুমি তাঁর সাক্ষাৎ পাবে। | হে মানবসকল! তোমরা কঠোর পরিশ্রম করতে থাক, তোমাদের আমাল অনুযায়ী তোমাদের রবের সাক্ষাত লাভ করবে, আর এটাতো অবশ্যম্ভাবি। | হে মানুষ! তোমাকে তোমার রব পর্যন্ত পৌঁছতে বহু কষ্ট স্বীকার করতে হবে, অতঃপর তুমি তার সাক্ষাৎ লাভ করবে। | یٰۤاَیُّهَا الْاِنْسَانُ اِنَّكَ كَادِحٌ اِلٰی رَبِّكَ كَدْحًا فَمُلٰقِیْهِۚ﴿٦ ﴾ |
7 | অতঃপর যাকে তার আমলনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে; | অতঃপর যাকে ডান হাতে তার কর্মলিপি প্রদত্ত হবে – | অতঃপর যার ‘আমালনামা তার ডান হাতে দেয়া হবে। | فَاَمَّا مَنْ اُوْتِیَ كِتٰبَهٗ بِیَمِیْنِهٖۙ﴿٧ ﴾ |
8 | অত্যন্ত সহজভাবেই তার হিসাব-নিকাশ করা হবে। | তার হিসাব-নিকাশতো সহজভাবে গৃহীত হবে, | তার হিসাব সহজভাবেই নেয়া হবে। | فَسَوْفَ یُحَاسَبُ حِسَابًا یَّسِیْرًاۙ﴿٨ ﴾ |
9 | আর সে তার পরিবার-পরিজনের কাছে আনন্দিত হয়ে ফিরে যাবে। | এবং সে তার স্বজনদের নিকট প্রফুল্ল চিত্তে ফিরে যাবে। | সে তার স্বজনদের কাছে সানন্দে ফিরে যাবে। | وَّ یَنْقَلِبُ اِلٰۤی اَهْلِهٖ مَسْرُوْرًاؕ﴿٩ ﴾ |
10 | আর যাকে তার আমলনামা পিঠের পেছনে দেয়া হবে, | এবং যাকে তার কর্মলিপি তার পৃষ্ঠের পশ্চাদ্ভাগে দেয়া হবে – | আর যাকে তার ‘আমালনামা তার পিঠের পিছন দিক থেকে দেয়া হবে, | وَ اَمَّا مَنْ اُوْتِیَ كِتٰبَهٗ وَرَآءَ ظَهْرِهٖۙ﴿١٠ ﴾ |
11 | অতঃপর সে ধ্বংস আহবান করতে থাকবে। | ফলে অচিরেই সে মৃত্যুকে আহবান করবে, | সে মৃত্যুকে ডাকবে, | فَسَوْفَ یَدْعُوْا ثُبُوْرًاۙ﴿١١ ﴾ |
12 | আর সে জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে। | এবং জ্বলন্ত আগুনে সে প্রবেশ করবে। | এবং জ্বলন্ত আগুনে প্রবেশ করবে। | وَّ یَصْلٰی سَعِیْرًاؕ﴿١٢ ﴾ |
13 | নিশ্চয় সে তার পরিবার-পরিজনদের মধ্যে আনন্দে ছিল। | সে তার স্বজনদের মধ্যেতো সহর্ষে ছিল, | সে তার পরিবার-পরিজনের মাঝে আনন্দে মগ্ন ছিল, | اِنَّهٗ كَانَ فِیْۤ اَهْلِهٖ مَسْرُوْرًاؕ﴿١٣ ﴾ |
14 | নিশ্চয় সে মনে করত যে, সে কখনো ফিরে যাবে না। | যেহেতু সে ভাবতো যে, সে কখনই প্রত্যাবর্তিত হবেনা। | সে ভাবত যে, সে কক্ষনো (আল্লাহর কাছে) ফিরে যাবে না। | اِنَّهٗ ظَنَّ اَنْ لَّنْ یَّحُوْرَۚۛ﴿١٤ ﴾ |
15 | হ্যাঁ, নিশ্চয় তার রব তার প্রতি সম্যক দৃষ্টি দানকারী। | হ্যাঁ,(অবশ্যই প্রত্যাবর্তিত হবে) নিশ্চয়ই তার রাব্ব তার উপর সবিশেষ দৃষ্টি রাখেন। | অবশ্যই ফিরে যাবে, তার প্রতিপালক তার প্রতি দৃষ্টি রাখছেন। | بَلٰۤی ۛۚ اِنَّ رَبَّهٗ كَانَ بِهٖ بَصِیْرًاؕ﴿١٥ ﴾ |
16 | অতঃপর আমি কসম করছি পশ্চিম আকাশের লালিমার। | আমি শপথ করি অস্তরাগের – | আমি শপথ করি সন্ধ্যাকালীন লালিমার, | فَلَاۤ اُقْسِمُ بِالشَّفَقِۙ﴿١٦ ﴾ |
17 | আর রাতের কসম এবং রাত যা কিছুর সমাবেশ ঘটায় তার। | এবং রাতের, আর ওটা যা কিছুর সমাবেশ ঘটায় তার, | আর রাতের এবং তা যা কিছুর সমাবেশ ঘটায় তার, | وَ الَّیْلِ وَ مَا وَسَقَۙ﴿١٧ ﴾ |
18 | আর চাঁদের কসম, যখন তা পরিপূর্ণ হয়। | এবং শপথ চন্দ্রের যখন ওটা পরিপূর্ণ হয়, | আর চাঁদের যখন তা পূর্ণ চাঁদে পরিণত হয়, | وَ الْقَمَرِ اِذَا اتَّسَقَۙ﴿١٨ ﴾ |
19 | অবশ্যই তোমরা এক স্তর থেকে অন্য স্তরে আরোহণ করবে। | নিশ্চয়ই তোমরা এক স্তর হতে অন্য স্তরে আরোহণ করবে, | অবশ্যই তোমরা (আধ্যাত্মিক ও জাগতিক সর্বক্ষেত্রে) স্তরে স্তরে উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে উর্ধ্বে উঠবে। | لَتَرْكَبُنَّ طَبَقًا عَنْ طَبَقٍؕ﴿١٩ ﴾ |
20 | অতএব তাদের কী হল যে, তারা ঈমান আনছে না? | সুতরাং তাদের কি হল যে, তারা বিশ্বাস স্থাপন করেনা? | অতএব তাদের কী হল যে তারা ঈমান আনে না? | فَمَا لَهُمْ لَا یُؤْمِنُوْنَۙ﴿٢٠ ﴾ |
21 | আর যখন তাদের কাছে কুরআন তিলাওয়াত করা হয় তখন তারা সিজদা করে না।[সাজদাহ] | এবং তাদের নিকট কুরআন পঠিত হলে তারা সাজদাহ করেনা? [সাজদাহ] | আর তাদের কাছে যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন সাজদাহ করে না?[সাজদাহ] | وَ اِذَا قُرِئَ عَلَیْهِمُ الْقُرْاٰنُ لَا یَسْجُدُوْنَؕ۩﴿٢١ ﴾ |
22 | বরং কাফিররা অস্বীকার করে। | পরন্তু কাফিরেরাই অসত্যারোপ করে, | (কুরআন শুনে সেজদা করা তো দূরের কথা) বরং কাফিররা ওটাকে অস্বীকারই করে। | بَلِ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا یُكَذِّبُوْنَؗۖ﴿٢٢ ﴾ |
23 | আর তারা যা অন্তরে পোষণ করে আল্লাহ তা সবিশেষ পরিজ্ঞাত। | অথচ তারা (মনে মনে) যা পোষণ করে আল্লাহ তা সবিশেষ পরিজ্ঞাত। | আল্লাহ খুব ভাল করেই জানেন তারা (তাদের অন্তরে) কী লুকিয়ে রাখে। | وَ اللّٰهُ اَعْلَمُ بِمَا یُوْعُوْنَؗۖ﴿٢٣ ﴾ |
24 | অতএব তুমি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও। | সুতরাং তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ প্রদান কর। | কাজেই তাদেরকে মর্মান্তিক ‘আযাবের সুসংবাদ দাও। | فَبَشِّرْهُمْ بِعَذَابٍ اَلِیْمٍۙ﴿٢٤ ﴾ |
25 | কিন্তু যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন প্রতিদান। | যারা ঈমান আনে ও সৎ কাজ করে তাদের জন্য রয়েছে অবিচ্ছিন্ন পুরস্কার। | কিন্তু যারা ঈমান আনে আর সৎকাজ করে তারা বাদে; তাদের জন্য আছে অফুরন্ত প্রতিদান। | اِلَّا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ عَمِلُوا الصّٰلِحٰتِ لَهُمْ اَجْرٌ غَیْرُ مَمْنُوْنٍ﴿٢٥ ﴾ |