আয়ত নাম্বার | বায়ান ফাউন্ডেশন | মুজিবুর রহমান | তাইসীরুল কুরআন | আরবি |
---|---|---|---|---|
1 | আমি কসম করছি এই নগরীর। | শপথ করছি এই নগরের, | (কাফিররা বলছে দুনিয়ার জীবনই সবকিছু) না, আমি এই (মক্কা) নগরের শপথ করছি (যে নগরে সকলেই নিরাপদ), | لَاۤ اُقْسِمُ بِهٰذَا الْبَلَدِۙ﴿١ ﴾ |
2 | আর তুমি এই নগরীতে মুক্ত। | আর তুমি এই নগরের বৈধ অধিকারী হবে। | আর তুমি এই নগরের হালালকারী। | وَ اَنْتَ حِلٌّۢ بِهٰذَا الْبَلَدِۙ﴿٢ ﴾ |
3 | কসম জনকের এবং যা সে জন্ম দেয়। | শপথ জন্মদাতার এবং যা সে জন্ম দিয়েছে তার। | শপথ জন্মদাতা (আদম)-এর আর যা সে জন্ম দিয়েছে (সেই সমস্ত মানুষের), | وَ وَالِدٍ وَّ مَا وَلَدَۙ﴿٣ ﴾ |
4 | নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি কষ্ট- ক্লেশের মধ্যে। | অবশ্যই আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি ক্লেশের মধ্যে। | আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি অত্যন্ত কষ্ট ও শ্রমের মাঝে, (দুনিয়ার প্রত্যেকটি মানুষ কোন না কোন কষ্টের মধ্যে পতিত আছে)। | لَقَدْ خَلَقْنَا الْاِنْسَانَ فِیْ كَبَدٍؕ﴿٤ ﴾ |
5 | সে কি ধারণা করছে যে, কেউ কখনো তার উপর ক্ষমতাবান হবে না? | সে কি মনে করে যে, কখনও তার উপর কেহ ক্ষমতাবান হবেনা? | সে কি মনে করে যে তার উপর কেউ ক্ষমতাবান নেই? | اَیَحْسَبُ اَنْ لَّنْ یَّقْدِرَ عَلَیْهِ اَحَدٌۘ﴿٥ ﴾ |
6 | সে বলে, ‘আমি প্রচুর ধন-সম্পদ নিঃশেষ করেছি’। | সে বলেঃ আমি রাশি রাশি অর্থ উড়িয়ে দিয়েছি। | সে (গর্বের সঙ্গে) বলে যে, আমি প্রচুর ধন-সম্পদ উড়িয়েছি। | یَقُوْلُ اَهْلَكْتُ مَالًا لُّبَدًاؕ﴿٦ ﴾ |
7 | সে কি ধারণা করছে যে, কেউ তাকে দেখেনি? | সে কি ধারণা করে যে, তাকে কেহই দেখছেনা? | সে কি মনে করে যে তাকে কেউ দেখেনি? | اَیَحْسَبُ اَنْ لَّمْ یَرَهٗۤ اَحَدٌؕ﴿٧ ﴾ |
8 | আমি কি তার জন্য দু’টি চোখ বানাইনি? | আমি কি তার জন্য সৃষ্টি করিনি চক্ষু যুগল? | আমি কি তাকে দু’টো চোখ দিইনি? | اَلَمْ نَجْعَلْ لَّهٗ عَیْنَیْنِۙ﴿٨ ﴾ |
9 | আর একটি জিহবা ও দু’টি ঠোঁট? | তার জিহবা ও ওষ্ঠদ্বয়? | আর একটা জিহবা আর দু’টো ঠোঁট? | وَ لِسَانًا وَّ شَفَتَیْنِۙ﴿٩ ﴾ |
10 | আর আমি তাকে দু’টি পথ প্রদর্শন করেছি। | এবং আমি তাদেরকে দু’টি পথ দেখিয়েছি । | আর আমি তাকে (পাপ ও পুণ্যের) দু’টো পথ দেখিয়েছি। | وَ هَدَیْنٰهُ النَّجْدَیْنِۚ﴿١٠ ﴾ |
11 | তবে সে বন্ধুর গিরিপথটি অতিক্রম করতে সচেষ্ট হয়নি। | কিন্তু সে গিরিসংকটে প্রবেশ করলনা। | (মানুষকে এত গুণবৈশিষ্ট্য ও মেধা দেয়া সত্ত্বেও) সে (ধর্মের) দুর্গম গিরি পথে প্রবেশ করল না। | فَلَا اقْتَحَمَ الْعَقَبَةَؗۖ﴿١١ ﴾ |
12 | আর কিসে তোমাকে জানাবে, বন্ধুর গিরিপথটি কি? | তুমি কি জান, গিরিসংকট কি? | তুমি কি জান দুর্গম গিরিপথ কী? | وَ مَاۤ اَدْرٰىكَ مَا الْعَقَبَةُؕ﴿١٢ ﴾ |
13 | তা হচ্ছে, দাস মুক্তকরণ। | এটা হচ্ছে দাসকে মুক্তি প্রদান। | (তা হচ্ছে) দাসমুক্তি। | فَكُّ رَقَبَةٍۙ﴿١٣ ﴾ |
14 | অথবা খাদ্য দান করা দুর্ভিক্ষের দিনে। | অথবা দুর্ভিক্ষের সময় আহার্য দান – | অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে খাদ্য দান | اَوْ اِطْعٰمٌ فِیْ یَوْمٍ ذِیْ مَسْغَبَةٍۙ﴿١٤ ﴾ |
15 | ইয়াতীম আত্মীয়-স্বজনকে। | পিতৃহীন আত্মীয়কে, | নিকটাত্মীয় ইয়াতীমকে, | یَّتِیْمًا ذَا مَقْرَبَةٍۙ﴿١٥ ﴾ |
16 | অথবা ধূলি-মলিন মিসকীনকে। | অথবা ধূলায় লুন্ঠিত দরিদ্রকে। | অথবা দারিদ্র-ক্লিষ্ট মিসকীনকে। | اَوْ مِسْكِیْنًا ذَا مَتْرَبَةٍؕ﴿١٦ ﴾ |
17 | অতঃপর সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়, যারা ঈমান এনেছে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় ধৈর্যধারণের, আর পরস্পরকে উপদেশ দেয় দয়া-অনুগ্রহের। | অতঃপর অন্তর্ভুক্ত হওয়া মু’মিনদের এবং তাদের যারা পরস্পরকে উপদেশ দেয় ধৈর্য ধারনের ও দয়া দাক্ষিণ্যের। | তদুপরি সে মু’মিনদের মধ্যে শামিল হয় আর পরস্পরকে ধৈর্য ধারণের ও দয়া প্রদর্শনের উপদেশ দেয়। | ثُمَّ كَانَ مِنَ الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا وَ تَوَاصَوْا بِالصَّبْرِ وَ تَوَاصَوْا بِالْمَرْحَمَةِؕ﴿١٧ ﴾ |
18 | তারাই সৌভাগ্যবান। | তারাই সৌভাগ্যশালী। | তারাই ডানপন্থী (সৌভাগ্যবান লোক)। | اُولٰٓىِٕكَ اَصْحٰبُ الْمَیْمَنَةِؕ﴿١٨ ﴾ |
19 | আর যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে তারাই দুর্ভাগা। | যারা আমার নিদর্শন প্রত্যাখ্যান করেছে তারাই হতভাগ্য। | আর যারা আমার আয়াতকে অস্বীকার করে তারাই বামপন্থী (হতভাগা)। | وَ الَّذِیْنَ كَفَرُوْا بِاٰیٰتِنَا هُمْ اَصْحٰبُ الْمَشْـَٔمَةِؕ﴿١٩ ﴾ |
20 | তাদের উপর থাকবে অবরুদ্ধ আগুন। | তাদের উপরই অবরুদ্ধ রয়েছে প্রচন্ড আগুন। | তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে অবরুদ্ধকারী আগুন। | عَلَیْهِمْ نَارٌ مُّؤْصَدَةٌ۠﴿٢٠ ﴾ |