আয়ত নাম্বার | বায়ান ফাউন্ডেশন | মুজিবুর রহমান | তাইসীরুল কুরআন | আরবি |
---|---|---|---|---|
1 | কসম সূর্যের ও তার কিরণের। | শপথ সূর্যের যখন সে আচ্ছন্ন করে, | শপথ সূর্যের ও তার (উজ্জ্বল) কিরণের, | وَ الشَّمْسِ وَ ضُحٰىهَا۪ۙ﴿١ ﴾ |
2 | কসম চাঁদের, যখন তা সূর্যের অনুগামী হয়। | শপথ চন্দ্রের যখন ওটা সূর্যের পর আবির্ভুত হয়। | শপথ চাঁদের যখন তা সূর্যের পিছনে আসে, | وَ الْقَمَرِ اِذَا تَلٰىهَا۪ۙ﴿٢ ﴾ |
3 | কসম দিবসের, যখন তা সূর্যকে প্রকাশ করে। | শপথ দিনের, যখন ওটা ওকে প্রকাশ করে। | শপথ দিনের যখন তা সূর্যকে উদ্ভাসিত করে, | وَ النَّهَارِ اِذَا جَلّٰىهَا۪ۙ﴿٣ ﴾ |
4 | কসম রাতের, যখন তা সূর্যকে ঢেকে দেয়। | শপথ রাতের, যখন ওটা ওকে আচ্ছাদিত করে। | শপথ রাতের যখন তা সূর্যকে ঢেকে নেয়, | وَ الَّیْلِ اِذَا یَغْشٰىهَا۪ۙ﴿٤ ﴾ |
5 | কসম আসমানের এবং যিনি তা বানিয়েছেন। | শপথ আকাশের এবং যিনি ওটা নির্মাণ করেছেন তাঁর। | শপথ আসমানের আর সেটা যিনি বানিয়েছেন তাঁর, | وَ السَّمَآءِ وَ مَا بَنٰىهَا۪ۙ﴿٥ ﴾ |
6 | কসম যমীনের এবং যিনি তা বিস্তৃত করেছেন। | শপথ পৃথিবীর এবং যিনি ওকে বিস্তৃত করেছেন তাঁর। | শপথ যমীনের আর সেটা যিনি বিছিয়েছেন তাঁর, | وَ الْاَرْضِ وَ مَا طَحٰىهَا۪ۙ﴿٦ ﴾ |
7 | কসম নাফ্সের এবং যিনি তা সুসম করেছেন। | শপথ মানুষের এবং তাঁর, যিনি তাকে সুঠাম করেছেন। | শপথ প্রাণের আর তাঁর যিনি তা সামঞ্জস্যপূর্ণ করেছেন, | وَ نَفْسٍ وَّ مَا سَوّٰىهَا۪ۙ﴿٧ ﴾ |
8 | অতঃপর তিনি তাকে অবহিত করেছেন তার পাপসমূহ ও তার তাকওয়া সম্পর্কে। | অতঃপর তাকে তার অসৎ কাজ ও তার সৎ কার্জের জ্ঞান দান করেছেন, | অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন। | فَاَلْهَمَهَا فُجُوْرَهَا وَ تَقْوٰىهَا۪ۙ﴿٨ ﴾ |
9 | নিঃসন্দেহে সে সফলকাম হয়েছে, যে তাকে পরিশুদ্ধ করেছে। | সে’ই সফলকাম হবে যে নিজেকে পবিত্র করবে। | সেই সফলকাম হয়েছে যে নিজ আত্মাকে পবিত্র করেছে। | قَدْ اَفْلَحَ مَنْ زَكّٰىهَا۪ۙ﴿٩ ﴾ |
10 | এবং সে ব্যর্থ হয়েছে, যে তা (নাফস)-কে কলুষিত করেছে। | এবং সে’ই ব্যর্থ মনোরথ হবে যে নিজেকে কলুষাচ্ছন্ন করবে। | সেই ব্যর্থ হয়েছে যে নিজ আত্মাকে কলূষিত করেছে। | وَ قَدْ خَابَ مَنْ دَسّٰىهَاؕ﴿١٠ ﴾ |
11 | সামূদ জাতি আপন অবাধ্যতাবশত অস্বীকার করেছিল। | ছামূদ সম্প্রদায় অবাধ্যতা বশতঃ সত্যকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করল, | সামূদ জাতি সীমালঙ্ঘন ক’রে (তাদের নবীকে মেনে নিতে) অস্বীকার করেছিল। | كَذَّبَتْ ثَمُوْدُ بِطَغْوٰىهَا۪ۤۙ﴿١١ ﴾ |
12 | যখন তাদের সর্বাধিক হতভাগা ব্যক্তিটি তৎপর হয়ে উঠল। | সুতরাং তাদের মধ্যে যে সর্বাধিক হতভাগ্য সে যখন তৎপর হয়ে উঠল – | যখন তাদের সবচেয়ে হতভাগা লোকটি মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। | اِذِ انْۢبَعَثَ اَشْقٰىهَا۪ۙ﴿١٢ ﴾ |
13 | তখন আল্লাহর রাসূল তাদেরকে বলেছিল, ‘আল্লাহর উষ্ট্রী ও তার পানি পান সম্পর্কে সতর্ক হও।’ | তখন আল্লাহর রাসূল তাদেরকে বললঃ আল্লাহর উষ্ট্রী ও, ওকে পানি পান করানোর বিষয়ে সাবধান হও, | তখন আল্লাহর রাসূল (সালিহ) তাদেরকে বলল, ‘এটা আল্লাহর উটনি, একে পানি পান করতে বাধা দিও না। | فَقَالَ لَهُمْ رَسُوْلُ اللّٰهِ نَاقَةَ اللّٰهِ وَ سُقْیٰهَاؕ﴿١٣ ﴾ |
14 | কিন্তু তারা তাকে অস্বীকার করল এবং উষ্ট্রীকে যবেহ করল। ফলে তাদের রব তাদের অপরাধের কারণে তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করে দিলেন। অতঃপর তা একাকার করে দিলেন। | কিন্তু তারা তাকে মিথ্যাবাদী বলল, অতঃপর ঐ উষ্ট্রিকে কেটে ফেলল। সুতরাং তাদের পাপের জন্য তাদের রাব্ব তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করলেন, অতঃপর তাদেরকে ভূমিসাৎ করে ফেললেন, | কিন্তু তারা রসূলের কথা অগ্রাহ্য করল এবং উটনির পায়ের রগ কেটে দিল। শেষ পর্যন্ত তাদের পাপের কারণে তাদের প্রতিপালক তাদেরকে ধ্বংস করে মাটিতে মিশিয়ে দিলেন। | فَكَذَّبُوْهُ فَعَقَرُوْهَا ۪ۙ۬ فَدَمْدَمَ عَلَیْهِمْ رَبُّهُمْ بِذَنْۢبِهِمْ فَسَوّٰىهَا۪ۙ﴿١٤ ﴾ |
15 | আর তিনি এর পরিণামকে ভয় করেন না। | আর তিনি ওর পরিণামকে ভয় করলেন না। | আর তিনি (তাঁর এ কাজের) কোন খারাপ পরিণতির ভয় মোটেই পোষণ করেন না। | وَ لَا یَخَافُ عُقْبٰهَا﴿١٥ ﴾ |