
আল্লাহর কাছে আসার গল্প-১
প্রচন্ড জ্বরে পড়ল নিশাত। দিনে যেমন তেমন, রাতে এই জ্বর গিয়ে ঠেকল একশ চার এ। সঙ্গে হুলুস্থুল টাইপ মাথাব্যথা। মাঝরাতে আরিফ বলল,
: এসো, মাথায় পানি দিয়ে দিই।
: না, না! লাগবে না।
কোঁকাতে কোঁকাতে বলল নিশাত।
: লাগবে না বললে হবে না-কি? একটু অপেক্ষা করো, এখনই আমি বালতি করে পানি নিয়ে আসছি।
: প্লিজ! ঝামেলা করো না, অল্প জ্বর, এম্নিতেই সেরে যাবে।
: সারবে না। আমি যাচ্ছি।
: শোন না! আমার কথা শোন!
: কী?
: এটা ঠিক হবে না। আমি চাই না, আমার জন্য তোমার কষ্ট হোক।
আরিফ আর কোনো কথাই শুনল না। দীর্ঘ সময় ধরে স্ত্রীর মাথায় পানি ঢেলে দিল। পানি ঢালা শেষ হলে, মাথাটা মুছে দিল পরম মমতায়।
রাতে কিছু খায় নি নিশাত। আরিফ রান্নাঘরে গিয়ে স্যুপ বানিয়ে আনল। নিশাতকে আধশোয়া করে বসিয়ে খাইয়ে দিল স্যুপটুকু।
মাথায় পানি দেয়ায় জ্বর কিছুটা কমেছে। স্যুপটা খাওয়ার পর শরীরে বেশ শক্তিও পাচ্ছে নিশাত। আরিফের দিকে কৃতজ্ঞ চোখে তাকিয়ে নিশাত বলল,
: আমার জন্য তোমাকে অনেক কষ্ট করতে হল। মাফ করে দিও!
: তুমিও তো আমার জন্য করো, করো না?
: ওমা! করব না? তুমি আমার হাজব্যান্ড। তোমার অসুস্থতায় আমি সেবা করব না? অবাক গলায় বলল, নিশাত।
আরিফের ঠোঁটে মৃদু হাসি,
: তুমি তো আমার সেবাদাসি নও! আমিও তোমার হুকুমদাতা নই। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কটা হবে পারস্পরিক সম্মানবোধ এবং ভালোবাসার। স্ত্রীর প্রাপ্য সম্মানটুকু যে দিতে জানে না, সে তো কাপুরুষ!
আরিফের কথাগুলো নিশাতের এত ভালো লাগছিল! চোখ বেয়ে নেমে এল দু’ফোটা আনন্দাশ্রু- তাঁর মত ভাগ্যবতি কে আর আছে? পৃথিবীর সব ছেলেরা যদি আরিফের মত হত!
#জীবনসঙ্গীকে_ভালবাসার_গল্প
#কাছে_থাকার_গল্প
#পাশে_থাকার_গল্প
লিখেছেন : ভাই মাহিন মাহমুদ