
কবরের নিকট কুরআন তিলাওয়াত করা কতটুকু শরীয়ত সম্মত?
প্রশ্নঃ আমাদের সমাজে দেখা যায় লোকজন কবর যিয়ারত করতে গিয়ে সেখানে কুরআনের কিছু সূরা (নাস, ফালাক, ইখলাস ইত্যাদি) পাঠ করে থাকে। শরীয়তে এটি কতটুকু দলীল সম্মত?
উত্তর: এটি দীনের মধ্যে নব আবিষ্কৃত বিদয়াত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো কবর যিয়ারত করতে গিয়ে কুরআন পাঠ করেছেন মর্মে দলীল নেই। তাই সেটি অবশ্যই পরিত্যজ্য।
তাছাড়া শরীয়তের মূলনীতি হল, গোরস্থান কুরআন তিলাওয়াতের জায়গা নয় এবং সেখানে কুরআন পাঠ করা জায়েযও নয়। এ ব্যাপারে স্পষ্ট দলীল হল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لاَ تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ مَقَابِرَ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْفِرُ مِنَ الْبَيْتِ الَّذِى تُقْرَأُ فِيهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ
“তোমরা তোমাদের বাড়ীকে গোরস্থানে পরিণত করনা। যে ঘরে সূরা বাকারা পাঠ করা হয় শয়তান সে ঘর থেকে পলায়ন করে। ” (সহীহ মুসলিম। অনুচ্ছেদ: বাড়ীতে নফল নামায পড়া মুস্তাহাব তবে মসজিদেও পড়া জায়েয। হাদীস নং ১৮৬০ আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত)
তাছাড়া শরীয়তের মূলনীতি হল, গোরস্থান কুরআন তিলাওয়াতের জায়গা নয় এবং সেখানে কুরআন পাঠ করা জায়েযও নয়। এ ব্যাপারে স্পষ্ট দলীল হল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لاَ تَجْعَلُوا بُيُوتَكُمْ مَقَابِرَ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْفِرُ مِنَ الْبَيْتِ الَّذِى تُقْرَأُ فِيهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ
“তোমরা তোমাদের বাড়ীকে গোরস্থানে পরিণত করনা। যে ঘরে সূরা বাকারা পাঠ করা হয় শয়তান সে ঘর থেকে পলায়ন করে। ” (সহীহ মুসলিম। অনুচ্ছেদ: বাড়ীতে নফল নামায পড়া মুস্তাহাব তবে মসজিদেও পড়া জায়েয। হাদীস নং ১৮৬০ আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত)
তিনি আরও বলেনঃ
صَلُّوا فِي بُيُوتِكُمْ وَلَا تَتَّخِذُوهَا قُبُورًا
“তোমরা তোমাদের ঘরে (নফল) নামায আদায় কর এবং তা কবরস্থানে পরিণত কর না। ” (তিরমিযী, ইব্ন উমর রা. থেকে। অনুচ্ছেদ: বাড়ীতে নফল নামায পড়া মুস্তাহাব। হাদীস নং ৪৫৩। ইমাম তিরমিযী এ হাদীসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন।)অর্থাৎ কবরে যেমন নামায পড়া হয় না কিংবা কুরআন তেলাওয়াত করা হয় না তদ্রুপ ঘরে নফল নামায এবং কুরআন পড়া বাদ দিয়ে ঘরকে গোরস্থানে পরিণত করনা।কবরের পাশে কুরআন পড়লে যদি মৃতদের উপকার হত, তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নফল নামায এবং কুরআন ঘরে পড়তে বলতেন না এবং নিজেদের ঘরকে গোরস্থানে পরিণত করতে নিষধ করতেন না। যদিও তিনি উম্মতের সব চেয়ে বেশী কল্যাণকামী এবং মুমিনদের প্রতি পরম করুনাময়। তার এ কথা বলার উদ্দেশ্য এই যে, গোরস্থান কুরআন তেলায়াত এবং নামায পড়ার স্থান নয়। আর এ কারণে তিনি কবরের নিকট কুরআন তেলাওয়াত করেছেন বা কুরআনের কোন সূরা পড়েছেন তার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। অথচ তিনি অধিকহারে নফল নামায আদায় করতেন এবং কবর যিয়ারত করতেন, সেই সাথে মানুষকে কবর যিয়ারত করার নিয়ম-পদ্ধতিও শিক্ষা দিতেন। এখান থেকে এটাই প্রতিয়মান হয় যে,গোরস্থানে কুরআন তেলাওয়াত করা বা কুরআনের বিশেষ কোন সূরা পাঠ করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ নয় বরং বিদ্আতের অন্তর্ভুক্ত যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
লেখকঃ শায়খ আব্দুল্লাহিল হাদী