
ইসলামী বই : আন্তরিক তাওবা
আল-কামুস (বিখ্যাত আরবি অভিধান) অনুযায়ী, তাওবা শব্দের অর্থ ‘গুনাহ থেকে ফিরে আসা’। এই শব্দ ব্যবহার করা হয় যখন বান্দাহ গুনাহ করার পর তার রবের দিকে ফিরে আসে।
আল হালিমি (রহঃ) বলেন, এর (তাওবা) ধরণ হলো এমন, যেন বান্দাহ আল্লাহর কাছ থেকে (গুনাহ করার মাধ্যমে) পালিয়ে গিয়েছিল এবং আবার তার প্রভুর কাছে ফিরে এসেছে। (আল মিনহাজ ফী শুআবুল ঈমানঃ ৩/২১)
মুসলিম ভাই ও বোনেরা, আজ আমরা গুনাহর সাগরে নিমজ্জিত। ঘরে বাহিরে প্রতিটা মুহূর্তে আমরা গুনাহ করছি। আমাদের জেনে রাখা প্রয়োজন যে, গুনাহ করার সাথে সাথে ক্ষমা চাওয়া ও আল্লাহর কাছে তাওবা করা ফরজ। তাওবা আল্লাহর রাস্তায় চলা মানুষের অনুসরণীয় পথ, মুমিনের রসদ। এটা দুনিয়া ও আখিরাতে সাফল্যের বড় পূঁজি। আন্তরিক তাওবার মাধ্যমেই কেবল আখিরাতে নাজাত ও পুরষ্কার মিলবে। তাওবাই আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ ও তার অসন্তুষ্টি থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়।
তাওবা পাপরাশী মুছে দেয়, ভুল ত্রুটি ঢেকে রাখে, মানুষের হৃদয় ও মনকে সঠিক পথ দেখায়। একারণে সালাফে সালেহীনরা নিয়মিত ভাল আমল করা সত্ত্বেও অল্প ঘুমাতেন, ভোরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতেন। তারা জানতেন যে, তাদের আমলের আরো উন্নতি করার সুযোগ আছে। এজন্যই তাদের একজন বলেছিলেন, “আমাদের তাওবা আরো তাওবা দাবী করে”। আরেকজন বলেছিলেন, “অভিনন্দন তাকে যে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একটি সঠিক পদক্ষেপ নিতে পেরেছে।”
হে মুসলিম ভাই ও বোন, আমাদের উচিত আন্তরিকভাবে তাওবা করে, সালাফে সালেহীনরা কিভাবে তাওবা করেছে তার অনুসরণ করা।
আলোচ্য বইটি আপনাকে আন্তরিকভাবে তাওবা করতে সাহায্য করবে এবং কিভাবে সালাফে সালেহীনরা তাওবা করেছেন তা জানতে পারবেন।
বইটিতে তাওবা, তার গুণাগুণ, শর্ত ও প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে, সেই সাথে বেশকিছু অনুসরণীয় ঘটনা উল্লখ করা হয়েছে যা আমাদেরকে আন্তরিক তাওবা করতে সাহায্য করবে।
বইটি লিখা সংগ্রহ করা হয়েছেঃ
ইমাম আবু হামিদ গাযালি রহঃ, ইমাম ইবনে কাইয়্যিম জাওজিয়া রহঃ ও ইমাম ইবনে রজব হাম্বলী রহঃ এর লেখনী থেকে।
বইটি সংকলন করেছেনঃ আবু মারইয়াম মাজদি ফাথহি আল সাইদ।