
সুইডেনের মিনারে বাজে আজানের সুমধুর ধ্বনি!
বিস্ময়ের বিষয় হলো, সুইস পিপলস পার্টির সদস্য ও বিশিষ্ট রাজনীতিক ড্যানিয়াল স্ট্রিচই সর্বপ্রথম সুইডেনের মসজিদের মিনার নির্মাণের নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পেশ করেন। কিন্তু পরে তিনি নিজেই ইসলামের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠেন এবং মিনারবিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করেন। তিনি বর্তমানে সুইডেনের মুসলমানদের একজন নেতা হিসেবে পরিচিত।
সুইডেনের মসজিদের মিনার নির্মাণ নিয়ে দেশটিতে তুমুল বিতর্ক চলে। এমনকি এটি গণভোটে পর্যন্ত গড়ায়। ২৯ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে এক গণভোটের মাধ্যমে মসজিদের মিনার নির্মাণের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত হয়। গণভোটে ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভোটার ও দেশের ২৬টি ক্যান্টনের মধ্যে চারটি ছাড়া সবক’টি এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেয়। কিন্তু বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও মুসলিম বিশ্ব এ প্রস্তাবের তুমুল বিরোধিতা করে এটাকে ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর আঘাত বলেও আখ্যায়িত করে। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলাও দায়ের করা হয়। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে মিনার নির্মাণের অনুমতি পাওয়া যায়।
.
মিনার নির্মাণ প্রশ্নে সুইডেনের মুসলমানেরা সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন মসজিদে আমন্ত্রণ জানায়। এতে বিপুলসংখ্যক অমুসলিম সুইস নাগরিক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মসজিদগুলোতে এসে ইসলাম সম্পর্কে জানার সুযোগ পান। মুসলিম পন্ডিতরা ইসলামের সৌন্দর্যের কথা তাদের সামনে তুলে ধরেন। এতে অনেকেই ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেন এবং এক পর্যায়ে ইসলামের ছায়ায় আশ্রয় নেন।
.
এরপর গত ২৬ এপ্রিল ২০১৪ শুক্রবার স্টকহোমের ফিট্টাজা মসজিদের মিনার থেকে জুমার নামাজের আজান দেয়া হয়। ইউরোপের কোনো মসজিদের মিনার থেকে এই প্রথম আজান দেয়া হলো। শুক্রবার ইউরোপের কোনো মসজিদের মিনার থেকে প্রথম আজানের সাক্ষী হতে পুরো সুইডেন থেকে বহু মুসলমান ফিট্টাজা মসজিদে জড়ো হন। সুইডিশ মিডিয়া মিনার থেকে আজান দেয়ার ঘটনা গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করে। এখন থেকে সুইডেনের মসজিদগুলো থেকে প্রতি ওয়াক্তে পবিত্র আজানের ধ্বনি প্রচারিত হবে।
.
গির্জার ঘণ্টাধ্বনি ছাড়া ধর্ম পালনের আর তেমন কোনো উদাহরণ এখানে তেমন দেখা যেতো না। সংখ্যায় অল্প হলেও এখানে বসবাসরত মুসলমানরা ধর্মেকর্মে অটুট রয়েছেন। ধর্মীয় ও সামাজিক জীবনে তাদের প্রতিকূলতার কোনো শেষ নেই। মুসলিম ঐতিহ্যের প্রতীক মিনার থেকে ধ্বনিত আজানের সুর এখানকার মুসলিমদের নতুনভাবে উজ্জীবিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
.
#দেশে_দেশে_ইসলাম
#দেশে_দেশে_ইসলাম_ও_মুসলিম
জাযাকাল্লাহ খাইর এডমিন। পোস্টের কার্টেসি দিলে ভাল হতো অর্থাৎ কোন পেজ থেকে লেখাটা নিয়েছেন।