কেনিয়ায় কোরআন প্রচারে নতুন উদ্যোগ

কেনিয়া পূর্ব আফ্রিকার একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এখানে বহু জাতির লোকের বাস। অতীতে এটি একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। নাইরোবি কেনিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। বিচিত্র সংস্কৃতি, বিশাল বনভূমি, গা ভরা উল্কি ও জমকালো সাজের বৈচিত্র্য বিশ্ব দরবারে কেনিয়াকে দিয়েছে ভিন্ন পরিচিতি।

কেনিয়ার রাষ্ট্রীয় ভাষা রাষ্ট্রীয় ভাষা সোয়াহিলি ও ইংরেজি হলেও বেশ কয়েকটি স্বীকৃত আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। তন্মধ্যে লুহিয়া, লুও, মাসাই, মেরু, এমবু, আরবি, সোমালি ও হিন্দি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তবে আঞ্চলিক ভাষার মাঝে লুহিয়া (Luhya) বেশি প্রসিদ্ধ ও আদি ভাষা।

এবার সেই লুহিয়া ভাষায় পবিত্র কোরআনে কারিমের অনুবাদের উদ্যোগ নিলেন কেনিয়ার পাঁচ আলেম। পবিত্র কোরআনে কারিম নিজেদের ভাষায় বোঝার সুবিধার্থে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

ওই পাঁচ আলেম হলেন- হারুন মুসা, রমজান সাবু, রমজান নাদজা, ইসমাইল ওরাহ ও ইউসুফ মাওলা। তারা নিজেরাই লুহিয়া ভাষায় কোরআনের অনুবাদটি করবেন। শিক্ষাবিদ ও চিন্তাশীল আলেম হিসেবে কেনিয়ায় তাদের বেশ সুনাম রয়েছে।

এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্যোক্তা হারুন মুসা এ বিষয়ে বলেন, ইসলাম ধর্মকে সঠিকভাবে চেনা ও কোরআন সম্পর্কে যথার্থ জ্ঞানার্জনের ক্ষেত্রে ভাষা আমাদের ভাষা বিশাল এক প্রকিবন্ধক হিসেবে কাজ করছে। আমার তা দূর করার চেষ্টা করছি মাত্র।

তিনি আরও বলেন, সাধারণ জনগণ ইসলাম ধর্মকে সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারছে না। ফলে তারা বিভ্রান্ত হচ্ছে। আর এ জন্যই আমাদের মাতৃভাষায় কোরআন অনুবাদ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

কেনিয়ার মুমিয়াস শহরের জামে মসজিদে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে লুহিয়া ভাষায় কোরআন অনুবাদের কাজ শুরু করা হয়।

ওই অনুষ্ঠানে মুমিয়াস শহরের নেতৃস্থানীয় অালেম-উলামা ও সাধারণ মুসলমানদের বিশাল অংশ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, আরবি ভাষার সঙ্গে কেনিয়ার মুসলমানরা গভীরভাবে পরিচিত না হওয়ার কারণে তারা পবিত্র কোরআনের অর্থ সঠিকভাবে বুঝতে পারে না। মুসলমানরা লুহিয়া ভাষায় কোরআন অনুবাদের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

ফেসবুক  থেকে সংগৃহীত।

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন
Close
Back to top button