
ইসলামী শাসন ব্যবস্থার উদাহরণ
ইসলামী শাসন ব্যবস্থা
লেখক: মাকসুদ বিন আমাল
যুদ্ধের ইতিহাসের এক অসাধারণ ও অনন্য ঘটনা হল এই যে, ঘটনাটি প্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক ত্বাবারী এবং বালাজুরী বর্ণনা করেছেন।
প্রসিদ্ধ মুসলিম সেনাপতি কুতাইবা বিন মুসলিম বাহেলী সমরকন্দ বিজয় করেন। কিছু কিছু লোক অপবাদ দিল যে এ বিজয় ছিল অবৈধ এবং ইসলাম বিরোধী পদ্ধতিতে।
কিছুদিন পর যখন উমর বিন আব্দুল আযীযের রহঃ সোনালী যোগ আসল তখন সমরকন্দ বাসীরা মুসলিম বাহিনীর বিরুদ্ধে এক আশ্চর্য মামলা পেশ করল। মামলার বিষয় ছিল যে, সমরকন্দকে অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে। অতএব এ শহর যেন দখলমুক্ত করা হয়।
উমর বিন আব্দুল আযীয রহঃ এ মালার শুনানি এক কাজীর হাতে ন্যস্ত করলেন এবং নির্দেশ দিলেন যে, বাস্তব সত্য এবং সাক্ষীদের সাক্ষের আলোকে সঠিক ফয়সালা পেশ করতে যে সমরকন্দ বাসীর অভিযোগ কতটা সত্য।
কাজী সমরকন্দের মসজিদে আদালত বসালেন। বাদী-বিবাদীরা আসল। তাঁরা সবাই সেনানায়ক ছিলেন। আদালতে সবাই হাজির হল উভয় পক্ষের সাক্ষী শোনা হল উন্মুক্ত যাচাই হল। প্রমাণাদী ও সাক্ষ্য গ্রহণের পর কাজী এমন এক ফয়সালা দিলেন যে, যা নিয়ে সমস্ত ইসলামী আদালত গৌরব করতে পারে। শহর (সমরকন্দ) থেকে দখল উঠিয়ে নেয়া হল। এ বিজয় ছিল অবৈধ। সমরকন্দ বাসীর দাবীই সত্য। নিঃসন্দেহে বিজয় ছিল অবৈধ। ইসলাম যুদ্ধের ময়দানে দুশমন বাহিনীকে যে অধিকার দিয়েছে এ দখল তাঁর বিরোধী।
মুসলিম বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া যাচ্ছে যে, তাঁরা যেন এতদিনের মধ্যে শহর ছেড়ে দেয়। এত তারিখের পর এ শহরে মুসলমানদের কোন দখল থাকতে পারবে না। শহর দখলমুক্ত হওয়ার পর দুশমনদেরকে দ্বিতীয়বার আল্টিমেটাম দেওয়া হবে। এরপর দ্বিতীয়বার যুদ্ধ হবে। তখন যদি মুসলমানরা তা দখল নিতে পারে তবে তা সঠিক বলে গণ্য হবে।
কাজীর ফায়সালাকে উভয় দল সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নীল। নির্দিষ্ট সময়ের পর মুসলমানরা শহরে দখল ছেড়ে দিলে লাগল। সমরকন্দবাসীরা দ্বিতীয়বার মাথা চাড়া দিয়ে উঠল তাঁরা তাদের শক্তিও দেখাল। তাদের যুলম ভিত্তিক শাসন সর্বসাধারণের সামনে ছিল সাথে সাথে মুসলমানদের ন্যায়পরায়ণতাও তাঁরা পরিলক্ষিত করেছে। উভয় প্রশাসনের মধ্যে যথেষ্ট যাচাই-বাছাই হল যে, নিজেদের প্রশাসন উত্তম না মুসলমানদের ন্যায়পরায়ণতা পূর্ণ প্রশাসন উত্তম।
সমরকন্দবাসী সিদ্ধান্ত নিল যে, মুসলমানদের সোনালী শাসন নিজেদের যুলম ও নির্যাতন পূর্ণ শাসনের চেয়ে বহুগুণে ভাল। কাজীর নিকট দরখাস্ত করা হল যে, আমরা আমাদের মোকদ্দমা উঠিয়ে নিলাম আমাদের জন্য ইসলামী প্রশাসকের পরিচালনায় জীবন-যাপন করা অনেক ভাল।
সূত্রঃ সোনালী পাতা, পৃষ্ঠা ২০৫-২০৬
১৩ শত বছর পূর্বে সমরকন্দবাসীরা বুঝেছিল যে, ইসলামী শাসন ব্যবস্থাই সর্বোত্তম শাসন ব্যবস্থা… ইসলামী শাসনের মধ্যে রয়েছে শান্তি। মানব রচিত শাসন ব্যবস্থা দিয়ে যুলম ও অত্যাচারীদের পাল্লাই শুধু ভারী হয়… মানুষের জীবন হয়ে উঠে দুর্বিষহ। তাই তাঁরা মানুষের যুলম ও অত্যাচারের শাসন বাদ দিয়ে ইসলামী শাসন আলিঙ্গন করেছিল কিন্তু আফসুস! আজ মুসলিমরা সেই ইসলামী শাসন ব্যবস্থাকে দূরে ঠেলে দিয়ে মানব রচিত শাসনে সুখ শান্তি ও উন্নতি খুজছে!!!!!!! ইসলামী শাসন ব্যবস্থাকে পশ্চাদপদ ও জঙ্গি বলে তাঁর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে!!!!!! জীবন দিচ্ছে মানব রচিত গণতন্ত্রের জন্য!!!!!!
হায় মুসলমান!!!!!! কি হল তোমাদের!!!!!!! তোমরা যে আজ অন্ধ হয়ে গেলে!!!!!
পাতলা কাপর পড়ে যেমন তুষারপাত হতে রক্ষা পাওয়া যাবে না , এটা যেমন হাস্যকর হবে ঠিক তেমনি মানব রচিত শাসন দিয়ে সুখ শান্তি পাওয়া যাবে না যা সমরকন্দবাসীরা ১৩ শত বছর পূর্বেই বুঝেছিল…… বর্তমানের কথিত আধুনিক দাবীদাররা যত তাড়াতাড়ি সমরকন্দবাসীদের মত হতে পারবে ততই তাদের জন্য মঙ্গল। বিশেষ করে মুসলিমদের……………