
হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিরা শিক্ষা গ্রহণ কর (চতুর্থ পর্ব)
হে চক্ষুষ্মান ব্যক্তিরা শিক্ষা গ্রহণ কর
(কবরের আযাব ও সাওয়াব সংক্রান্ত কতিপয় শিক্ষামূলক ঘটনা)
চতুর্থ পর্বঃ
৬-সাপ সাপঃ
এক জমিদার লোকের উত্তরসূরি পৈত্রিক সূত্রে বিরাট সম্পদের মালিক হয়। আল্লাহর পথে ধন সম্পদ খরচ করতে সে খুব কুণ্ঠিত ছিল। যদি কেউ তাঁর কাছে কোন মসজিদ, মাদরাসা, এতীম, বিধবার ব্যাপারে কোন সাহায্য চাইত তখন তাঁর চেহারা মলিন হয়ে যেত, আমি(লেখক-ইকবাল কীলানী) সর্বশেষ ১৯৬৮ ইং সালে বেহুঁশ অবস্থায় লাহোরের এক হাসপাতালের মর্গে তাকে অত্যন্ত মুমূর্ষু অবস্থায় দেখেছিলাম, তাঁর নাড়িভুঁড়ি আসছিল, থেমে থেমে নিঃশ্বাস ত্যাগ করছিল, চক্ষুসমূহ পাথরের মত হয়ে গিয়েছিল, ডাক্তার সামনেই দাঁড়িয়ে তাঁর মৃত্যুর সার্টিফিকেট দেয়ার জন্য অপেক্ষা করছিল, হঠাৎ করে তাঁর শরীর কাঁপতে শুরু করল, তাঁর চেহারায় ভয়ের নিদর্শন ফুটে উঠল। পশমগুলো দাঁড়িয়ে গেল, শরীর থেকে ঘাম ঝরছিল, ঠোঁটসমূহ কাঁপছিল, সমস্ত লোকেরা শুনছিল যে, সে ভীত স্বরে সাপ সাপ বলে তা থেকে বাচার উদ্দেশ্যে হাত পা নাড়াচ্ছিল। আমি তা দেখে ভীত হয়ে
গেলাম এবং ডাক্তার সাহেবকে জিজ্ঞেস করলাম যে, চিকিৎসা শাস্ত্রের আলোকে তাঁর সর্বশেষ নড়াচড়াকে কি বলবেন? ডাক্তার সাহেব পেরেশান হয়ে বললেন যে আমার জন্য এ দৃশ্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক আশ্চর্য ঘটনা, এ নড়াচড়া এবং সাপ সাপ বলে চিৎকার করা এক মৃত ব্যক্তির মুখ দিয়ে বের হচ্ছিল, যে বেহুঁশ অবস্থায় না কোন কথা বলতে পারছিল না কোন প্রকার নড়াচড়া করতে পারছিল।
সূত্রঃ দৌলত সে মুহাব্বাত কা আনযাম, মোহাম্মাদ আকরাম রানজাহাফত রোযাহ আল এতেসাম, লাহোর, সেপ্টেম্বর ১৯৯৯ ইং।
(আমাদের সমাজে এমন অনেক ধনী ভাই ও বোন আছেন যাদেরকে আল্লাহ্ তা’আলা অনেক ধন সম্পদ দিয়েছেন কিন্তু তারা দান করতে অনিহা প্রকাশ করে, কৃপণতা করে। আশা করি আপনারা শিক্ষা গ্রহণ করবেন।)
এগুলো কতিপয় ঘটনা কবরের আযাব সম্পর্কে বর্ণনা করা হল, ইন শা আল্লাহ্ আগামী পর্ব থেকে কিছু ঘটনা কবরের সাওয়াব সম্পর্কে বর্ণনা করা হবে।