
প্রযু্ক্তি উন্নতি না – অবনতি
আসসালামু আলাইকুম।
পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। সালাত ও সালাম বর্ষিত হউক মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও তাঁর পরিবারবর্গের উপর।
বর্তমান যুগকে বলা হয় তথ্য ও প্রযুক্তির যোগ। আজকের দ্বীনে বিজ্ঞানের কল্যাণে আমরা অতি সহজেই সব কিছু পেয়ে যেতে পারি। প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে খুব সহজ করে দিয়েছে। প্রযুক্তির অনেক ভালো দিক আছে আবার এর অনেক খারাপ দিক ও আছে । একটা সময় ছিল যখন পরিবারের ছোটরা সিনেমা ভিসি আর এ এগুলো দেখতে গেলে পরিবারের বড়দের থেকে পালায়ন করে দেখতে হত। আমার মনে আসে সেই দিনের কথা এক দিন আমার খুব কাছের এক বন্ধু সিনেমা দেখে বাড়ি ফেরার পথে তার বাবার সাথে রাস্তায় দেখায় হয়ে যায় । ওরা তিনজন যেই দুর থেকে একজনের বাবাকে দেখতে পেল সবাই দৌড়ে রাস্তার পাশে কলা ক্ষেতের ভিতর গিয়ে লোকিয়ে ছিল । আসলে কিন্তু ওর বাবা জানতনা যে ছেলে সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরছে তবু এত ভয় ছিল । ঘটনাটা বলছি এ কারণে যে আজকাল আর আগের দিনের সমাজের পরিবর্তনটা বুঝানোর জন্য । যারা আমার আরো আগের মানুষ বা বয়সে বড় তারা আরো বিষয়টা বেশি জানেন । সমাজে লজ্জাশীলতা, ধামীর্কতা অনেক বেশি ছিল যা আজকাল আপনি খুব কমই দেখতে পাবেন।
কিন্তু আজ আর আমাদের ছেলে মেয়েদের কষ্ট করে বড়দের লোকিয়ে সিনেমায় যেতে হয় না, প্রত্যেক বাড়িতে ঘরে ঘরে আছে এক একটা বড় ডিজিটাল সিনেমা (টিভি)। প্রত্যেকের পকেটে আছে একটা একটা উ্ন্নত ডিজিটাল সিনেমা (মোবাইল) যাতে প্রতিদিন প্রতিক্ষণ আমাদের ছেলে মেয়ে মা বোন আমারা সবাই শুধু বাংলা নয় হলিউড, বলিউড সিনেমার আর্ট আর কালচারের আড়ালে রঙিন পর্দার বেহাপনা উলঙ্গ পনায় নিমজ্জিত ।
প্রযুক্তি অবশ্যই আমাদের জীবনকে উন্নত করেছে কিন্তু সাথে সাথে আছে এর ভায়াবহ খারাপ দিক যা থেকে আমারা সচেতন না হলে আমাদের ভবিষৎ প্রজন্ম যারা না বুঝে এর মিস ইউজ বা অপব্যবহারের শিকার হয়ে ধ্বংসের দিকেও ধাবিত হবে।
তাই দায়িত্বশীলদের অনুরোধ আপনার সন্তান, ভাই,বোন আপনজন যারাই ডিজাটাল মোবাইল ইন্টারনেট ফেসবুক ইত্যাদি ব্যবহার করছে তাদেরকে এর সঠিক ও অপব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করুন এবং নিজেও সচেতন থাকুন।
হে মুসলিম অভিভাবকরা! আপনারা আপনাদের সন্তানদেরকে উত্তম জিনিস দান করুন। মোবাইল , কম্পিউটারে ইসলামিক বই, লেকচার দিয়ে দিন। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার ইসলামিক উপায়ে করুন।
লেখকঃ বাকীর হুসাইন
সম্পাদনাঃWay To Jannah