
বিদ’আতীদের সংস্রব চুলকানী থেকেও অধিক সংক্রামক!
❖ ইবনে মাসউদ রা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজ দ্বীনকে মর্যাদা দিতে চায়, সে যেন বিদ’আতীদের সংস্রব থেকে দূরে থাকে। কারণ, তাদের সংস্রব চুলকানী থেকেও অধিক সংক্রামক! [ইবনে আযযাহ/৫৬ পৃষ্ঠা]
❖ হাসান বসরী বলেন, ‘বিদ’আতীদের সাথে ওঠাবসা করো না। কারণ, তাদের সাথে ওঠাবসা করায় অন্তরের রোগ সৃষ্টি হয়’ [ইবনে আযযাহ/৫৪ পৃষ্ঠা]
❖ আবুল কাসেম নাসর আবাযী বলেন, ‘আমার কাছে খবর এসেছে যে, হারেস মুহাসেবী কিছু বিদ’আতী কথাবার্তা বললে আহমাদ বিন হাম্বল (রহ) তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে…. অতঃপর যখন সে মারা যায়, তখন মাত্র চারটি লোক তার জানাযা পড়ে’ [আত তাহযীব ২/১১৭]
❖ এক বিদ’আতী আইয়ুব সাখতিয়ানীকে বলল, ‘আমি আপনাকে একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে চাই’। আইয়ুব পিছন ফিরে পালিয়ে যেতে যেতে বললেন, ‘না। অর্ধেক শব্দও নয়। আধা শব্দও নয়’। [আল ইবানাহ ২/৪৪৭]
❖ ফুযাইল বিন ইয়ায বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন বিদ’আতীর তা’যীম করে, সে আসলে ইসলাম ধ্বংস হওয়াতে সহযোগিতা করে। যে ব্যক্তি কোন বিদ’আতীকে দেখে মুচকি হাসে, আসলে সে মুহাম্মাদ সা. এর প্রতি আল্লাহর অবতীর্ণ কুর’আনকে তুচ্ছ মনে করে। যে ব্যক্তি তার স্নেহপুত্তলি কন্যার বিবাহ কোন বিদ’আতীর সাথে দেয়, সে আসলে তার সাথে আত্মীয়তার বন্ধন ছেদন করে। আর যে ব্যক্তি কোন বিদ’আতীর জানাযায় শরীক হয়, সে ফিরে না আসা পর্যন্ত আল্লাহর ক্রোধভাজন থাকে। আমি কোন ইয়াহুদি বা খৃষ্টানের সাথে খাব তবুও কোন বিদ’আতীর সাথে খাব না’ [শারহুস সুন্নাহ, বার্বাহারী/৩৯]