
ইসলামী বই : পর্দা একটি ইবাদত
নারীদের জন্য পর্দা পালন যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং আল্লাহ কর্তৃক ফরজকৃত, পুস্তিকাটিতে সংক্ষেপে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে যারা পর্দা সম্পর্কে পুরাপুরি বা আংশিক বিরূপ মনোভাব রাখে তাদের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্তমূলক জবাব। সমাজে পর্দা সম্পর্কিত বিভিন্ন মনোভাবের লোক বিদ্যমান, যার মধ্যে এক শ্রেণী হলো, তাদের অজ্ঞতা বা ভুল বুঝার কারণে তারা ধারণা করে যে নারীদের পর্দা হলো যখন তারা বাড়ী থেকে শহর-নগরের দিকে বের হবে তখন তারা অপরিচিত ব্যক্তিদের থেকে পর্দা করবে, পক্ষান্তরে পরিচিত ও আত্মীয় স্বজন বলতে যা বুঝায় তাদের কারো থেকে পর্দা করার প্রয়োজন নেই এবং তারা এ ধারণাও পোষণ করে থাকে যে, নারীদের চাচা শ্বশুর, মামা শ্বশুর, খালু শ্বশুর, ভাসুর (স্বামীর বড় ভাই) প্রমূখদের সাথে কি কোন খারাপ ধারণার অবকাশ রয়েছে বা তাদের ক্ষেত্রে কি কোন ফিতনার আশঙ্কা রয়েছে যে,তাদের থেকে পর্দা করতে হবে? এ ছাড়া সমাজে দৃষ্টি গোচর হয়ে নারীদের মধ্যে যারা বয়োজ্যেষ্ঠা ও বয়োবৃদ্ধা তারা পর্দা অবলম্বন করেন ও তাদের প্রতিই শুধু গুরুত্ব দেয়া হয়।
তবে কি এগুলিই প্রকত ইসলামী পর্দা? এবং এটাই কি ইসলামী শরীয়তে পর্দার দাবী?
এর উত্তর অনেকের নিকট স্পষ্ট, সূরা নূরের ৩১নং আয়াতে যে সব পুরুষ থেকে পর্দা অপরিহায্য নয় তার বর্ণনা আল্লাহ দিয়েছেন যা পুস্তিকার ৮ ও ৯ পৃষ্ঠায় উল্লেখ রয়েছে। এসব ব্যতীত অন্যান্য সকল আত্মীয় ও অপরিচিত পুরুষদের সাথে পর্দা অপরিহার্য। যাদের সাথে চিরতরে বিবাহ হারাম নয় বরং ক্ষণস্থায়ী হারাম, যেমন ভগ্নিপতি, খালু, ফুপা ও যাদের সাথে বিবাহ বৈধ যেমন চাচাত ভাই মামাত ভাই, খালাত ভাই ফুপাত ভাই, বনের দেবর ও ভাবীর ভাই প্রভতি আত্মীয় স্বজন থেকেও বাড়ীর অভ্যান্তরে ও বাইরে পর্দা অপরিহার্য। মোট কথা শরীয়ত যাদের সাথে চিরতরে বিবাহ হারাম করেছে তারা ব্যতীত সবার সাথে প্রাপ্ত বয়স্ক মহিলার সকল স্থানে সব সময় পর্দা করতে হবে। বিশেষ করে সাবালিকা হওয়ার পর থেকে বিবাহের উপযুক্ততা থাকা অবধি পর্দার যথাযথ গুরুত্ব দিতে হবে। পর্দার বিধান প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমাদেরকে এ ধরণের চিন্তা করলে চলবেনা যে, অমুকের সাথে তো আর খারাপ ধারণা বা ফিতনার আশঙ্কা করা যায়না অতএব, তার সাথে পর্দা জরুরী নয়, কারণ এই পর্দার বিধান অবতীর্ণ হয়েছিল সরাসরি নাবী (সা.) এর স্ত্রী মুসলিমদের জননী ও জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ সহ সকল সাহাবীদের প্রতি।
তাদের মধ্যে খারাপি ও ফিতনার আশঙ্কা ছিল? নাউযুবিল্লাহ। মূলকথা: পর্দা করা হলো আল্লাহ ও অস্বীকার করা কুফর বেপর্দা হওয়া হারাম। আর পর্দা পালনে নারী পুরুষ উভয়ে একান্তভাবে আন্তরিক হলেই এ ইবাদত বাস্ত বায়ন সম্ভব। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে পর্দার গুরুত্ব বুঝার এবং তা পালন করার তাওফীক দিন। তার নিকট আরো প্রার্থনা যে, তিনি যেন পুস্তিকাটির সংকলক, অনুবাদক, প্রকাশক ও সংশ্লিষ্ট সবার জন্য এটিকে পরকালে সাদকা জারিয়া হিসেবে নেকির পাল্লায় গ্রহণ করেন। আমীন
এক নজরে বইটি :
পর্দা একটি ইবাদত
রচনায়: মুহাম্মাদ আব্দুর রব্ব আফফান
প্রকাশনায় : তাওহীদ পাবিলকেশন্স
পৃষ্ঠা : ৩৩
সাইজ : ৮০০ কিলোবাইট
ডাউনলোড
Mediafire Google Drive WordPress Server (Mobile Version)