
ফুটবলের দেশ আর্জেন্টিনার মোট জনসংখ্যার ১.৫% মুসলমান!
ফুটবলের জন্য বিখ্যাত ল্যাটিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা নামক দেশটিতেও থেমে নেই ইসলামের অগ্রযাত্রা। আর্জেন্টিনার মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৪-৫ লাখের কাছাকাছি। এই সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১.৫% প্রায়।
.
ফুটবলের জন্য বিখ্যাত ল্যাটিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা নামক দেশটিতেও থেমে নেই ইসলামের অগ্রযাত্রা। আর্জেন্টিনার মুসলিম জনসংখ্যা প্রায় ৪-৫ লাখের কাছাকাছি। এই সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ১.৫% প্রায়। আর্জেন্টিনায় মুসলমানদের আগমন অনেকটা ব্রাজিলের মতোই। স্প্যানিশ এবং পর্তুগিজ কলোনি ছিল যখন আর্জেন্টিনা, বহু পশ্চিম আফ্রিকান কালো মানুষদের ধরে আনা হতো দাস হিসেবে আর্জেন্টিনায় কাজের জন্য। এর মধ্যে আফ্রিকার মরক্কোর বহু বাসিন্দা ছিল, আর স্বভাবতই তারা ছিল মুসলিম। এরপর উনবিংশ শতাব্দীর বিভিন্ন সময় আরবদেশ লেবানন-সিরিয়ার অনেকেই অভিবাসনে পাড়ি জমান সাউথ আমেরিকার এই দেশটিতে।
.
রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে আছে বেশ কটি বড় বড় মসজিদ এবং ইসলামিক সেন্টার। আর্জেন্টিনার মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে দ্য ইসলামিক সেন্টার অফ আর্জেন্টিনা। এরপরই আছে কিছু মসজিদ কমপ্লেক্স যেমন আল আহমাদ মসজিদ, কিং ফাহাদ মসজিদ। এর মধ্যে কিং ফাহাদ মসজিদ ল্যাটিন আমেরিকার সর্ববৃহৎ মসজিদ। ১৯৯৫ সালে সৌদি এবং আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে নির্মাণ হয় এই মসজিদটি। অন্যদিকে আহমাদ মসজিদের সঙ্গে যৌথ সম্পর্ক আছে মিশরের আল আজহার মসজিদের।
.
নাইন ইলেভেনের বিপর্যয়ের পরে আর্জেন্টিনার মুসলমানরা কিছুটা আতঙ্কে থাকলেও সেরকম কোনো সমস্যা তাদের হয়নি। এছাড়া সরকার এবং আর্জেন্টিনার জনগণ মোটামুটি মুসলমানদের প্রতি সহনশীল এবং বন্ধুভাবাপন্ন। আশার দিক হচ্ছে, গোটা দুনিয়ার মতোই মসজিদগুলোতে ক্রমেই মুসল্লির সংখ্যা বাড়ছে। এটা ইসলাম থেকে দূরে চলে যাওয়া মুসলমানদের নতুন করে আলোর পথে ফিরে আসার নজির। ইসলামের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে আর্জেন্টিনা হবে মুসলমানদের একটি বড় আবাসভূমি।
.
#দেশে_দেশে_ইসলাম
#দেশে_দেশে_ইসলাম_ও_মুসলিম
জাযাকাল্লাহ খাইর এডমিন। পোস্টের কার্টেসি দিলে ভাল হতো অর্থাৎ কোন পেজ থেকে লেখাটা নিয়েছেন।