
নানবিধ বৈষম্যের শিকার শ্রীলঙ্কার মুসলমানরা!
শ্রীলঙ্কার সরকার সেদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে মুসলিম ঐতিহ্যসমূহকে ব্যবহার করে। শ্রীলঙ্কার মুসলমানদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগঠন অল মিলন মুসলিম কংগ্রেস ভবিষ্যৎ সহিংসতা এড়াতে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়সমূহের মধ্যে সেতু নির্মাণের চেষ্টা করছে।
.
শ্রীলঙ্কার সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ৭ ভাগ মুসলমান। তবে মুসলমানদের হিসাবে এ সংখ্যা শতকরা ১৭ ভাগ পর্যন্ত। কোনো ধর্মীয় কাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার ও যথোপযুক্ত বিভাগীয় সচিবের অনুমতির প্রয়োজন। কেউ এ ধরনের ভবন নির্মাণ করলে তাকে অবৈধ ঘোষণা করা হয় এবং পরে বিষয়টি পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
.
২০১২ সালের মে মাসের শেষ দিকে এলাকার একটি মসজিদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। এ বিক্ষোভে শ্রীলঙ্কার বহু মুসলিম নেতা ভীত হয়ে পড়েন। বৌদ্ধ ভিক্ষুর নেতৃত্বে প্রায় ২০০ বিক্ষোভকারী ইসলামী সেন্টারে হামলা চালায়। তারা মসজিদের সদর দরজায় পাটকেল নিক্ষেপ করে। বৌদ্ধদের দাবি মসজিদ এলাকায় প্রতিদিনই পশু জবাই করা হয়। মসজিদ কর্তৃপক্ষ এ অভিযোগ নাকচ বলেন, বৌদ্ধদের এসব অভিযোগে দেখা যাচ্ছে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে তাদের ধারণা কত ভুল। আমরা শুধু ঈদুল আজহার সময়ই পশু কুরবানি করে থাকি এবং প্রায়ই এসব পশুর গোশত দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে বিতরণ করা হয়।
.
তামিল টাইগার্সের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যে চলা ৩০ বছরের গৃহযুদ্ধের সময়ে দ্বীপরাষ্ট্রটির মুসলমানরা তামিলদের বিরুদ্ধে সরকারের পক্ষ নিয়েছিলেন। তামিলদের মধ্যেও বহু মুসলমান রয়েছেন। সরকারের পক্ষ নেয়ায় ১৯৯০ দশকে হাজার হাজার মুসলমানকে জাফনা থেকে বিতাড়ন করে তামিলরা। কিন্তু ২০০৯ সালে টাইগার্স পরাজিত হওয়ার পর মুসলমানদেরকে দায় হিসেবে দেখা হয়। অথচ আমলাতন্ত্রের ভালো ভালো অবস্থানে অনেক মুসলমান রয়েছেন। শ্রীলঙ্কার সশস্ত্র বাহিনীতেও যথেষ্টসংখ্যক মুসলমান কাজ করছেন। গতবারে শুল্ক অফিস ও আঞ্চলিক অফিসসমূহে মুসলমানরা চাকরি হারিয়েছে।
.
শ্রীলঙ্কার সরকার সেদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে মুসলিম ঐতিহ্যসমূহকে ব্যবহার করে। শ্রীলঙ্কার মুসলমানদের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংগঠন অল মিলন মুসলিম কংগ্রেস ভবিষ্যৎ সহিংসতা এড়াতে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়সমূহের মধ্যে সেতু নির্মাণের চেষ্টা করছে।
.
#দেশে_দেশে_ইসলাম
#দেশে_দেশে_ইসলাম_ও_মুসলিম