অভিনব কায়দায় ধুয়াশাচ্ছন্য এক চুরির কাহিনী

এক বিত্তশালী ব্যক্তির সুরম্য প্রাসাদে দুজন চোর ঢুকে সিন্দুক খুলে অঢেল সম্পদের সন্ধান পায়, তারা সবকিছু বস্তায় ভরে,এবং অভিজ্ঞ চোরটি সেই ঘরে থাকা একটি টেবিলের সামনে চেয়ারে বসে শিক্ষানবিশ যুবক চোরটিকে বলে পকেট থেকে জুয়াখেলার কার্ডগুলো বের কর্ ,যুবক ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলে উস্তাদ! খেলতে চাইলে পালিয়ে গিয়ে বাইরে যেয়ে খেলুন। এক্ষুনি মালিক জেগে উঠে আমাদের জানে মারবে!
অভিজ্ঞ চোরটি বলে , এই বেটা! তুই বেশি কথা বলবি না, তোকে আমি যা বলছি তাই কর,শিগগির ফ্রিজ খুলে তিন বোতল পেপসি বের কর,কেক বা বিস্কুট যা পাস নিয়ে আয় এবং খেলা শুরু কর।
ইতোমধ্যে বাড়ি ওয়ালা জেগে গেছে, সর্বনাশ হয়ে গেছে টের পেয়ে তিনি ড্রয়ার খুলে পিস্তল বের করে হুংকার দিয়ে বললেনঃ
আজ চোরের গুষ্টি শেষ করবো, বেটাদের এত সাহস, আমার বাড়িতে চুরি!তোরা সব কিছু রেখে জান নিয়ে ভাগ!
নচেৎ এক্ষুনি পুলিশ ডেকে তোদের অ্যারেস্ট করাব।
চোররা নির্বিঘ্নে খেলছে আর পেপসি পান করতে করতে বলছে, ডাকুন পুলিশ আসুক আমরা ভীত নই।
এমন সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়ার জন্য চিৎকার দিয়ে বললেনঃ
হ্যান্ডস আপ! কেউ নড়াচড়া করলে ই গুলি করব।
পুলিশ অফিসার মালিকের উদ্দেশ্যে বললেনঃ
কি ঘটেছে খুলে বলুন, তিনি যা বলার বললেন, অতঃপর চোরদের লক্ষ্য করে বললেন, তোমাদের থানায় যেতে হবে যা শোনার সেখানে গিয়ে ই শুনব। চোররা ঠান্ডা মাথায় বললঃ
দেখুন বাড়ি-ওয়ালা সব মিথ্যে বলছেন, আমরা সারা রাত একসাথে জুয়া খেলায় ব্যস্ত, লোকটি খেলায় হেরে সব খুইয়েছেন,এখন আমরা যখন বাড়ি ফিরে যাওয়ার জন্য সবকিছু বস্তায় ভরে নিয়ে যাচ্ছি তখন তিনি আপনাদের ডেকে আমাদের বঞ্চিত করার পাঁয়তারা করছেন।
পুলিশ এবার বাড়ি-ওয়ালাকে ধমকের সুরে বললেন, ‘ কাপুরুষ!
খেলার সময় খেয়াল থাকে না ? এখন পরাজিত হয়ে আমাদের সাহায্য চাও কোন মুখে? পুলিশ যখন ফিরে যাচ্ছিলেন, পুলিশের উদ্দেশ্যে অভিজ্ঞ চোরটি বললঃ
স্যার ! মেহেরবানী করে আমাদের বাঁচান , আপনারা চলে গেলে বাড়ি ওয়ালা আমাদের জানে মারবেন এবং এইসমস্ত মাল -সামান নিয়ে বের হতে বাধা দিবেন, সুতরাং আপনাদের উপস্থিতিতেই আমাদের ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিন।
(এটি একটি গল্প , তবে সাবধানতার মা’র নেই, আবার মারের ও সাবধানতা নেই।)

এ সম্পর্কিত আরও পোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button